গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।
৫) Ako Dessewa Fetish Market, Lome, Togo :
পৃথিবীর বৃহত্তম ফেটিশ মার্কেট এটি। এই মার্কেটে বিভিন্ন প্রাণীর মাথার খুলি, কংকাল কিংবা হাড় পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কুমির, শিম্পাঞ্জী, কোবরাসহ আরও অনেক প্রাণী। এসব দেহাবশেষকে হার্ব নামক এক ধরনের পদার্থের সাথে মিশিয়ে আগুনে সিদ্ধ করা হয়।
এক পর্যায়ে শুকিয়ে গেলে এ থেকে কালো রং এর পাউডার পাওয়া যায়, যা হার্টের রুগীদের ওষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফলশ্রুতিতে এই মার্কেটটি একটি ফার্মাসির মতো ব্যবহৃত হচ্ছে।
৬) Aokigahara Forest, Mount Fuji, Japan :
জাপানের ফুজি পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত একটি বন। ঘন গাছপালার অবস্থানের কারণে এই বনকে সী অব দ্যা ট্রি হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। কখনও কখনও এটাকে আত্মহত্যার বনও বলা হয়।
এর কারণ, অনেক জাপানী আত্মহত্যা করার জন্য এই বনকে উপযুক্ত স্থান হিসেবে বেছে নেয়। যে কারণে প্রতি বছর এই বন থেকে মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এই জঙ্গলে গাছপালার ঘনত্ব বেশী হবার কারণে আত্মহত্যাতারী সবার মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়না। এক হিসেব মতে ২০১০ সালে এই বন থেকে ৫৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হরা হয়েছে। জাপানীদের ধারণা যারা এখানে আত্মহত্যা করে তাদের আত্মা বনের চারপাশে সব সময় ঘুরে বেড়ায়।
৭) Sedlec Ossuary, Czech Republic :
এটি একটি ঝাড়বাতি। চল্লিশ হাজার মানুষের দেহাবশেষকে শৈল্পিক উপায়ে সাজিয়ে এটি তৈরী করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, ধারণা করা হয় যে মানুষের দেহাবশেষকে সংরক্ষণ করে রাখাই এর মূল উদ্দেশ্য। মূলত ইউরোপের রোমান ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীদের দেহাবশেষ থেকে এটি তৈরী করা হয়েছে।
৮) Chernobyl Amusement Park, Ukraine :
Pripyal উক্রেইনের ভূতের শহর হিসেবে পরিচিত।
যার কারণে এই পার্কটিকে নিয়ে উক্রেইনের অধিবাসীদের মনে নানা ভৌতিক ধারণা কাজ করে। এটি একটি এমিউজমেন্ট পার্ক, অথচ এখানে কোন লোক সমাগম নেই। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে চেরনোবিল ভাইরাস মহামারী আকারে দেখা দিলে এই পার্কটি বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই থেকে পার্কটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ভূতূড়ে স্থান হিসেবে আছে। ভূতূড়ে এই কারণে যে, কোন মানুষের পদচারণা না থাকলেও এই পার্কে গভীর রাতে মানুষের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।