আল্লাহর শেষ নবী (স) তাঁর উম্মতের জন্য যে কুরআন ও ছুন্নাহ রেখে গেছেন তা আঁকড়ে ধরার নির্দেশ দিয়েই বলেছেন- তারাকতু ফীকুম আমরাইন। আমি তোমাদের মধ্যে রেখে গেলাম কোরআন-ছুন্নাহ। তোমরা পথহারা হবে না যদি ধরে রাখ। তাই কোরআন সুন্নাহ কিভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে তার নিয়ম পদ্ধতিই বা কেমন হবে তা শোনানোর জন্য মওলানা মহাম্মদ আলীর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী জ্ঞানচর্চা মিশনের উদ্যোগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী কুষ্টিয়া হাউজিং এষ্টেটের দি এ টিম মাঠের স্থায়ী মঞ্চে এক ইসলামী সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এ সেমিনারের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন ফুরফুরার পীর আব্দুল কাহহার আনছারীর জামাতা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদীছ বিভাগের অধ্যাপক ড: আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর।
হাদীসে জালিয়াতি নামকরণ করে যিনি একটা সমালোচনা পূর্ণ গ্রন্থ লিখেছেন। শ্রোতাগণ অধীর আগ্রহে চেয়েছিলেন এই হাদীছ বেত্তার আলোচনায় কুরআন সুন্নাহর দালিলিক পর্যালোচনা শুনবে। কিন্তু তিনি এত বড় একজন সুযোগ্য পন্ডিত হয়েও উল্লেখ্য বিষয়ের উপর কুরআনের একটি আয়াত বা একটি হাদীসও পেশ করতে সক্ষম হননি। তিনি যখন হাদিস বেত্তা এবং এই বিষয়েরই অধ্যাপক তখন অন্তত হাদীস গ্রন্থের ইঅতিছাম বিল কিতাব ওয়াছ ছুন্নাহ (কিতাব ও ছুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা) অধ্যায় থেকে একটি হাদীসও তুলে ধরতে পারেননি। ইসলামী সেমিনার নামে প্রচারিত অনুষ্ঠানে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা থাকবে বলে বুক ভরা আশা নিয়ে শিক্ষিত ও বিজ্ঞ শ্রোতাগণ হাজির হয়েছিলেন অথচ ড: সাহেবের মুখ থেকে নির্ধাারিত বিষয়ের কোনো স্পর্শই পাওয়া যায়নি।
ফলে শ্রোতাগণ একবারেই হতবাক হয়ে গেছেন। শ্রেতাগণ মনে করেছিলেন কুরআন ছুন্নাহ আঁকড়ে ধরার জন্য তাদের কি কি করণীয় আছে তা প্রধান আলোচক অবশ্যই বিস্তারিত তথ্য প্রমাণ বুঝিয়ে দেবেন কিন্তু দেখা গেল ড: সাহেব ইচ্ছা করেই বিষয়বস্তুর প্রতি নজর দেননি। ডক্টর সাহেব খৃষ্টান মিশনারীজদের আলোচনা শুরু করে দিলেন। তিনি একটি হিসেব দিয়ে বললেন যে স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় ৫ লাখ মুসলমান খৃষ্টান হয়ে গেছে। কিন্তু এতে শ্রোতাদের মনে প্রশ্ন বিদ্ধ হতে থাকে যে, তাহলে দেশে এত পীর এবং বিশেষ করে ডক্টর সাহেবের শ্বশুরের পাকশী খানকা শরীফে ইসলামী মিশন কোরআনি ছুন্নি ৬০ বছর ধরে কয় জন হিন্দু খৃষ্টানদেরকে মুসলমান করেছেন।
তার তো কোনো তালিকা দিলেন না। তালিকা দিলেন শুধু ৫ লাখ মুসলমান নরনারীর খৃষ্টান হওয়ার কথা।
