আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কে বিজয়ী হবে?

সভাপতি- বিক্রমপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, সম্পাদক ঢেউ, সভাপতি- জাতীয় সাহিত্য পরিষদ মুন্সীগঞ্জ শাখা

শ্রীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কে বিজয়ী হবে?

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫জন। এর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বি ৩ জন। শেখ মো: আলমগীর উড়োজাহাজ প্রতিক, আওয়ামীলীগ সমর্থিত একমাত্র প্রার্থী, মো: সেলিম হোসেন খান, বালভ প্রতিক, বিএনপি সমর্থিত (শাহমোয়াজ্জেম) প্রার্থী, আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল তালাচাবি প্রতিক, তিনিও বিএনপি সমর্থিত বলে দাবী করছেন। মূলত আওলাদ হোসেন যদি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হন তাহলে নির্বাচন হবে ত্রিমুখী। অন্যথায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বি হবেন শেখ আলমগীর ও সেলিম হোসেন।

এছাড়া জাপা সমর্থিত আবুল হোসেন এবং ইশা আন্দোলন প্রার্থী মাওলানা শাহাদাৎ হোসাইন প্রার্থী হয়েছেন।
শেখ মো: আলমগীর যুবলীগের সাবেক সভাপতি-শ্রীনগর উপজেলা। তার ভাবমূর্তি ভাল। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসের অভিযোগ নেই। দীর্ঘদিন দলীয় দায়িত্বে থাকায় উপজেলা ব্যাপী একটা ভাল যোগাযোগ তৈরি হয়েছে।

দলীয় একক প্রার্থী হওয়াতে ভাল অবস্থানে রয়েছেন। মো: সেলিম হোসেন খান অত্যন্ত ভাল লোক হিসাবে পরিচিত। তিনি জেলা বিএনপির সহসম্পাদক। পাটাভোগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। অত্যন্ত সজ্জন লোক হিসাবে পরিচিত।

বিএনপির বাইরেও তার ভাল ভাবমূর্তি রয়েছে। বিএনপির ভিতরে একটি ছোট অংশ তারা বিরোধীতা করতে পারে কারণ তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করতে গিয়ে সমান ভোট পেয়েছিলেন কিন্তু জেলার সভাপতির অতিরিক্ত ভোটে হেরে যান। এই অংশটা নাও চাইতে পারে কারণ তিনি নির্বাচিত হলে ভবিষ্যতে সাধারণ সম্পাদকের জোড়ালো দাবিদার হয়ে যাবেন। কিন্তু সাধারণ ভোটারদের নিকট তার গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক। যদি নির্বাচনে রাজনৈতিক দিক প্রাধান্য পায় এবং বিএনপির ভোট বৃদ্ধি পায় তাহলে তিনি এগিয়ে থাকবেন।

তিনি দলীয় ভোটের বাইরেও কিছু ভোট পাবেন। তার প্রধান সমস্যা হবে আওলাদ হোসেন। তিনি যদি বিএনপির বেশি ভোট টানেন তাহলে সেটা সেলিম খানের বিপক্ষে যাবে। আলমগীর এবং সেলিম খানের ভাবমূর্তি ভাল থাকায় তারা দুজনই নির্বাচনে মূলপ্রতিদ্বন্দ্বি থাকবেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী দুইজন।

জাহানারা বেগম, হাস প্রতিক- বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী। আছিয়া আক্তার রুমু, কলস প্রতিক, আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী। গত নির্বাচনে দুজনকেই ভোটারগণ প্রত্যাখ্যান করেছিল। আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী হওয়া সত্ত্বে রুমু বিদ্রোহী প্রার্থীর নিকট বিপুল ভোটে পরাজিত হন। গতবার বিএনপি অধিকাংশ সমর্থক বিদ্রোহী প্রার্থীকে ভোট দেয়ার বিএনপি সমর্থিত জাহানারা অনেক কম ভোট পান।

এছাড়া বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর সংখ্যাও বেশি ছিল। এবার দুজনকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে। দুজনের বিষয়েই ভোটারদের নিকট নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। কিন্তু প্রার্থী দুজন হওয়াতে তাদের মধ্য থেকেই বেছে নিতে হবে। এতে দলীয় ইস্যুতে ভোট হবে।

যে দলের সমর্থন বেশি সে পাশ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।