শাসক দল । ।
হিটলার সম্পর্কে মজার তেমন তথ্য না থাকলেও চিত্তাকর্ষক কাহিনীর শেষ নেই। হিটলারের জীবন সম্পর্কে, তার চালচলন সম্পর্কে আমাদের যেন কৌতূহলের শেষ নেই। হিটলারের উপর এমনই কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো-
ব্যক্তিগত বহিঃপ্রকাশ
*হিটলারের গোসল বা নগ্ন হওয়ার সময় কারো প্রবেশানুমতি ছিল না।
তিনি কখনও কোন পারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহার করতেন না।
*যত গরমই লাগুক না কেন তিনি জনসম্মুখে কখনও তার ব্যবহৃত কোটটি খুলতেন না।
*১৯২৩ সালে নাজি প্রেস সেক্রেটারি ড. সেজুইক হিটলারকে ছোট গোঁফ স্বাভাবিকভাবে বড় করার জন্য উৎসাহ দিয়েছিলেন। গোঁফ বড় করার বিষয়ে হিটলারকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। প্রতিউত্তরে হিটলার বলেছিলেন, ‘আমার গোঁফ নিয়ে উদ্বিগ্ন হইও না, যদিও এই ছোট গোঁফ এখন ফ্যাশন না, তবে পরবর্তীতে এটাই ফ্যাশন হয়ে যাবে’।
*শারীরিক ওজন ছিল ১৫৫ পাউন্ড আর উচ্চতায় ছিলেন ৫ ফিট ১০ ইঞ্চি।
সামাজিক আচরণ
*যখন তিনি খেতে বসতেন তখন অপ্রাসঙ্গিক বা স্বাভাবিক গল্পগুজব করতেন। কিছু মুহূর্তের ব্যবধানেই তিনি তার জীবনের পথচলার ও অন্যান্য চলমান ঘটনার গল্প করতেন। গল্প বলার ধরণটি ছিল বিরতিহীন।
* তার আলোচনায় ঘুরেফিরে যে বিষয়টি তিনি উল্লেখ করতেন তা হলো, ‘যখন আমি সৈনিক ছিলাম, যখন আমি ভিয়েনায় ছিলাম, যখন আমি জেলে ছিলাম, যখন শুরুর দিকে দলের নেতা ছিলাম …।
’
*যদি হিটলার ওয়াগনার বা অপেরা সম্বন্ধে কিছু বলতে শুরু করতেন কারও সাহস ছিল না তার কথার মাঝে কথা বলার। এমন কি শ্রোতারা একপর্যায়ে যদি ঝিমিয়েও পড়তেন তবুও তিনি কথা থামাতেন না।
ব্যক্তিগত কিছু অভ্যাস
*খেলাধুলা কিংবা কোন ধরনের শরীরচর্চার ওপর হিটলারের কোন আকর্ষণ ছিল না। তিনি এগুলো করতেন না। তবে তিনি মাঝে মাঝে হাঁটাহাঁটি করতেন।
*তিনি তার নিজ কক্ষে কর্নার থেকে কর্নার আড়াআড়িভাবে একই গতিতে হাঁটাহাঁটি করতেন।
*হিটলারের হাতের লেখা ছিল একেবারে নিখুঁত। ১৯৩৭ সালে বিখ্যাত মনস্তাত্ত্বিক কার্ল জাং হিটলারের একটি লেখা দেখে মন্তব্য করেন- এই হাতের লেখা দেখে আমাকে স্বীকার করতেই হয় যে এটা মেয়েলী প্রকৃতির।
বিনোদন
*হিটলারের বিনোদনের জন্য তার অধীনস্থ কর্মচারীরা সঙ্গোপনে রাজবন্দীদের নির্যাতন ও তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ভিডিওচিত্র দিয়ে চলচ্চিত্র বানাতেন। বলাই বাহুল্য, এ ধরনের চলচ্চিত্র বেশ উপভোগ করতেন তিনি।
হিটলারের নির্বাহী সহযোগী কর্মকর্তারা তার জন্য পর্নো ও চলচ্চিত্রও সংরক্ষণ করে রাখতেন।
