বৃত্তবন্দী আমি তবু মায়াবন্দী নেই..গভীর চুমু দিয়ে অজ্ঞাতস্থানে চলে যাবো!
আজাকাল যখন কোন বড় ভাইয়া বা আপুকে জিজ্ঞেস করি কেমন আছো তারা খুব নেগেটিভ উত্তর দেয়.. ভাল না, মোটামোটি, অবস্থা কেমন জানিনা। আবার যখন কোন বাচ্চা ছেলেকে জিজ্ঞেস করি সেও একই কথাই বলে। খুব অবাক লাগে তারা নিজের অবস্থাই জানেনা। তাদের কথা শুনে আমিই হঠাৎ হোচট খাই। মোটামোটি থাকাটা মোটেও ভাল না।
মোটামোটি থাকা মানে তুমি জানোই না তুমি কেমন আছো। নিজের অবস্থাটা অনুধাবন করো, বোঝার চেষ্টা করো। "দেয়ার ইজ নাথিং কল্ড হাফ প্রেগনেন্ট" মোটামটি বলে আসলে কিছুই নাই। নিজের অবস্থানটা জানো। নিজের কাছে নিজে ক্লিয়ার থাকো ভালো থাকাটা ব্যাপার না।
"হুম..মানছি খারাপ থাকার উপর নিজের কোন কন্ট্রোল নাই। হঠাৎ করেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। এই হঠাৎ করে কেন মন খারাপ হয়? মনের সাথে কেন এত যুদ্ধ?
আমি যখন ছোট ছিলাম খুব হ্যাপী একটা লাইফ লিড করতাম। স্কুলে কত মজা, স্কুল থেকে এসে মাঠে খেলা তারপর বাসায় এসে তাফালিং। শুধুমাত্র ছোটবেলার স্মৃতিগুলোকে সঙ্গে নিয়েই আমি সারাজীবন ভাল থাকতে পারব।
" তাই এখন কার কোন বাচ্চা ছেলের থেকে যখন শুনি সে ভাল নেই খুব খারাপ লাগে। তা বলে বোঝানো যাবেনা। তাদের খারাপ থাকার কারনটা মূলত কী? আজকালকাল ছেলেমেয়েরা তো অনেক বেশিই সুযোগ সুবিধা পায়।
আমি পিএইচডি হোল্ডার অনেক গাধা দেখেছি, যাদের জীবনে সুখ শব্দটা নাই। তারা খালি সাকসেস এর পিছে দৌড়াতে থাকে।
আবার ক্লাস টুতে পড়া অনেক তুখোড় মেধাবী দেখেছি যার শেখার আগ্রহ আছে। ভাল কিছু করার ইচ্ছা আছে, ভাল থাকার ইচ্ছা।
আজকাল যেসব ছেলেমেয়ে খারাপ থাকে তাদের আসলে হঠাৎ করেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। তাদের গ্রো টাই ঠিকমত হয় না। আজকাল অধিকাংশ স্কুলই কিন্ডারগার্ডেন তাই বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে চায়না।
ঠিকমত কারো সাথে এডজাস্ট করতে পারেনা। কোন খেলার মাঠ নাই, বন্ধু নাই। বাবা মা বাসায় একগাদা টিউটর রেখে দেয়.. ব্যাস দায়িত্ব শেষ। ছেলে মেয়েদের যে একটু কাউন্সিলিং দরকার তার দিকে কোন নজর নেই। এইরকম অন্ধকার লাইফ লিড করতে করতেই হঠাৎ করে তাদের অকারনেই মন খারাপ হয়ে যায়।
আর যাদের অকারনেই মন খারাপ হয় তার মন কি আর ভাল করা যায়?
আমার অনেক ছোট কাজিন, ফ্রেন্ডদের ছোট ভাইবোন আছে। তাদের সাথে আমি সবসময় খুব ফ্রি থাকার চেষ্টা করি যাতে তারা কিছুটা সময়ের জন্য হলেও একটু কাউন্সিলিং করতে পারে। আমি চাই তারা আমাকে লাইক করুক। তারা যদি আমাকে লাইক করে তারা এমনিতেই আমার সাথে খুব সহজেই তাদের মনের কথা বলে ফ্রি হতে পারবে এবং খুব সহজেই নিজের মাইন্ডটা ফ্রেশ করতে পারবে।
বাবা মার সবসময় ফ্রেন্ডলি থাকা উচিৎ যাতে ছেলে মেয়ের গ্রো টা ঠিকমত হয়।
বাবা মায়ের ভিতর একজন ও যদি ফ্রেন্ডলি থাকে তাইলেই এনাফ। আগে বাচ্চারা খেলার জন্য অনেক বড় মাঠ পেত। খেলতে খেলতেই নিজের কাউন্সিলিং করে ফেলত। এখন সেই সুযোগ খুব একটা নেই। তাই বাবা মা ই এখন ছেলেমেয়ের সবকিছু।
তাই তারা যদি একটু ফ্রেন্ডলি হয় সন্তানের গ্রো আপটা অনেক ভাল হয়। থমকে যেতে হয় না। মূলকথা তারা ভালো থাকে।
একজন বড় মানুষের ভাল থাকাটা সম্পূর্ন তার ব্যাপার। ভাল থাকতে কোন কারন লাগেনা।
যখন কোন কারনে মন খারাপ হয়ে যাবে কুইকলি কারনটা বের করে সলভ করে মন ভাল করে নিতে হবে। আর ভাল থাকলে তার কারন খুঁজতে হবেনা। ভাল থাকলে ভাল থাকুন। কারন খোঁজার কোন দরকার নাই।
হতাশ হওয়া যাবেনা।
হোচট খেলে বারবার উঠে দাড়াতে হবে। আবার ট্রাই করতে হবে। নিজের ভিতর একটা বিশ্বাস রাখতে হবে যে আমি ভাল থাকব।
প্রেম করলে প্রেমিক প্রেমিকার সাথে খুব ভাল টাইম স্পেন্ড করতে হবে। ভাল থাকতে হবে।
ফ্রেন্ডদের সাথে খুব ফুর্তিতে থাকতে হবে। খারাপ থাকা যাবেনা মোটেও।
খারাপ চিন্তা করাই যাবেনা। সবসময় ভাল চিন্তা করতে হবে স্বপ্ন দেখতে হবে।
"Inferiority Complex" অধিকাংশ মানুষের হতাশার অন্যতম একটা কারণ।
এই হীনমন্যতায় কোনভাবেই ভোগা যাবেনা। হুম, এমন পরিস্থিতি আসবেই যে তখন মনে হবে আর কোন উপায় নেই। কিন্তু একটা উপায় আছে। "Think positive & Be positive ,,,,, Think superior & Be superior"।
সবশেষে বলব দেশকে খুব ভালবাসতে হবে দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করতে হবে।
এমনিতেই মন ভাল হয়ে যাবে। ভাল থাকা যাবে।
আমি ভালোবাসার বিষে ডুবে থাকবো বহুক্ষন, মুখ তুলবো না।
ঘুমের মধ্যে দপ করে জ্বেলে দিব ফসফরাস অস্তিত্ব, স্বপ্ন দেখবো না। রাস্তায় যেকোন লোককে ডেকে আমি অমায়িক বলবো, আপনি ভাল আছেন মশাই???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।