আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভয়াবহ বি ডি আর হত্যাকাণ্ডের সেই বিভীষিকা ও ষড়যন্ত্র

সবাই ভাল থাকি

আজ সেই ভয়াবহ ২৫শে ফেব্রুয়ারী , দেশের যে বি ডি আর একসময় ভারতীয় কমান্ডো বাহিনীকে পর্যন্ত মৃত্যুর স্বাদ দিসিল, ভারতিয় কুত্তারা যাদের বুঝে শুনে চলত সেই বি ডি আর একেবারে ধ্বংস হয়ে গেল এইদিন , শাহাদাৎ বরণ করলেন ৫৭ জন সেনা অফিসার। আমার জীবনে এত বীভৎস হত্যাকাণ্ড দেশে আর দেখিনি ।
এই বি ডি আর হত্যাকাণ্ডে শুধু কিছু উশৃঙ্খল বি ডি আর জড়িত ছিল এটা কখনোই বিশ্বাস হবেনা , ৭৫ থেকে ৮১/৮২ হয়ে আজ পর্যন্ত সব রকমের হত্যাকাণ্ডেই দেশের ভেতরে যেমন কারো মদদ ছিল তেমনি ছিল বাইরের দেশের মদদ , এইখানেও ছিল নিশ্চিতই বলা যায় । অনেক প্রশ্নের ই উত্তর পাওয়া যায়নি যেমন সেদিন সকালে নাকি একটা ট্রাক ঢুকেছিল পিলখানায় যেটা বি ডি আর এঁর না , কারা বি ডি আর দের পালাতে সাহায্য করল , বিদ্রোহ চোলাকালে নাকি বাইরের দেশের কারো সাথে কেউ কথা বলতেসিল এমনও পড়সিলাম মনে হয় , আরও অনেক প্রশ্ন যেগুলার উত্তর হয়ত জানা হবেনা আর ।
কারা মদদ দিসিল, বাইরের কারা জড়িত এটা জানা হয়ত যাবেনা, হয়ত ৫০-১০০ বছর পরে সি আই এ এঁর গোপন ফাইল এ জানা যাবে কারা ছিল কিন্তু আমরা দেশবাসি এটা বুঝি এতে কাদের সবচেয়ে লাভ হইসে আর কারা প্রত্যক্ষ পরোক্ষ নাইলে সমর্থন দিসিল নাইলে এত সাহস ওই হারামিরা পাইতনা ।
চিন্তা করলে খুব খারাপ লাগে যে টিভিতে যখন শুন্তেসিলাম যে আর্মিরা নাকি বি ডি আর দের টাকা মেরে খায় আর তারপর যখন দেখলাম বুড়িগঙ্গায় সেনাদের লাশ ড্রেন দিয়ে আস্ তেসে তখন ভাবসিলাম পাপের শাস্তি পাইসে , এখন খারাপ লাগে কি উল্টাপাল্টা ভাবসিলাম , আসলে কত বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছিল দেশের মেরুদণ্ড ভাঙ্গার , একি সাথে সীমান্ত রক্ষাকে একেবারে শেষ করে দিয়ে দেশের সেনা আর আরেক বাহিনির মধ্যে যুদ্ধ লাগিয়ে দেশকে শেষ করার ।
সেনার পরিবারের উপর দিয়ে যা গেছে সেটা বলা যায়না , সহ্য করা যায়না , বি ডি আর প্রধান শাকিলের পরিবারের ভয়াবহ কাহিনি শুনলে গা শিউরে উঠে ।
সেনা পরিবাব বিচার পাবেনা , অন্তত তাদের স্বজনদের নিয়ে নানা দলের নষ্ট রাজনীতি না হোক ।
ষড়যন্ত্র ছিল , আছে থাকবে , দেশের ভিতরে বেইমান বাইরে শয়তান থাকবেই, তবুও ইন শা আল্লাহ আমাদের ধংস করতে পারবেনা সে যে ই হোক ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.