আমি সেলুনে ঘুমিয়ে পড়ি রোজ
তবু আমাকে কোন নরসুন্দর কেটে ছড়িয়ে দিতে পারেন না মেঝেতে !
কিন্তু তুমি আমাকে তাড়িয়ে ফিরছ অকুল মাট ঘাট
আমি কখনো আমার খুচরো কয়েনগুলো ফেরত নিয়ে আসতে পারিনি
তোমার কাছ থেকে ।
আমি ফায়ার ব্রিগেডের সেই ট্রাকটির মত হুসফাঁস ছুটছি বিদিক
অথচ তুমি সব আগুনের মন্ত্র জপে ঘুমিয়ে পড়েছ !
বেশত, এভাবেই হোক তবে আমাদের আমূল পতন
ভীত সন্ত্রস্ত একটি গ্রামকে তাড়িয়ে ফিরুক দাপুটে শহর
ক্রমশো আঁধার ঘনিয়ে আসুক একটি মাংসলোভা কুকুরের চোখে
যখন ক্রমশো ফিকে হয়ে আসে একটি উৎসব,
পানশালার নর্তকী রাত শেষে খেলুক ফের
বুকের তাপে লুকিয়ে রাখা খুচরো কয়েন নিয়ে !
এভাবেই তুমি আমি
পেয়ে না পেয়ে
আঁধারে খেলছি শব্দ খোঁজার খেলা !
আমার গোঁফের নিচে শীতের কুয়াশা পেতেছে নিদারুন গল্প
সিগারেটের ধোয়া নিয়ে,
এক একটা সিগারেট হয়ে উঠছে আমার উদ্ধারকর্তা, বেশত !!
তোমার চোখের নিচে কানের দুলের মত
কেঁপে কেঁপে উঠেনি উদভ্রান্ত বর্ষা কোনদিন
তবু কিনা প্রতিদিন একই ধাঁধায় আছড় কাটছি আমরা দুজন !!!
সেই কবেকার ইতিহাসের ফিতে খেয়েছে
হৃদয়হীন টেপরেকর্ডার
সেই কবেকার জন্ম থেকে আমরা জন্ম দিয়ে চলেছি এই বেদনা
কুপির নিচে আমরা লুকিয়ে রেখেছি রোজবেলাকার এসব পয়মন্ত কবিতা ।
সুন্দরী নর্তকীর কোমড় থেকে ছড়িয়ে পড়ছে
উজ্জ্বল মুদ্রা
কেউ জানে না
কেউ ভাবে না
কেন সে নেচে চলেছে পর পুরুষের আসরে
প্রত্যুত্তরে কোনদিন ঠোঁটের কোণে হাজির রাখে না দীর্ঘশ্বাস
সেই রাতবালিকা ।
মাথামোটা লোকগুলো গ্লাসে গ্লাস ঠুকে চিয়ার্স হেঁকে গিলছে নর্দমার জল
এরচে বাচ্চা ছেলের পেশাব পবিত্র !
তুমি আমি যেমন
ধুলো দিয়ে যাচ্ছি স্বর্গের চোখে !!
০৬ ডিসেম্বর ২০১৩
২২ অগ্রহায়ণ ১৪২০
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।