শুক্রবার সন্ধ্যায় লালবাগ কেল্লা প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে আলো ও শব্দের সমন্বয়ে নির্মিত বিশেষ এই তথ্যচিত্রের উদ্বোধন করেন তিনি।
৩০ মিনিটের এই শো’তে লালবাগ কেল্লার পুরো ইতিহাস ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। উঠে এসেছে মুঘল আমলসহ পিছনে ফেলে আসা বিভিন্ন সময়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য আর দুঃখগাথা।
একসঙ্গে ৫০০ দর্শক এই শো উপভোগ করতে পারবেন। এতে প্রতি মাসে রাজস্ব আয় হবে পাঁচ লাখ টাকা।
‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’র ফলক উন্মোচন শেষে এর উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশে বিনোদনের খুব বেশি সুযোগ নেই। কীভাবে বিনোদনের ব্যবস্থা করা যায় এবং পর্যটকদের আকর্ষণ করা যায় আমরা সে ব্যবস্থা করছি।
“আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য যেন আগামী প্রজন্ম জানতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রতিটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে-এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
“উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখা, মানুষের জীবনমানকে উন্নত করে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। ”
সাংস্কৃতিক চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “একজন মানুষ শুধু পেটের ভাতই চায় না, তার সংস্কৃতির বিকাশ, ইতিহাস-ঐতিহ্যকে জানার প্রয়োজন হয়।
আমরা সেই প্রয়োজন মেটানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি, যা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা। ”
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এই শো উদ্বোধনের ফলে লালবাগ কেল্লা ফিরে পাবে তার হারানো গৌরব। তরুণরা খুঁজে পাবে ইতিহাস ও গৌরব। আত্ম-অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে তারা বিশ্বের বুকে নিজেদের তুলে ধরবে।
সংস্কৃতি সচিব রনজিত কুমার বিশ্বাস ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিরীন আক্তারও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, লালবাগ কেল্লার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস এবং স্থাপত্য শৈলীকে ফুটিয়ে তুলতে এর পাণ্ডুলিপি তৈরি করেছেন লেখক সৈয়দ শামসুল হক। ধারা বর্ণনা দিয়েছেন আসাদুজ্জামান নূর ও শিল্পী শিমূল ইউসুফ।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ‘লালবাগ কেল্লার সংস্কার-সংরক্ষণ ও লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো চালুকরণ এবং মহাস্থানগড় ও তৎসংলগ্ন প্রাচীনকীর্তির সংস্কার ও সংরক্ষণ’ প্রকল্পের আওতায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে এই কার্যক্রম শেষ করে।
বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় এবং ক্রিয়েশন্স আন লিমিটেডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।
লালবাগ কেল্লায় তিনটি প্রবেশ তোরণ, কয়েকটা পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, দুর্গের ভিতরে চারটি স্থাপত্য কাঠামো, পরীবিবির সমাধি, আজম শাহের মসজিদ ও সৈনিক ব্যারাক রয়েছে।
১৯১০ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এই দুর্গকে সংরক্ষিত স্থাপত্য ঘোষণা করে এবং দুর্গের সংস্কার করে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। বর্তমানে এখানে একটি জাদুঘরও রয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।