তিনি আরোও বললেন যে বর্তমান বিশ্বে হিব্রু ভাষায় কোনো ইঞ্জিল কিতাব নেই। অতএব ইঞ্জিল সবই পরিবর্তন হয়ে গেছে। তিনি খৃষ্টানদের বিরুদ্ধে একটি পুস্তিকা লিখেছেন তাতে সব কিছু তুলে ধরেছেন।
তিনি আরও কি কি বই লিখেছেন, তা উল্লেখ করে নিজেকে প্রমাণ করলেন যে তিনি বক্তৃতার মঞ্চে কিভাবে তার বই বিক্রি হয় সেই চেষ্টায় তিনি হারিয়ে ফেলেছেন সেমিনারের নির্ধারিত বিষয়ের উপর আলোচনা রাখার।
ডক্টর সাহেব ফুরফুরার পীরের জামাতা হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে কম অহংকার বোধ করেন নি। তিনি পাকশির খানকা শরীফে একটি বড় মাপের হাসপাতাল হচ্ছে বলে ঘোষণা দিলেন। এটি একটি শুভ সংবাদই বটে। তিনি যদি এভাবে আরোও একটি ইসলামী মিশনারী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন।
তাহলে যার পরনাই ইসলামের খেদমত হবে। বর্তমানে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো মিশনারী বিভাগ খোলা হয় নি বরং অবতার বাদী সন্যাসী বাউল স¤্রাট লালন সাঁই যিনি তাঁর গানে গানে নামাজের বিরুদ্ধে বরযখি নামাজ হজ্জে¦র বিরুদ্ধে নারীকে ইমাম বানানোর হজ্জ¦ রছুলকে খোদা বলা ইত্যাদি বেশরা কথা সৃজনকারীর নামে একটি ছাত্রাবাসের নামকরণ করে ইসলামী ভাব মুর্তি বিনষ্ট করা হয়েছে। ডক্টর সাহেব তার এলোপাথাড়ি বক্তব্যে এসব কিছুই তুলে ধরলেন না। এই বিশ্ব বিদ্যালয়ের জনৈক কর্মকর্তা বাউল স¤্রাট লালন শাহ নাম করণ করে ৬০০ পৃষ্ঠার একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। যে গ্রন্থে নবী মহাম্মদ (ছ)-এর পিতা ছিলনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং নবী রছুলগণ নাকি ওলী আউলিয়াদের দরবারে ঘুর ঘুর করে বেড়ান এলেমে লা দুন্নি হাছিল করার জন্য।
দুঃখের বিষয় আজকের প্রধান অতিথী ডক্টর সাহেব এরও কোনো প্রতিবাদ করলেন না। যা হোক প্রায় ৬০ বছর পর পাকশির খানকা শরীফে একটি আর্šÍজাতিক পর্যায়ের একটি হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে বলে যে ঘোষনা দিয়েছেন ডক্টর সাহেবকে এ জন্য ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে এবং এই পাকশী খানকা থেকে ইসলামী মিশন কুরআনী ছুন্নীর উদ্যোগে আর্ন্তজাতিক মানের একটি ইসলামীক মিশনারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য অচিরেই ঘোষণা দেবেন আশা করি। একদিন হয়ত পাকশীর খানকা হতে ইসলাম প্রচারের জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আলেমগণ বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বেন এবং এখান থেকেই কোরআন ও ছুন্নাহ কায়েমের জন্য একটি আন্দোলন গড়ে ওঠতে পারে। ইসলামের বিধিবিধান ও দন্ড বিধি যেমন চোরের হাত কাটার আইন, মদ জুয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে, সুদী এনজিওর ঋণ প্রকল্প বন্ধ হয়ে চালু হবে করজে হাছানা বিভাগ। আসলে তো খানকায়ি ইসলামে এসব হওয়ার কথা নয়।