*‘অ্যামেরিকান কলেজ’ ফুটবলে যে ধরনের মিউজিক ব্যবহার করা হয়, সাধারণ আম-জনতার মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে হিটলার তার বক্তৃতার সময় সে ধরনের মিউজিক ব্যবহার করতেন। অ্যামেরিকান ফুটবলের চিয়ারলিডাররা দর্শকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য যে কৌশল অনুসরণ করতো, সেই একই কৌশল অবলম্বন করে সভা-সমাবেশে ‘সিয়েগ হেইল!’ বলে শ্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করতেন হিটলার।
*হিটলার সার্কাস দেখতে পছন্দ করতেন। সার্কাসের কসরতকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ অভিনয় হিটলারকে বেশি আনন্দ দিতো।
১৯৩৩ সালে তিনি অনেকবার সার্কাস দেখেছেন বলে জানা যায়। সার্কাসের নারী কসরতকারীদের তিনি দামী চকোলেট ও ফুল দিতেন। এমনকি মাঝে মাঝেই হিটলার তাদের নাম স্মরণ করতেন, তাদের পরিবার, তাদের ঝুঁকিপূর্ণ পেশা নিয়ে উদ্বিগ্নও হতেন।
*তিনি আদিমতা বা বন্যদের মতো অভিনয় (আচরণ), মেয়েদের বিপদে পড়াকে কখনও সমর্থন বা পছন্দ করতেন না।
*তিনি প্রায় রাতেই তার ব্যক্তিগত থিয়েটারে সিনেমা দেখতেন, বিশেষ করে যেগুলো জার্মান জনগণের কাছে নিষিদ্ধ ছিল।
তিনি কমেডি সিনেমা বেশী পছন্দ করতেন। মাঝে মাঝে তিনি জিউস গায়িকাদের গান পছন্দ করতেন। কিন্তু গান শোনার পর তিনি সেগুলোকে আবার মন্দ হিসেবে আখ্যায়িত করতেন।
*তিনি জিপ্সি মিউজিক, ওয়াগনার, অপেরা, বিশেষ করে অ্যামেরিকান কলেজের ফুটবল মার্চের গানগুলোর বন্দনা করতেন বেশ।
অন্যান্য
*উৎসাহ, প্রেরণা পাওয়ার জন্য হিটলার সব সময় তার ডেস্কে ‘হেনরি ফোর্ড’র পট্রেইট রাখতেন।
* ছোটবেলায় হিটলার ধর্মযাজক ও চিত্রশিল্পী হতে চেয়েছিলেন।
*হিটলারের মায়ের মৃত্যুর পর ও আর্ট স্কুল থেকে দ্বিতীয়বারের মত বিতাড়িত হওয়ার পর হিটলার ছিল একেবারেই গৃহহীন, আশ্রয়হীন।
*হিটলার ছিলেন নিরামিষভোজী, অন্যদিকে হিটলার দিনে দুই পাউন্ড পর্যন্ত চকোলেট খেতে পারতো।
*হিটলার যিনি জার্মানিতে জন্মগ্রহণ না করেও জার্মানির চ্যন্সেলর হয়েছিলেন অথচ তিনি জন্ম নিয়েছিলেন অস্ট্রিয়ায়।
*অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন হিটলার আসলে পারকিনসন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
*হিটলারের শারীরিক ওজন মূলত পুরোপুরি যথার্থ নয় । মেডিকেলে শারীরিক চেকআপের সময় তিনি জামা কাপড় খুলতে বরাবরই ছিলেন নারাজ।
* ১৯৩৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য হিটলারকে মনোনীত করা হয়েছিল।
*৩০ এপ্রিল ১৯৪৫ সালে স্ত্রী ইভা ব্রাউন এবং হিটলার একসাথেই আত্মহত্যা করেন।
Print Friendly
http://dailysylhet.com/features/47706.php
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।