উৎসবের উদ্বোধন করবেন রাজারবাগ পুলিশ লাইনে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধকারী পুলিশ এবং শহিদ পরিবারের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া, ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কামরুল ফারুক, ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম এবং ৭ মার্চের ভিডিও ধারণকারী চিত্রগ্রাহক এম এ মোবিন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ এবং সহ-সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
গ্লিটজকে এ খবর জানিয়েছেন উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মনোয়ার মাহমুদ জুয়েল।
আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তাফার পরিবেশনায় শুরু হবে উৎসব। একক আবৃত্তি করবেন হাসান আরিফ, মাহিদুল ইসলাম এবং ঝর্না সরকার।
দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করবে শ্রুতিঘর, ঢাকা স্বরকল্পন এবং বাকশিল্পাঙ্গন।
এদিন পুলিশবাহিনীর সদস্যরা ‘রাজারবাগ ৭১’ নামে একটি নাটক পরিবেশন করবেন। নাটকটি রচনা করেছেন মান্নান হীরা।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিশিষ্ট নাট্যাভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার, শিমুল ইউসুফ ও শমী কায়সারকে সম্মাননা জানাবে বাকশিল্পাঙ্গন। সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।
সম্মাননা প্রদান শেষে থাকছে নারী আবৃত্তিকারদের একক পরিবেশনা। এরপর থাকছে কথা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র, স্রোত আবৃত্তি সংসদের নারী সদস্যদের বৃন্দ পরিবেশনা। তাদের আবৃত্তির সঙ্গে নৃত্যপরিবেশনা করবে সংগঠনগুলোর নৃত্যশিল্পীরা।
২০১০ সালে আবৃত্তিশিল্পী আযহারুল হক আযহার, ঝর্না সরকার, নাসির উদ্দিনসহ আরও অনেক বন্ধুকে নিয়ে মাহমুদ জুয়েল গড়ে তোলেন আবৃত্তি সংগঠন বাকশিল্পাঙ্গন। সংগঠনটি এ পর্যন্ত ৭টি আবৃত্তি প্রযোজনা এনেছে।
এগুলো হল ‘তবুও মাথা নোয়াবার নয়’, ‘ঘর গেরস্থি’, ‘বর্ণচোরা’, ‘দেবতার গ্রাস’, ‘হা-এর ভেতর ড্রাগন ঘুমায়’, ‘মা ও মেয়ের যুদ্ধ’ এবং ‘আওয়াজ তুলেছে পয়লা মে’। প্রমিত উচ্চারণ ও আবৃত্তি শিক্ষাবিষয়ে তাদের একটি স্কুলও রয়েছে।
‘শেকল ভাঙার পদ্য’ শিরোনামে বাকশিল্পাঙ্গন ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো আবৃত্তি উৎসবের আয়োজন করেছিল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।