জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন অনেক আগেই। কিন্তু ঘরোয়া ফুটবলে এখনো নির্ভরতার সঙ্গে খেলে যাচ্ছেন দেশের অন্যতম সেরা ফুটবলার আমিনুল হক। বাংলাদেশে যদি পাঁচজন সেরা গোলরক্ষকের নাম আসে তাহলে আমিনুলের নাম অবশ্যই ঠাঁই পাবে সেখানে। জাতীয় দলে না থাকলেও বিপ্লব ভট্টাচার্যের পাশাপাশি এখনো আমিনুলের পরিচয় দেশসেরা গোলরক্ষক হিসেবেই। দেশের সবকটি শীর্ষ ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
এবার তিনি নাম লিখিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়াচক্রে। মৌসুমে প্রথম ট্রফি ফেডারেশন কাপে দুর্দান্ত খেললেও সেমিফাইনালে টিম বিজেএমসির বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাইরে যান। লিগের প্রথম পর্বে তাকে আর দেখাই যায়নি। পুরোপুরি সুস্থ হওয়াতে আমিনুল জানালেন অবশ্যই আমি দ্বিতীয়পর্বে নামব। এটা নিঃসন্দেহে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য সুসংবাদ।
এদিকে ফুটবল ক্যারিয়ারের পাশাপাশি নতুন ক্যারিয়ারে পা রাখলেন দেশের অন্যতম সেরা এ ফুটবলার। বুধবার তিনি গুলশানে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগ দিলেন। হুট করে কেন এ সিদ্ধান্ত, আমিনুল বললেন না হুট করে নয়। দীর্ঘদিনের আমার স্বপ্ন ছিল বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত হওয়ার। কলেজ জীবন থেকেই আমি শহীদ জিয়ার আদর্শের বিশ্বাসী।
কোনো দলকে ছোট করে দেখছি না। কিন্তু আমি মনে করি দেশের মানুষের সেবার জন্য বিএনপিই হচ্ছে উত্তম প্ল্যাটফরম। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তারেক জিয়ার নির্দেশে আমি দেশের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখব।
ভবিষ্যতে সংসদ পদে নির্বাচন করা ইচ্ছা আছে কিনা? আমিনুল বলেন, রাজনীতি দলে যোগদান করলেই প্রশ্নটা ওঠা স্বাভাবিক। বাংলাদেশে অনেক ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়াবিদ বিভিন্ন দল থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
কিন্তু আমার সেই ইচ্ছা নেই, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার সাধারণ কর্মী হিসেবে বাংলার দুখী মানুষের সেবার জন্যই আমি দল হিসেবে বিএনপিকে বেছে নিয়েছি। নেত্রী কিংবা পার্টির ঊধর্্বতন কর্মকর্তারা আমাকে যে নির্দেশনা দিবেন তা অবশ্যই সাধ্যমত পালন করার চেষ্টা চালাব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।