আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মার্কিন কূটনীতিকের হাটহাজারী মাদ্রাসায় মিটিং: গভীর চক্রান্তের কবলে দেশ, যা আল কায়েদা’র ভিডিও প্রকাশের ধারাবাহিকতারই অংশ!!!



দেশ নতুন করে গভীর চক্রান্তে মুখে উপনিত হলো, মার্কিন কূটনীতিক ক্যাথলিন গিবিলিস্কোর হাটহাজারি মাদ্রাসায় গোপন মিটিং এর মাধ্যমে! যা আল কায়েদার দ্বারা সম্প্রতি ভিডিও প্রকাশেরই ধারাবাহিকতার অংশ মাত্র।

মূলত: আল কায়েদা হচ্ছে সিআইএ’র একটি রিভার্স সংগঠন, যারা কোন মুসলিম দেশে মার্কিনীদের আগ্রাসন সৃষ্টির জন্য ক্ষেত্র তৈরী করে।
(এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এ লেখটা পড়তে পারেন Click This Link)

এক্ষেত্রে, প্রত্যেক দেশেই আল কায়েদা তাদের সার্থ চরিতার্থ করার জন্য কোন না কোন সংগঠনের উপর নির্ভর করে, যেমনটা হয়েছিল আফগানিস্তানে তালেবানদের মাধ্যমে, বলাবাহুল্য তালেবানদের উঠিয়েছিল খোদ আমেরিকা, এবং পরবর্তীতে তারাই মার্কিনীদের প্রবেশের ক্ষেত্র তৈরী করে।
যেভাবে সিরিয়ায় বর্তমানে রয়েছে আল কায়েদার অঙ্গসংগঠন আল নুসরা ফ্রন্ট। যাদেরকে বর্তমানে প্রকাশ্যে ইসরাইলি পৃষ্ঠপোষকতায় ইউরোপ-আমেরিকা অস্ত্র সরবরাহ করছে, আর্থিক সহায়তা করছে, কিন্তু যখনই আসাদের পতন হবে তখনই দেখা যাবে কৌশলে তাদের অজুহাতেই সিরিয়ায় প্রবেশ করে বসবে এই আমেরিকা।


ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও আল কায়েদা’র অঙ্গসংগঠন হিসেবে মার্কিনীরা কাউকে না কাউকে খুজছে, তাদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কথিত ‘হেফাজতে ইসলাম’, যার বাস্তবায়নের জন্যই মূলত হাটজাহারিতে অনুষ্ঠিত হয় মিটিং।

যারা হেফাজতের সমর্থক রয়েছেন তাদের মাঝে অনেকেই হয়তো কথাটা শুনে কষ্ট পাতে পারেন! কিন্তু সত্য কথাটা সবসময় কঠিন হয়, এবং আমরা সত্যিই এক গভীর ইহুদীবাদী চক্রান্তের শিকার হতে যাচ্ছি কেবলমাত্র কথিত হেফাজতিদের কারনে! যা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। যারফলে দেশ ও ইসলামের মুহব্বতে প্রকৃত সত্য গোপন করে বিশ্বাসঘাতক হতে চাই না।

এখানে একটি কথা মনে রাখা দরকার, আমেরিকা চেয়েছিল বাংলাদেশে বিএনপি সরকার আসুক, যদি আসতো তাহলে খুব সহজেই সুদখোর ইউনুসকে ক্ষমতার আসনে বসিয়ে দেয়া সম্ভব হতো। বাংলাদেশে ইউনুসকে ক্ষমতার আসনে বসানোর অর্থই হচ্ছে, মার্কিনীরা বিনা যুদ্ধে আমাদের দেশ দখল করে নিয়েছে।



আর ভারত চেয়েছিল আওয়ামীলীগ আসুক। কেননা আওয়ামী সরকারের মাধ্যমে ভারতের আর্থিক ও হিন্দুয়ানীর অনেক উপকার হয়, এছাড়াও বাংলাদেশকে সিকিমের মত পরিণতি করার ইচ্ছাটাও তাদের প্রবল।
কিন্তু জটিল হলেও বিষয়টি সত্য যে, বর্তমানে আমেরিকার আর্থিক অবস্থা এতটাই দুর্বল এবং বাংলাদেশের মত দূরবর্তী কোন দেশকে নিজ নিয়ন্ত্রনে নিতে নিকটবর্তী সন্ত্রাসী ভারতের সাথে পাল্লা দিতে তারা ব্যর্থ। ফলে ভারতীয় মদদেই আওয়ামীলীগ খুব সহজেই চলে আসে ক্ষমতায়।

