তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার রামেশ্বরগাতী ও গ্রামপাঙ্গাসী গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ২জন গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
এ সময় রামেশ্বরগাতীর প্রায় ২০টি বসতবাড়ী, দোকানপাট ভাংচুর-লুটপাট এবং খড়ের গাদা, আসবাবপত্রে আগুন দেয়া হয়। আহতদের মধ্যে ১৫জনকে সিরাজগঞ্জ সদর ও রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিড়্গেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
এলাকাবাসী জানায়, গত শুক্রবার গ্রামপাঙ্গাসী বাজারে রামেশ্বরগাতীর ফরহাদ মেম্বরের ভাই রহিচ লাউ বিক্রি করতে গেলে গ্রামপাঙ্গাসী গ্রামের মাংস ব্যবসায়ী আকতার হোসেন সাথে কথাকাটির এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দুদফা সংঘর্ষ ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। গতকাল রাতে গ্রামপাঙ্গাসীর লোকজন বাজারে অবস্থিত রামেশ্বরগাতী গ্রামের লোকজনের দোকানপাট ভাংচুর করে। এ নিয়ে দুপক্ষে আরো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরই জের ধরে আজ সকালে উভয়গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গ্রামপাঙ্গাসীর লোকজন আশপাশের কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক লোকজন নিয়ে রামেশ্বরগাতী গ্রামের ভিতর ঢুকে অন্তত ২০টি বসতবাড়ী ভাংচুর-লুটপাট এবং খড়ের গাদা, শ্যালো মেশিন ও আসবাব পত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে মনোহরপুর গ্রামের মাজেম ও গ্রামপাঙ্গাসী গ্রামের সোহাগ আহত হয় এবং দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গ্রামবাসী গ্রামের সাইফুল খন্দকার, সবুজ ভূঁইয়া, আমিন, সোহরাব ও আঃ সালাম এবং রামেশ্বরগাতীর সামিদুল, ফারুক, আব্দুল জলিল, জাহানারাম হাফিজুল ও আশরাফ অন্তত ৩০জন আহত হয়।
রায়গঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদ উদ্দিন ভুইয়া জানান, ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিচার্জ ও দুই রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দমকল বাহিনীর লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রন করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ফিরোজ শাহ এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয়পক্ষের মুরুব্বীর সাথে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আলোচনা করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।