অভিজাত হোটেলে ফ্রেঞ্চফ্রাই খেয়েছেন কখনও?
১০০ গ্রাম প্লেটের দাম কিন্তু ৫০ টাকা। মানে ১০০০ গ্রাম বা ১ কেজির দাম ৫০০ টাকা।
সেই ১ কেজি ফ্রেঞ্চফ্রাইয়ের কাঁচামাল ১ কেজি আলুর দাম মাত্র ২ টাকা!!
বাচ্চাদের প্রিয় পটেটো ক্র্যাকারসের দাম ১০ টাকা; তাতে থাকে মাত্র ২৫ গ্রাম আলু।
মানে ১০০০ গ্রাম বা ১ কেজি পটাটো ক্র্যাকারসের দাম পরে ৪০০ টাকা।
সেই ১ কেজি পটাটো ক্র্যাকারসের কাঁচামাল ১ কেজি আলুর দাম মাত্র ২ টাকা!!
অথচ ১ কেজি আলুর উৎপাদন খরচ ৫ টাকা।
কিন্তু ২ টাকায়ও সেই আলু বিক্রি করতে পারছে না আমাদের কৃষকরা !!
আপনারা যে মোল্লা, এসিআই, কনফিডেন্স সল্ট খান তা ১ কেজির দাম ২৫ টাকা।
কিন্তু জানেন কি, কুতুবদিয়ার লবনচাষিদের থেকে কেনা হয় ১ মন লবন মাত্র ১৫-২০ টাকায়।
মানে ১ কেজি লবন কেনা হয় ৫০ পয়সায়।
২০০ গ্রাম বোতলের টমাটোর সসের দাম ১০০ টাকা। ১ কেজি সসের দাম পড়ে ৫০০ টাকা।
কিন্তু জানেন মৌসুমে কৃষকরা টমাটো ৫০ পয়সায়ও বিক্রি করতে পারে না।
পানিকে বোতলজাত করে মাম, একোয়া, জীবন, মুসকান, ফ্রেশ......... কোম্পানিগুলো প্রতিলিটার পানি বিক্রি করে ২০/২৫ টাকায়।
আর পানি এবং খাবারের উৎকৃষ্ট আধার শসা কৃষক ২ টাকায়ও বিক্রি করতে পারে না।
এই হল আমাদের ঘুনে ধরা গণতন্ত্রের ও ধনতন্ত্রের অর্থনীতি।
আমাদের সাধের স্বাধীন গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র,অর্থনীতি,ব্যবসা, মুনাফা,লাভ কেবল ধনী, মালিকগোষ্ঠী, শিল্পমালিকদের জন্য।
বছরে বছরে ব্যাংক ঋণ নেও, দেশে- বিদেশে গাড়ি- বাড়ি আর বিত্ত গোড়ে ঋণ খেলাফি হয়ে চেম্বারের হর্তাকর্তা হয়ে যাও! বছর শেষে সুদ মউকুফ করে, সাথে আরও ঋণ বাড়িয়ে নিয়ে দেশের গর্বিত সি আই পির লাল বিশেষ পাসপোর্ট নিয়ে হাওয়ায় উড়ে যাও!
এখানে কৃষকরা কেবল উৎপাদন করবে আর ধুঁকে ধুঁকে মরবে।
অথচ কোন জিনিস উৎপাদনে পুরো শ্রমটা কৃষকই দেয়। ৫ থেকে ৬ মাস টানা লেগে থাকে। বীজ থেকে উৎপন্ন দ্রব্য পুরো সময়টায় তাঁর হাড়ভাঙ্গা খাটুনী, তিন বেলা খাওয়ার সাধ্য কারও থাকলেও সময়ের অভাবে রক্ষণা বেক্ষন কোরতে কোরতে তিন বেলা খাওয়াটা বিলাসীতা হয়ে যায়!
আর শিল্পমালিকরা মাত্র কয়েক মিনিটে প্যাকেজিং, লেবেলিং, কালারিং, মার্কেটিং করে কয়েকশো গুন লাভ করে দেশের উন্নয়নের রুপকার হবার বিলাসী প্রতিযোগীতায় মেতে উঠে, ক্লাবে ও হোটেলে। ।
কৃষকদের এই নীরব শোষণ দেখার কেউই নেই।
বাংলাদেশ অতীতে ছিলো কৃষি প্রধান দেশ; এখন কৃষকদের রক্ত নিংড়ে খাওয়া একটি দেশ।
ছোট ভাই Nur Aftab Rupom থেকে সংগৃহীত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।