এজন্য এ খানকাকে রেছালাতের মারকায হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার দাবী থাকা উচিত। এতদিন ধরে ডক্টর সাহেবের শ্বশুরের এ খানকায় ছয় লতীফার বানাউটি জেকের, পীরের ছুরত ধ্যান করার জেকের, দিল কাবার কেবলা প্রতিষ্ঠা করে পীরে কেবলা হওয়ার দাবী ইত্যাদি বন্ধ করে দিতে হবে এবং তার শ্বশুরের আমিরুশ শরিয়ত দাবীকে মেনে নিয়ে তার জামাই ড: জাহাঙ্গীর নিজেই কুরআন সুন্নাহ কায়েমের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করবেন। কারণ আমরা জানি তার শ্বশুর মরহুম মাগফুর গদিনোশিন পীর আব্দুল কাহহার আনছারী শরিয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেকেই আমিররুশ শরিয়ত বলে দাবি করেছেন এবং অভিনন্দন জানাতে গিয়ে মুরিদানেরা আমিরুশ শরিয়ত জিন্দাবাদ শ্লোগান দিয়েছে। এর প্রমান বহন করে কুষ্টিয়ার হরিনারায়নপুরের নিকটস্থ কৃর্ত্তিনগর গ্রামে। জনাব ডক্টর সাহেব কোরআন ছুন্নাহ কায়েম করার জন্য বাংলাদেশের মুসলমান নরনারী কিভাবে প্রস্তুতি নেবে তা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে আজকের সেমিনারে আশা করা হয়েছিল তার শ্বশুরের উক্ত দাবীর সমর্থন দিয়ে নিজেই তার জামাই হিসেবে প্রতিনিধীত্ব করবেন।
দুঃখের বিষয় তা দেড় ঘন্টা ভাষণে কোরআন ও সুন্নতে রছুল তথা সুন্নতে ছাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে কোনো কথায় বলেন নি। তিনি একজন প্রজ্ঞাবান হাদীস বেত্তা হয়ে আর কিছু না হোক তিনি মুয়াজ বিন জাবাল (র)-এর উপর রছুলুল্লাহ (ছ)-এর দায়িত্ব প্রদানের হাদীসটিও তেলাওয়াত করতে পারতেন। তিনি একটা রূপক কেচ্ছা না গেয়ে যদি হাদীসটি পাঠ করতেন তাহলে তার বক্তৃতা অনেকটা সার্থক হত। আমি হাদিছটি তুলে ধরছি যেমন:
বিমা তাকজী ইয়া মুয়াজ, ফা বি কিতাবিল্লাহি ক্ব-ল ফাইল্লাম তাজিদ ক্ব-লা বি ছুন্নাতি রসুলিল্লাহ, ক্ব-ল ফাইল্লাম তাজিদ, ক্ব-ল আজতাহিদু বি রা-য়ী ফাক্বলা, আল হামদু লিল্লাহিল্লাজী ওয়াফফাকা রসুলাল্লাহি বিমা ইয়ারদা বিহী রসুলুহ।
রছুলুল্লাহ বললেন, হে মুয়াজ কি দিয়ে তুমি বিচার করবে? তিনি বললেন আল্লাহর গ্রন্থ (কুরআন) দিয়ে।
যদি তুমি না পাও। তখন তিনি বললেন রসুলুল্লাহর সুন্নাহ। তারপর (রছুলুল্লাহ (ছ) বললেন, যদি তুমি না পাও। তিনি বললেন, আমার সিদ্ধান্ত দ্বারা। তিনি (রসুল) বললেন, আল্লাহর শুকরিয়া যে তিনি তার রসুলের রসুল (প্রতিনিধী) কে এমন সিদ্ধান্তে আসার সামর্থ দিয়েছেন, যাতে তাঁর রসুল (আমি) খুশী হন।
