Hope
দীর্ঘদিন মাঠে গিয়ে খেলা না দেখার ক্ষুধা মাঠে গিয়ে মেটানোর সিদ্ধান্ত নিলাম গত টেস্টের শেষদিন বিকেলে। আগে নিউজিল্যান্ড আর সাউথ আফ্রিকা সফরে যখন আসত তখন ক্রিস ক্রেয়ার্নস,কাইল মিলসদের দাপটে ভেঙ্গে পড়ত টাইগাররা। একবার অসহায়ের মত এক ওয়ানডেতে বিশালাকার ক্রিস কেয়ার্নসের হাটু গেড়ে বসে অতিসহজে মাঠের চারদিকে ছক্কা মারা দেখতে হয়েছিল। ওদের পিচ থেকে পায়ের রানের উচ্চতা স্ট্যাম্পের সমান। কিউইরা সবচেয়ে লম্বা জাতি কথাটা হয়ত সত্য।
যাই হোক পরিস্হিতি এখন ভিন্ন। জয়বর্ধনে রীতিমত বলেন বাংলাদেশ এমন একটা দল যারা কয়দিন পরে আমাদের ঘোষনা দিয়ে হারাবে। সেদিন পরিচিত এক ভাইকে নিয়ে ঢুকে পড়লাম স্টেডিয়াম এরিয়ায়। ২০ টাকার টিকেট নিতে হল কালোবাজারীর কাছ থেকে ৫০ টাকাতে। এত নিরাপত্তা দিল যেন স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী আইছে।
বাইরে পুলিশ ও আনসার আর ভেতরে র্যাব। তারও ভেতরে স্টেডিয়াম। আসলেই তো এখন যদি আমরা এত কঠোর নিরাপত্তা দেই তবেই তো আমাদের সুনাম থাকবে। কয়েকজায়গায় টিকেট দেখিয়ে সুরঙ্গ দিয়ে গ্যালারিতে যাওয়ার পথে দেখি ঐ প্রান্তে মাঠের ভিতরে ফিল্ডিংয়ে থাকা লংকান প্লেয়াররা। শেষ ৩বল দেখার সুযোগ হল অথচ তখনও ১৪ ওভার বাকী ছিল।
বল তিনটিই করলেন সম্ভবত নুয়ান প্রদীপ(লম্বাচুল/মাথায় সাদা ব্যান্ড বাঁধা) ঠিক চিনতে পারিনি। এত তাড়াতাড়ি ম্যাচটা ড্র না হলে আরও বিনোদন দেখা যেত। মোমিনুল সেঞ্চুরী করেই খেলা শেষ। খেলা শেষে দুই দলের প্লেয়াররাও মাঠের দুইদিকে ওয়ার্মআপে ঝাপিয়ে পড়ল। এরপর পুরষ্কার বিতরনীর আগে একশ গজ সামনে বাউন্ডারীর নিকটে আমাদের দিকে পিঠ দিয়ে থাকা লংকান প্লেয়ারদের জটলা।
ওদের বিদঘুটে সিংহলী তামিল ভাষাটা শুনতেও কেমন যেন অদ্ভূত লাগলো। মুখ দিয়ে আ-আ-আ-আ-আ করে শব্দ করে জিভ বের করে কথা বললে গলা দিয়ে বের করা ভাষাটা যেমন শোনায় ওদের মুখেও ঠিক তেমনি অদ্ভূত শোনালো। ওরা একজন আরেকজনের সাথে খেলাচ্ছলে একটু চিৎকার দিয়ে উঠলে আমরাও এপাশ থেকে আরও উচ্চ শব্দে জোরে জোরে হৈ হৈ করে উঠলাম। জয়বর্ধনে আর চান্দিমাল পেছন ফিরে তাকালো। বেচারা!
পুরষ্কার বিতরনীর সময়েও দেখলাম ক্যাপ্টেন ম্যাথিউস দাঁড়ানো অন্যান্য জুনিয়র প্লেয়ারদের পেছন থেকে পায়ের হাটুর ভাজ ভেঙ্গে অপ্রস্তুত করে দিচ্ছে।
এটা আমরাও করি বন্ধুবান্ধবের সাথে। দেখে ভালো লাগলো। সংস্কৃতিভিন্ন হলেও আনন্দ ভাগাভাগির স্টাইল সবারই এক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।