আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিলিফের কম্বল নিয়ে পালানোর সময় আওয়ামীলীগ নেতার চালক লাঞ্চিত

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে রিলিফের কম্বল নিয়ে পালানোর সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিয়ার জোয়ার্দ্দারের চালক সোহাগ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান টানু মল্লিকের হাতে লাঞ্চিত হয়েছে।

এ রকম কর্মকান্ডে উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, গবীর ও দুস্থদের জন্য সারাদেশের ন্যায় সরকারি কম্বল বিতরনের জন্য ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলায় ৪৭৪টি কম্বল বরাদ্দ আসে। আওয়ামীলীগ নেতার চালক সোহাগ হরিনাকুন্ডু পিআইও নিরঞ্জন চক্রবর্তীর সাথে যোগসাজস করে আজ সকালে গোপনে ৫০টি কম্বল গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে হরিনাকুন্ডু উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান টানু মল্লিক এসে তাকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে মারপিট করে।

পরে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে হরিনাকুন্ডু নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আমিন তার অফিসে এক জররী সভার আয়োজন করে। পরে আওয়ামীলীগ নেতার সম্মান রক্ষার্থে ওই ৫০টি কম্বল দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও কাপাশাহাটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিয়ার জোয়ার্দ্দারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বরাদ্দ অনুযায়ী ৫০টি কম্বলের স্লিপ নিয়ে চালককে উপজেলায় পাঠিয়েছিলাম। এখানে কোন লুকোচুরির কোন  ঘটনা ঘটেনি।

ঘটনাটি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ'লীগের যুগ্ম আহবায়ক টানু মল্লিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিভাজন অনুযায়ী ২৫টি কম্বল কাপাশাহাটিয়া ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দ।

সেখানে ৫০টি কম্বল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই ঘটনায় তার চালককে বাধা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আমিন জানান, ঘটনাটি মীমাংসা হয়ে গেছে এবং বরাদ্দ অনুযায়ী ৫০টি কম্বল তাকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।