আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যথাসময়ে এলসির বিল পরিশোধ না করলে জরিমানা

বুধবার দেশের সব তফসিলী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ আসছে, কোনো কোনো তফসিলী ব্যাংক আমদানি ঋণপত্রের বিপরীতে বিলের মূল্য পরিশোধে অনাকাঙ্খিত বিলম্ব করছে।

“এর ফলে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং বিলম্বের জন্য সুদ পরিশোধসহ ঋণপত্রে বিদেশি ব্যাংকের কনফার্মেশন বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বৈদেশিক আমদানিকে ব্যয়বহুল করে। এ ধরনের অনিয়মের ফলে আমদানি ব্যয়ের বৃদ্ধি সরাসরি দ্রব্যমূল্যকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করে, যাতে জনস্বার্থ বিঘ্নিত হয়। ”

নির্দেশনায় বলা হয়, “অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের স্থাপিত আমদানি ঋণপত্রের বিপরীতে সরবরাহকারীর বিলের স্বীকৃত দায়ের মূল্য যথাসময়ে পরিশোধ সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংক কোম্পানী আইন ১৯৯১ এর ৪৫ নং ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আপনাদেরকে নির্দেশ দেয়া হলো।

এই নির্দেশ পরিপালনে ব্যর্থতায় আইন অনুযায়ী জরিমানা আরোপ করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে সতর্ক করা হয়।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসায়ীরা কোনো পণ্য আমদানি করতে ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলে। বিদেশি রপ্তানিকারক ওই পণ্য পাঠানোর আগে ব্যাংক থেকে ওই এলসির স্বীকৃতিপত্র নিয়ে থাকে, যাতে বিল বা মূল্য পরিশোধের সময় স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।

সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, কোনো কোনো ব্যাংক বিল পরিশোধের জন্য স্বীকৃতিপত্রে উল্লেখিত সময়ের কয়েক মাস পরেও বিল পরিশোধ করছে না। বিদেশি ব্যাংকগুলোর কাছ এধরনের অনেক অভিযোগ সরাসরি গভর্নরের কাছে আসছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাগাদা দেওয়ার পরও অনেক ব্যাংক বিল পরিশোধ করছে না।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।