খুলনা নগরীর হাজী ফয়েজউদ্দীন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে পদার্থ বিজ্ঞানের অনিয়মিতদের (ক্যাজুয়াল) প্রশ্নপত্রে ৪৪ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে এসব পরীক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা আলোচিত বিষয়ে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণসহ দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
জানা যায়, চলতি এসএসসি পরীক্ষায় পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রের নাম ছিল 'ঈগল'। অন্যদিকে, অনিয়মিতদের প্রশ্নপত্রের নাম ছিল 'দাঁড়কাক'।
গত ৪ মার্চ পরীক্ষার দিন খুলনা মহানগরীর হাজী ফয়েজউদ্দীন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৪ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীকে অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। ওই পরীক্ষার্থীরা কিছু না বুঝে প্রশ্ন কঠিন হয়েছে মনে করে পরীক্ষা সম্পন্ন করে। কিন্তু বাড়ি ফিরে অন্য কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের সাথে প্রশ্নপত্র মেলালে প্রশ্নপত্রে গড়মিল ধরা পড়ে। পরে শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপ পরীক্ষার্থীরা করে জানতে পারে, তারা অনিয়মিতদের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে।
পরীক্ষার্থীরা জানায়, অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়ায় তাদের প্রস্তুতির অধিকাংশই কমন পরেনি।
ফলে প্রত্যাশিত ফলাফল সম্ভব হবে না। যা বাকি জীবনে যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
এদিকে, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আলোচিত পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব দিপ্তী রানী দে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রশ্নপত্রের উপরে নতুন বা পুরাতন কিছুই লেখা না থাকায় ভুলটি হয়েছে। পরীক্ষার দিন হল সুপার ভুল করে ৪৪ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীকে ক্যাজুয়াল প্রশ্ন দিয়েছিল। বিষয়টি ধরা পড়লে ভুল স্বীকার করে সমাধান চেয়ে বোর্ড কন্ট্রোলারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।