কিন্তু আমেরিকা যেহেতু এখনো হাল ছাড়েনি তাই তারা তাদের সবগুলো অস্ত্র একের পর এক ব্যবহার করবে এটাই খুব স্বাভাবিক।

আর তারই ধারাবাহিকতায় ব্যবহার করা হচ্ছে মার্কিনীদের অন্যতম অস্ত্র ”আল কায়েদাকে”।
আর আল কায়েদার সাথে সংশ্লিষ্টতা তো হেফাজতের জন্য নতুন কিছু নয়। আফগান-রাশিয়া যুদ্ধের সময় সিআইএ’র ইচ্ছায় অনেক কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক আফগানিস্তান গিয়েছিল, যা তারা কখনই অস্বীকার করতে পারবে না। এছাড়াও হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা যেমন মুফতি ইজহারুল কিংবা মুফতি হাবীবুর রহমান (বুলবুলি মোল্লা)’র আল কায়েদা সংশ্লিষ্টতা থাকার বিষয়টি প্রমাণিত সত্য। এছাড়া হাটহাজারি মাদ্রাসার ছাত্ররা যে পাহাড়ের মাঝে ট্রেনিং করে তাও অস্বীকার করার কোন প্রকার সুযোগ নেই।

মুফতি আমিনী যখন সারা বাংলাদেশে পোস্টারে ছেয়ে ফেলে, “আমরা হবো তালেবান, বাংলা হবে আফগান” তা সবারই দৃষ্টিগোচর হয়েছিল, যা এখনো মানুষ ভুলে যায়নি।

প্রকৃতপক্ষে, হেফাজতে ইসলামের সাথে মার্কিন কনসুলেটের মিটিং-এর অর্থ হচ্ছে, বিভিন্ন কওমী মাদ্রাসার মুহতামিমদের টোপ দেয়া যে, তোমরা তোমাদের ছাত্রদের নিয়ে আল কায়েদার ব্যানারে কাজ শুরু করো, আমরা পেছন থেকে তোমাদের ব্যাকিং, অস্ত্র, টাকা ও মিডিয়া দেবো।

এখন কওমীরা যে কাজটি করতে চাচ্ছে, নিসন্দেহে এদেশের অধিকাংশ মানুষই তা পছন্দ করবেন না, কিংবা তার জন্য প্রস্তুত হবেন না। কারন এখনও এমন পর্যায় তৈরী হয়নি যে, দেশকে গৃহ যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে হবে, আর যদি যুদ্ধ করতেই হয় তবে মার্কিনীদের মত শিয়ালের সাথে একত্র হয়ে কেন যুদ্ধ করবো? তারাই তো সারা পৃথিবীতে মুসলিম নিপীড়ন চালাচ্ছে। আর আমাদের দেশে মুসলমান-মুসলমান কেন যুদ্ধ করবো?

যুদ্ধ যদি করতেই হয় তবে তা পাশের হিন্দুরাষ্ট্র ভারতের সাথেই করা উচিত।

কেননা সেখানে এখনও প্রতিদিন শত শত নিরপরাধ সাধারন মুসলমানকে নির্বিচারে শহীদ করে চলেছে!
অতএব যুদ্ধ করবো, কিন্তু অবশ্যই আমেরিকানদের নোংরা উস্কানিতে নিজ দেশে নিজেদের মধ্যে বিশৃঙ্খলতা তৈরী করতে নয়, বরং নিজ দেশের সার্থে যালিম ভারতের বিরুদ্ধে।

তাই প্রত্যেক নাগরিকের উচিত, যারা এ সকল দেশ বিরোধী চক্রান্তের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করা এবং দেশ ও জাতীয় সার্থে প্রয়োজনে এদেরকে দেশ থেকে বের করে দেয়া।

তাদের বলা উচিত: ‘আমাদের বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের থাকতে দাও, তোমাদের কোন প্রয়োজন এদেশে নেই। ’

( ফেসবুকে কওমী ছাত্রদের পেজ https://www.facebook.com/OurLifeIslam ভিজিট করলেই সত্যতা পেয়ে যাবেন। )

 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.