এ হাদীসে সুন্নতে রসুল রাজকার্য পরিচালনা, বিচার আচার বুঝায়। ড: আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের শ্বশুরের খানকায় রাজকার্যের বিপরীতে রয়েছে মুরিদদের টাকা পয়সার নজরানা গ্রহণ করা এবং তাদের বছরের সমস্ত আমলের ছোয়াব পৌছিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ইছালে ছওয়াব নামের অনুষ্ঠান করা। বছরে বছরে ঈছালে ছওয়াবের মাহফিল করা মানেই হজ্জের মুকাবিলায় এক ধরণের হজ্জ করা। নবীর ছাহাবাগণের মধ্যে অথবা তাদের পরবর্তি যুগে তাবে তাবেইনগণের মধ্যে এমন নামে কোনো বাৎসরিক জমায়েত করে ইছালে ছওয়াব করার কোনো প্রমাণ নেই। এই ইছালে ছওয়াব নামের মাহফিল যে বেদআত তা ড: সাহেব সেমিনারের ভাষণে উল্লেখ করেননি।
বরং পীর মাশায়েখের জামাই বিজ্ঞ আলেম হয়েও আত্মিয়তা বজায় রাখার জন্য খানকা ছাড়তে পারেননি।
পাকশীই শুধু নয়, দেশে এ ভাবে চরমোনাই, আটরশি, চন্দ্রপুর, মাইজ ভান্ডারী বহু জায়গায় ঔরশ ও ইছালে ছওয়াব হয়ে থাকে। এহেন বাৎসরিক কর্মকান্ড সম্পুর্ণ বেদআত বা নতুন সৃষ্টি তা মেনে নিতেই হবে। কুলুø বিদআতিন দালালাহ প্রত্যেক বেদআতিই বিপথগামিতা। অতএব পীরদের বাৎসরিক ওরশ ইছালে ছওয়াব তবলিগের মারকাজে বাৎসরিক জমায়েত পর্যন্ত বেদআত।
ড: সাহেব নবীগণকে কবরে নামাজ পড়ার দলিল হিসেবে তাঁর হাদীসে জালিয়াতি বইয়ে কয়েকটি হাদীছ তুলে ধরেছেন, যা পবিত্র কুরআনের সুরা মুমিনুনের ১০০ নং আয়াতের দ্বারা মনছুখ হাদীছ প্রমাণিত হয়। কিয়ামত পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকবে সকল পুণ্যবান ও পাপী লেকেরা। তার প্রমাণ রয়েছে সুরা ইয়াছিনের ৫২ আয়াতে। যেখানে বলা হচ্ছে সকলেই ঘুম থেকে উঠবে আর বলবে মাম বাআছনা মির মানকাদিনা আমাদেরকে শয্যা হতে কে জাগিয়ে তুলল? নবীগণ যদি মৃত্যু পরে তাদের কবরে নামাজ পড়েই থাকেন তাহলে নবীদের ঘুম থেকে ওঠার আয়াতটা কি মনছুখ? এ প্রশ্নের জবাব শ্রোতাদের পক্ষ থেকে অনেকেই কামনা করেছিলেন। কুরআন সুন্নাহ প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হজরত আবু বকর (র) যার প্রস্তাব দিয়েছিলেন হজরত ওমর (র)।
তিনি বলেছিলেন, আয়িম্মাতু মিনাল কুরাইশ। কুরাইশদের মধ্য হতে ইমাম হবে। ইমাম বোখারী ও তার হাদীস গ্রন্থে মানাকেবে কোরাইশের ২য় নং-এ একটি হাদীস রেখেছেন যেমন:
আন আবি হুরাইরাতা (র) ক্ব-ল আন্নান্নাবিইয়া (স) ক্ব-লান্নাছু তাবাউল লি কুরাইশিন ফি হাজাশ শা‘নি মুসলিমুহুম তাবাউল লি মুসলিমিহিম ওয়া কাফিরূহুম তাবাউল লি কাফিরিহিম। ওয়ান্নাছি মাআছিনুন খিয়ারূহুম ফিল জাহিলিয়াতি খিয়ারূহুম ফিল ইছলামী ইজা ফাকুহু তাজিদুনা মিন খাইরিনন্নাছি। আশাদ্দাহুম কারাহিয়া তান লি হাজাশ শা’নি হাত্তা ইয়াকাউ ফীহ।
