তখন গেমটা খেলতে পারি নাই! পিসি তে চলে নাই। তবে এত গুলো বছর পর গেমটা খেলেই টিউন করতে বসে পড়লাম!
২০০৯ সালের সাড়া জাগানো ত্রিমাত্রিক ছায়াছবি এভাটারের অফিসিয়াল গেম নিয়ে এসেছিল ঊবিসফট। গেমটি 3rd Person একশন ভিডিও গেম এবং গেমটি ছায়াছবিটির প্রিকুয়্যাল হিসেবে কাজ করেছে। মানে ছবিটি এবং গেমটির কাহিনী একই নয়। গেমটিতে আলাদা করে থ্রিডির অপশন রয়েছে যেমনটি ক্রাইসিস ২ গেমটিতে ছিল।
নির্মাতাঃ
ঊবিসফট মন্টিয়াল
প্রকাশকঃ
ঊবিসফট
ইঞ্জিণঃ
দুনিয়া,
হ্যাভোক
জেইড
খেলা যাবেঃ
বিভিন্ন প্লাটফর্মে
মুক্তি পেয়েছেঃ
ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে
ধরণঃ
একশন এডভেঞ্চার
3rd person
খেলার ধরণঃ
সিঙ্গেল এবং মাল্টিপ্লেয়ার
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টসঃ
ডুয়াল কোর প্রসেসর,
৪ গিগাবাইট র্যাম,
১ গিগাবাইট গ্রাফিক্স কার্ড
উইন্ডোজ সেভেন
ডাইরেক্ট এক্স ১০
টাইটানিক, টার্মিনেটর খ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামরন ২০০৯ সালে নিয়ে
আসেন ‘এ্যাভাটার’ নামক এক চলচ্চিত্রের যা একটি পান্ডোরা নামক এলিয়েন উপগ্রহ নিয়ে রচিত। ছবির কাহিনী নিয়েই গেম কম্পানি উবিসফ্ট(UBI Soft) চলচ্চিত্রের সংগেই নিয়ে আসে এর ভিডিও গেম। গেমটি এমনভানে তৈরী করা যেন মনে হয় গেমটি মূল চলচ্চিত্রেরই একটা অংশ।
এভাটার:দ্যা গেম, চলচ্চিত্রে দেখানো উপগ্রহতেই শুরু হয় কিন্তু গেমটি পুরোপুরি ছবির নকল নয়। বরং এটি পান্ডোরা উপগ্রহের অতীতের কথা বলে।
পান্ডোরা হল এমন এক যায়গায় যেখানেই একমাত্র “উনোবটনিয়াম” নামক এক খনিজ পাওয়া যায়। দুর্ভাগ্যবশত পান্ডোরার পরিবেশ মোটেই মানুষের জন্যে উপযুক্ত নয় এবং এখানে কিছু আক্রমনাত্নক জাতি বাস করে। এদের মধ্যে রয়েছে মাংশখেকো গাছ এবং “না’ভি”, একটি এলিয়েন জাতি যারা ১০ ফুট লম্বা। আরডিএ, একটি মিলিটারি দল এই খনিজ পাওয়ার লক্ষ্যে “এভাটার” বা অবতার তৈরী করে। এভাটার হচ্ছে মানুষ আর না’ভি এর মধ্যে জেনেটিক হাইব্রিড প্রানি যা মিলিটারিরা এভাটারদের সংগে যুদ্ধ করতে তৈরী করে।
তাই সত্যই সত্যই যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।
কাহিনী খুব কমই খেলোয়ারকে বোঝানো হয় গেমের শুরুতে। তাই দ্রুতই আপনি নেমে যাবেন এবেল রাইডার, একজন নতুন এভাটারযুক্ত আরডিএ রিক্রুট এর ভুমিকায়। দ্রুতই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি না’ভি নাকি আরডিএ এর হয়ে খেলবেন। গেমটি কোনো সময় নষ্ট না করেই কাহিনীতে চলে যায়।
ভনিতা না করে কিছু সাধারণ অভিযান আর হালকা কাহিনী দিয়ে খোজা হয় একটি বিশেষ পাথর যার সম্বন্ধে আপনার কোনো ধারনাই নেই।
যদি আপনি আরডিএ’র হয়ে খেলতে চান তবে এভাটার:দ্যা গেম একটি থার্ড পার্সন শুটার হিসেবে আবির্ভূত হয় সাথে দেয় প্রচুর অস্ত্র আর যুদ্ধযান। না’ভিদের হয়ে যুদ্ধ করলে এসবের বদলে থাকবে প্রাচিন গদা, দন্ড, ছুরি। সম্মুখ যুদ্ধেই না’ভি যোদ্ধাদের মুল শক্তি। তবে তীর-ধনুক এবং মেশিনগান থাকবে দুরগামী অস্ত্র হিসেবে।
যদিও দুই পক্ষেরই বিভিন্ন পাওয়ার আছে। এই বৈশিষ্টের ফলে নতুন অভিজ্ঞতার আবির্ভাব হয়।
গেমটি অতি আকষর্নীয় হলেও দুঃখের ব্যাপর হল দুভাবেই গেমটির আকার মাত্র ৬ ঘন্টার। বেশি হতে পারে যদি অতিরিক্ত পার্শমিশনগুলো খেলেন। গেমটির সবচেয়ে আকর্ষনীয় বিষয় হল পান্ডোরা উপগ্রহ।
গেমে গ্রহটিকে খুবই যত্নের সাথে ডিজাইন করা হয়েছে। চলচ্চিত্রের পান্ডোরার মতই সব কিছু রয়েছে গেমের পান্ডোরায়। এ গেমে পান্ডোরা উপগ্রহটি ডিজাইন করতেই সব কষ্ট করা হয়েছে যেন। এজন্যে গেমের অন্যান্য শাখায় কোনো উন্নতি করা হয়নি। পান্ডোরা উপগ্রহটি ছাড়া গেমের মধ্যে বলার মত কিছুই নেই।
মেইন মেনু
চেহারা চয়েজ করো!
ঠিসা ঠিসা ঠিসা!
ডাউনলোডঃ
http://kickass.to/james-cameron-s-avatar-the-game-t6163090.html
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।