আর এ ঘটনায় উভয়পক্ষই পরস্পরকে দোষারোপ করেছে। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়, যাতে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকার করার আগ পর্যন্ত কোনো আইন প্রণেতা পার্লামেন্টে কথা বলতে পারবেন না।
দেশটির বিরোধীদল জানিয়েছে, মঙ্গলবার পার্লামেন্টে সরকারপক্ষের একদল আইন প্রণেতা তাদের আইন প্রণেতাদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে।
পরবর্তী সময়ে জুলিও বোর্গেস নামে এক আইন প্রণেতা হাতাহাতির কারণে আহত মুখমণ্ডল নিয়েই স্থানীয় টেলিভিশন স্টেশনে হাজির হন।
সেখানে বোর্গেস বলেন, “তারা আমাদের মারধর করতে পারে, কারাগারে পাঠাতে পারে, হত্যা করতে পারে কিন্তু আমরা আমাদের নীতি বিক্রি করবো না। ’
তিনি আরো বলেন, “এই আঘাত আমাদের আরও শক্তিশালী করবে। ”
তবে এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সরকারদলীয় আইন প্রণেতারা বিরোধীদলকেই দায়ী করেছেন।
দেশটিতে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রয়াত উগো চ্যাবেস মনোনীত নিকোলাস মাদুরো খুব সীমিত ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বী হেনরিক ক্যাপ্রিলেসকে পরাজিত করেন।
আনুষ্ঠানিক ফলাফলে তা ঘোষণা করা হলেও ক্যাপ্রিলেস পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান।
ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল ইলেক্ট্রোরাল কাউন্সিল (সিএনই) ক্যাপ্রিলেসের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে সোমবার জানিয়েছে, জনাব মাদুরো ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ পয়েন্ট বা ২ লাখ ২৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।
কিন্তু তারপরও বিষয়টি নিয়ে এখনো দেশটির রাজনীতিতে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।