আটক এক ব্যক্তির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার থেকে খনন কাজ চালানোর পর কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে একটি পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের ভেতর থেকে বৃহস্পতিবার শাহিনা আক্তারের (৩৫) লাশ উদ্ধার করা হয়।
শাহিনা উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ছেচড়াপুকুরিয়া গ্রামের প্রবাসী মোবারক হোসেনের (৪০) স্ত্রী।
দেবিদ্বার থানার ওসি তারেক মো. আবদুল হান্নান জানান, এই গ্রামের আব্দুল করিম (৩০) নামের একজনকে আটক করা হলে সে পুলিশকে জানায় শাহিনার স্বামীর যোগসাজশে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শাহিনার বড়ভাই মজিবুর রহমান একটি হত্যা মামলা করেন।
করিম ছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে শাহিনাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে মজিবুর এর আগে দেবিদ্বার থানায় একটি করেন।
দেবিদ্বার থানার এসআই শাহ্ কামাল আখন্দ জানান, শাহিনা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তারা বিভিন্নভাবে তদন্ত চালান।
গত ৬ মার্চ রাতে কৌশলে ছেচরাপুকুরিয়া গ্রামের সোলায়মান মিয়ার ছেলে করিমকে সন্দেহভাজন হিসাবে ময়নামতি সেনানিবাস এলাকা থেকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে রাতেই হত্যার ঘটনা স্বীকার করে করিম।
৮ মার্চ কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সফিকুল ইসলামের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমলূক জবানবন্দিতে করিম আবারো জানান, শাহিনার প্রবাসী স্বামী মোবারক হোসেনের সঙ্গে ২ লাখ টাকা চুক্তিতে এক লাখ টাকা নগদ পেয়ে দুই সহযোগী নিয়ে শাহিনাকে হত্যা করে অব্যবহৃত গভীর নলকূপের পাইপের ভিতরে ফেলে দেয়।
জবানবন্দিতে করিম জানিয়েছে, লাশটি দ্রুত পাইপের নিচের দিকের চলে যাওয়ার জন্য ইট ভর্তি একটি ব্যাগের সাথে রশি দিয়ে লাশটি বেঁধে দেয়া হয়।
স্বীকারোক্তির পর ৬ দিন ধরে ওই নলকূপে খনন করে অবশেষে মেলে লাশ।
লাশ ওঠানোর সময় সেখানে উপস্থিত নিহতের দুই ছেলে ইমরান হোসেন (১১), তুষার আহমেদ (৮), একমাত্র মেয়ে রোজিনা আক্তার (৫) এবং মা জামিনা খাতুন (৬৫) কান্নায় ভেঙে পড়েন।
১৩ বছর আগে ছেচড়াপুকুরিয়া গ্রামের মৃত দুধ মিয়ার ছেলে মোবারকের সঙ্গে বিয়ে হয় পাশের তুলাগাঁও গ্রামের মৃত কেরামত আলীর মেয়ে শাহিনার।
গ্রামবাসী জানিয়েছে, বছরখানেক ধরে মোবারক সংসার খরচ না দেয়ায় অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজ করতেন শাহিনা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।