শহীদের ভাইপো আইন উদ্দিন বরকত সিটি কর্পোরেশনের ১৮ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সফর আলীর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে নালিশও জানিয়েছেন।
তবে কাউন্সিলর সফর আলী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে উল্টো ভাষাশহীদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখলে রাখার অভিযোগ তুলেছেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের আদি বাসিন্দা বরকতের মা হাসিনা বিবিকে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ সরকার গাজীপুরের নলজানী মৌজায় ৬৮ শতাংশ জমি দেয়।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে দেয়া ওই জমি হাসিনা বিবির মৃত্যুর পর থেকে ভোগ করে আসছেন শহীদ বরকতের ভাইপো আইন উদ্দিন।
আইন উদ্দিন মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কাছে যে অভিযোগ দিয়েছেন; তাতে অভিযোগ করা হয়েছে, ওই জমির নামজারিতে বাধা দিচ্ছেন সফর আলী এবং পাশাপাশি চাঁদা দাবি করছেন।
আইন উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ১৯৮১ সালে তার দাদি হাসিনা বিবি মারা গেলে সরকারি সিদ্ধান্তে তাকে ওই জমিতেই দাফন করা হয়। তার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ হিসেবে তারা এসএ (সাবেক দাগে) নামজারি ও জমাভাগ করেন। এরপর থেকে সেখানেই রয়েছেন।
“সম্প্রতি ওই জমির আরএস দাগে নামজারি ও জমাভাগের প্রস্তাব করা হলে কাউন্সিলর সফর আলী তাতে বাধা দেন এবং জমির রকম পরিবর্তনের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর নামজারি ও জমাভাগ না করতে আবেদন ও মিসকেস করেন। ”
ওই মিসকেস তুলে নেয়ার শর্তে ওই কাউন্সিলর চাঁদা দাবি করছেন বলে শহীদ বরকতের পরিবারের অভিযোগ। তারা নিরাপত্তার অভাব অনুভব করে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
কাউন্সিলর সফর আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই জমি ভোগদখলকারীরা শহীদ বরকতের মা হাসিনা বিবির কোনো ওয়ারিশ নন। তারা সরকারি জমি অবৈধভাবে ভোগ দখল করেছেন।
”
এই বিষয়ে আইন উদ্দিন বলেন, তারাই হাসিনা বিবির প্রকৃত ওয়ারিশ। শহীদ বরকতের নামে বরাদ্দ করা সরকারি ভাতা তিনিই তোলেন।
২০০০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বরকতকে যে একুশে পদক দিয়েছিলেন, তা যাচাই-বাছাই করে আইন উদ্দিনের বড় ভাই আলাউদ্দিন বরকতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।