ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে হানাহানি সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কলঙ্ক!
গহীন রাতে গ্যাব্রিয়েলের হার্পের মূর্ছনা
অথবা জং ধরা পিয়ানোর রিডে
বুকে মোচড় ধরিয়ে দেয়া টুংটাং – শব্দ অথবা গঞ্জনা
সবকিছু , সবকিছু মনে করিয়ে দেয়
প্রজ্ঞা পারমিতা ;
সেই সন্ধ্যে, ছায়াঘেরা পথে
পাশাপাশি হেঁটেছিলেম তুমি-আমি –আর
আলোআঁধার
আমার মিতা !
গহীন রাতে – আমার ঘরের মেঝেতে
অনন্তকাল ধরে ছুটে চলা একটা ইঁদুর
ও তার একপাল ছানাপোনা
কুটকুট কুটকুট শব্দ তুলে সব কেটেকুটে ছারখার করে দেয় !
তাই দেখে মস্তিষ্কের র্যাম খুলে
পরিজের খুশবু মাখিয়ে ফেলে রেখেছি গত দশ দিন ধরে
ঘরের সবচেয়ে শান্ত , চুপচাপ কোনাটিতে।
লাভ হয়নি, লাভ হয়নি কোনও
প্রজ্ঞা পারমিতা ;
সব ছাইপাশ খেয়ে সাবাড় করে দিলেও
আমার ক্ষয়ে যাওয়া স্মৃতির বাকশ
ঐ রাক্ষুসে মূষিকের মনে কোনও আকাঙ্খা জাগায় নি ।
গহীনরাতে , এই গহীনরাতে
প্রজ্ঞা পারমিতা ;
এ জীর্ণ শহরের বুকে আকাশে চুমু খাওয়া এক দালানে পাশাপাশি দুটো চেয়ার
ঠায় বসে আছে জড়াজড়ি করে ,
সুপ্রাচীন বৃক্ষের মত তাদের পায়ে জন্মেছে শেকড় !
রিকশাওয়ালা , ঠিক সেই রিকশাটি নিয়ে
এই প্রাচীন শহরের অলিতেগলিতে হন্যে হয়ে ছুটছে অন্ধের মত,
যাতে একটিবার , আরেকটিবার
প্রজ্ঞা পারমিতা ;
রংধনুর সাতটি রঙ
তার তিচক্রি বাহনে আকাশের চোখকে ঝলসে দিয়ে জ্বলে ওঠে!
গহীন রাতে – আমি ভালো আছি , জেনে রেখো ,
প্রজ্ঞা পারমিতা;
বৃদ্ধের বুকের সফেদ লোমের মত সুভ্র , সফেন যত অনুভূতি
বৃদ্ধ হয়ে শুকিয়ে মরে যাবে,
শুধু মনের মাঝে ডলফিনের মত ডুবসাঁতার
মাথায় ঘোরা জয়গুরু , মলচত্তরের ঝরাপাতা আর...।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।