আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিখোঁজ বিমান ‘ছিনতাই’ দূর নিয়ন্ত্রণে!

চীন, মালয়েশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মহলে গত কয়েকদিন ধরে এই আশঙ্কা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। ‘ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল’ এর সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ ধারণা আরো সুদৃঢ় হচ্ছে।

ধারনা করা হচ্ছে, এয়ারবর্ন ‘ওয়ার্নিং এন্ড কন্ট্রোল’(এডব্লিউএসি) প্রযুক্তির মাধ্যমে উড়োজাহাজটিকে রেডার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়া হয়।

কারা, কি উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এই জেটলাইনারটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না থাকলেও মার্কিন তদন্তকারীদের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল লিখেছে, “পরবর্তী সময়ে ভিন্নকাজে ব্যবহারের লক্ষ্য নিয়ে উড়োজাহাজটির গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছিল’-এ ধারনাটিকেই এখন তদন্তকারীরা গুরুত্ব দিচ্ছেন।

ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট অনুসারে, বিমানটি রেডার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও চারঘন্টার বেশি সময় আকাশে উড়ছিল।

ইঞ্জিন থেকে সরাসরি পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে তদন্তকারীরা তথ্য পেয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে মালয়েশিয়ার বিমান বাহিনী প্রধান জানিয়েছিলেন, উড়োজাহাজটি ফিরে আসার চেষ্টা করেছিল এবং সেটি পশ্চিম দিকে উড়ে গেছে বলেও জানানো হয়।

কুয়ালালামপুর ছেড়ে যাওয়ার এক ঘন্টা পর উড়োজাহাজটি সিভিল রেডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু মালয়েশিয়ান বিমান বাহিনীর প্রধানের দেওয়া তথ্যানুসারে, সিভিল রেডার থেকে বিচ্ছিন্ন হযে পড়ার পরও বিমানটি মালয়েশিয়ার সামরিক রেডারের আওতায় ছিল। পরবর্তীতে সেটি সেখান থেকেও ছিটকে পড়ে।



গত ১১ মার্চ মার্কিন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক জিম স্টোন তার ব্যক্তিগত নিউজ পোর্টালে দাবি করেন, নিখোঁজ বিমানটি ইলেকট্রনিক রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ছিনতাই করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

তার এই দাবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এবং প্রতি মিডিয়া হিসেবে পরিচিত মার্কিন নিউজপোর্টালগুলোতে তোলপাড় শুরু হয়।

নিজেকে সাবেক পাইলট হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওয়ারেন নামে একজন মন্তব্য করেছেন, সব বোয়িং জেটলাইনার যেমন ৭৫৭.৭৭৭,৭৮৭ এবং ৭৬৭ এ ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো প্রযুক্তি সংযুক্ত আছে।

উড়ন্ত আকাশে ছিনতাই হয়ে যাওয়া উড়োজাহাজ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই এ ব্যবস্থা করা আছে। কাজেই তিনি বিশ্বাস করেন, এডব্লিউএসির মাধ্যমে উড়োজাহাজটিকে রেডার থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়ে থাকতে পারে।



জিম স্টোন তার প্রতিবেদনে দাবি করেছেন, এডব্লিউএসি প্রযুক্তির মাধ্যমে সিভিল এবং মিলিটারি রেডার জ্যাম করে দেওয়া সম্ভব। এর মাধ্যমে কোনো উড়োজাহাজ আকাশে উড়তে থাকলেও সেটি কোনো রেডারে ধরা পড়ে না।

তিনি দাবি করেন, সম্ভবত প্রথম পর্যায়ে সিভিল রেডারটি জ্যাম করে দেয়া হয়। ফলে উড়োজাহাজটি কুয়ালালামপুরের নিয়ন্ত্রণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

নির্দিষ্ট গতিপথ পরিবর্তন করে পশ্চিদিকে উড়তে গিয়ে এমন একটি পয়েন্টে গিয়ে পৌঁছে যেখানে দুটো রেডারের সিগনালই জ্যাম করে দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।



নিখোঁজ উড়োজাহাজের যাত্রী টেক্সাসভিত্তিক ফ্রিস্কেল সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানির ২০ জন প্রযুক্তিবিদকে নিয়েও নানা ধরনের গুঞ্জন আছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।

ফ্রিস্কেল এবং এই প্রযুক্তিবিদরা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার প্রযুক্তির মাধ্যমে বিমান অদৃশ্য করে ফেলার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছিলেন। বর্তমানে কোম্পানিটি মার্কিন বিমান বাহিনীতে এই প্রযুক্তি প্রবর্তনের কাজ করছে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে ১৩ বার     বুকমার্ক হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।