আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএনপিবিহীন বন্ধ্যা রাজনীতিতে টনিক হয়ে কাজ করেছে চলতি চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন।

বিএনপিবিহীন বন্ধ্যা রাজনীতিতে টনিক হয়ে কাজ করেছে চলতি চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন। জনবিচ্ছিন্ন যেসব বামপন্থী আওয়ামী লীগের নৌকায় সওয়ার হয়ে দলকে ডোবানোর এজেন্ডা হাতে নিয়েছিল তারাই এখন আবার উল্টো কথা বলতে শুরু করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি বাঁক ফেরানো ঘটনায় যুক্ত ঐতিহ্যবাহী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এখন কোন দিকে যাবে সেটাই দেখার বিষয়। একতরফাভাবে অনুষ্ঠানের পেছনে যুক্তির অভাব সরকারি দলের কম ছিল না। কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাবনায় সেসব যুক্তি স্থান পায়নি।

দলকানা বুদ্ধিজীবী, দলাসক্ত মিডিয়ার কল্যাণে সরকারি দল সব কিছু নিজেদের অনুকূলে নেয়ার যে পরিকল্পনা নিয়েছিল তা হোচট খেয়েছে।
গত পাঁচ বছরে অবিরাম প্রচারণার ফলে যে আওয়ামী লীগ পাহাড়সমান জনপ্রিয়তায় শিক্ত ছিল, এখন সেখানে ধস নেমেছে। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে বিভক্ত করায় উসকানি দিয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার কেড়ে নেয়ায় উপজেলাপর্যায়ে স্থানীয় সরকারের নির্দলীয়-নিরপে নির্বাচন হওয়া সত্বেও সাধারণ মানুষ পূর্ণ মাত্রায় তার সদ্ব্যবহারের চেষ্টা করেছে। এমনকি এ নির্বাচনে সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করেও কাক্সিক্ষত সুবিধা আদায় করতে পারেনি।

বাংলাদেশে ৭০ ও আশির দশকে ভোটারবিহীন কারচুপির নির্বাচনের যে ধারা চলে আসছিল নব্বই দশক থেকে তাতে গুণগত পরিবর্তন আসে। কিন্তু বর্তমান সরকারের অধীনে জনগণের স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের সে আশা ফিকে হয়ে যায়। উপজেলা নির্বাচনে জনগণ তার জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছে। বৃহস্পতিবার দেশের ৫২টি জেলার ১১৫টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ১১২টি উপজেলার ফলাফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এতে বিএনপি-জামায়াত জোট ৬২টি উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি ৫৪টি ও জামায়াত ৮টি উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছে। অন্য দিকে ক্ষমতাসীন সরকারের দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ৪৫টি উপজেলায় বিজয়ী হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৪টি ও জাতীয় পার্টি একটি উপজেলায় বিজয়ী হয়েছে। এ ছাড়াও দুই উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী, এক উপজেলায় ইউপিডিএফ সমর্থিত ও তিন উপজেলায় জনসংহতি সমিতি সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

কেন্দ্র দখল ভোট জালিয়াতির পরও এগিয়ে বিএনপি- জামায়াত জোট। শত প্রতিকূলতার পরও বিএনপির বেশি উপজেলায় জয় প্রমাণ করে জনপ্রিয়তায় তৃণমূলে দলটি ক্রমশ আওয়ামী লীগকে আরও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের কৃপায় অনেক দল সংসদে গেলেও বাংলাদেশের তৃণমূলে এইসব দলের যে কোন অবস্থান নেই তা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে। নির্বাচনে দখল উৎসবের পরও বিএনপি-জামায়াত সমর্থকরা বেশি উপজেলায় জয়ী হয়েছেন। প্রকৃত ভোট হলে ফল কী হতো এতেই তা অনুমান করা যায়।

তথ্যসুত্র: প্রত্রিকাসমূহ।

সোর্স: http://prothom-aloblog.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।