(হজরত আবু হুরাইরা হতে) আল্লাহর নবী বলেছেন, সকল মানুষ এই (নেতৃত্বের ব্যাপারে) কুরাইশদের অনুসারী, তাদের মুসলিমগণ অনুসরণ করে এদের মুসলিমদের এবং তাদের কাফিরগণ তাদের কাফিরদের। আর মানুষ সবই বিভিন্ন খনি তাদের অজ্ঞতার যুগের ভালোরা ইসলামেও ভাল যদি তারা ধর্ম জ্ঞান অর্জন করে। তোমরা সবচেয়ে ভালোর মধ্যে পাবে তাকে যে সবচেয়ে পছন্দ করে নেতৃত্ব যতদিন সে না গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।
এ হাদীসের আলোকে আমাদের কামনা জাগে যে বাংলাদেশের পীরগণের যত খানকা আছে এ সব খানকার মধ্যে একমাত্র পাকশী খানকাতে আল কুরাইশী বংশের দাবী রয়েছে। এজন্য পীর সাহেবগণের উচিৎ সকলে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের এই পাকশির খানকা হতেই কুরআন সুন্নাহর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এক হয়ে যাক যেহেতুু এ খানকায় কোরেশ বংশের উত্তর সুরীগণের আনা গোনা অব্যাহত রয়েছে।
সেমিনারের সভাপতিত্বের ভাষণে আমি শ্রেতা ভাইদের কাছে হাদীস বিরোধীদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ জানিয়ে বলেছি তারা পথহারা হয়ে গেছে। তাদের সকলের জন্য তৌবার দরজা খোলা আছে তারা কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরুক শুধু কুরআনে নামাজ পড়ার নিয়ম, আযান দেওয়ার নিয়ম, জানাজা পড়ার নিয়ম ইত্যাদি অনুপস্থিত ইমলামের বিকৃতি ঘটানোর জন্যই হাদীছ অমান্য করা অপশক্তির একটি ষড়যন্ত্র মাত্র। কুরআনের ব্যাখ্যা ও সংযুক্তি জন্য ছহিহ হাদীছ গ্রহণ করে কুরআনে উল্লেখিত আতিউল্লাহ-এর পরেই আতিউর রছুলের আমল করতে হবে। দ্বিতীয়ত আমাদের কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রাবাসকে লালন শাহ নামকরণ করা খুবই আপত্তিকর হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উচিৎ ছিল ইসলামের যে কোনো কবির নাম যেমন নবী পাক (সা)-এর ছাহাবী কবি হাসসান বিন ছাবিত, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, আমাদের দেশীয় কবি গোলাম মোস্তফা, কুষ্টিয়ার কবি আজিজুর রহমান, ইসলামের খ্যাতিমান শেখ সা’দি (আ), মওলানা জালাল উদ্দিন রুমী প্রমুখ।
লালন সাঁই তিনি নিজেই না হিন্দু না মুসলিম বলে নিজেকে প্রকাশ করেছেন তিনি একজন অবতারবাদী। তিনি রসুলুল্লাহকে খোদাও সে হয় বলেছেন। তিনি নবীকে সরাসরি খোদা বলেছেন তিনি সৃষ্টি কর্তাকে মা বলে ডেকেছেন তিনি হজ্জ্বের আদি ইমাম সেই মেয়ে বলে আখ্যায়িত করেছেন এই ব্যাক্তির নাম কোন স্বার্থে কোন পেশি শক্তির কারণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি শীর্ষ স্থানীয় ইসলামী শিক্ষার প্রতিষ্ঠান আর সেই প্রতিষ্ঠানের ইসলামী শিক্ষার্থীগণের ছাত্রাবাসকে লালন শাহ নাম কেন দেওয়া হল তা মুসলিম নর-নারীর বিশ্বাসের উপর চরম আঘাত হেনেছে। অতএব, অতিসত্তর এই নাম কেটে উল্লেখ যে কোনো এক কবির নামে ছাত্রাবাসের নামকরণ করা হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।