[ বিগত ৩ দিন ধরে দেশের প্রধান প্রধান দৈনিকের আনাচে কানাচে আমার ব্যক্তিগত জানা জাতির জন্য আশা জাগানো একটি সংবাদ খুজে ফিরেছিলাম। শেষ পর্যন্ত না পেয়ে হতাশ হয়ে........ ব্লগের পাঠকদের অন্তত তা জানানো প্রয়োজন মনে করলাম। ]
একটি অপ্রকাশিত শুভ সংবাদ ঃ
ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া শহরের উপকন্ঠ অবস্থিত দেশের স্বীকৃত বৃহত্তম গ্যাস ফিল্ড তিতাস। এই ক্ষেত্র টির উৎপাদন কার্যক্রম রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত। তিতাস গ্যাস ক্ষেত্র ১৯৬২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ১৬টি কূপ খনন করা হয়েছে।
কিছুদিন পূর্ব পর্যন্ত ১৬ টি কূপের মাঝে ১৩ টি উৎপাদনক্ষম ছিল। উৎপাদন বন্ধ তিন টি কূপের মাঝে ,তিতাস ৩ নং কূপ পাশ্ববর্তী এলাকায় গ্যাস উদ্বগিরণের ফলে সিল করে পরিত্যাক্ত ঘোষিত হয়। অপরদিকে বিগত কিছু কাল যাৎ তিতাস ৪ নং কূপ (খনন কাল ১৯৬৯ সাল) ও তিতাস ১২ নং কূপ (খনন কাল ১৯৯৯ সাল) উৎপাদন ক্ষমতা হরায়।
সাম্প্রতি দেশব্যাপী তীব্র গ্যাস সংকট কালে তিতাস ৪ নং কূপ কে পুনরায় উৎপাদনক্ষম করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের মাধ্যমে পুনঃখনন (Work Over Drilling) এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। গত ৩ মার্চ ২০১০ তারিখে বাপেক্স সম্পূর্ণ নিজস্ব জনবল ও যন্ত্রাদির দ্বারা তিতাস কূপ নং ৪ কে পুনঃউৎপাদনক্ষম করার লক্ষ্য পুনৎখনন কাজ শুরু করে।
গত ১৬ এপ্রিল ২০১০ সফল ভাবে কূপ টিকে পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনক্ষম করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে কূপ টি থেকে প্রতি দিন ৩২ এম এম সি এফ গ্যাস জাতীয় গ্যাস গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে।
আরও একটি অপ্রকাশিত শুভ সংবাদ ঃ
গ্যাস সংকটের ক্রান্তকালে অবহেলিত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সফল প্রয়াস এটাই প্রথম নয়। ২০১০ সালের সূচনায় তারা আরো একটি সফলতার নজির রাখছে রাষ্ট্রায়াত্ত গ্যাস কোম্পানী 'সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেটেড' পরিচালিত
বহুল আলোচিত সমালোচিত হরিপুর তেলক্ষেত্রে। হরিপুরের সিলেট-৭ কূপটি ৭ জুলাই ২০০৮ থেকে উৎপাদন ক্ষমতাহীন হয়ে পরেছিল।
গত ২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে বাপেক্ষ নিজ যোগ্যতায় তা পুনৎখনন (Work Over Drilling) পূর্বক উৎপাদন ক্ষম করেছে। তা থেকে প্রতি দিন ৬ থেকে ৮ এম এম সি এফ জাতীয় গ্রীডে প্রদান করা সম্ভব হবে।
http://sgfl.org.bd/fields.htm
সংবাদগুলো কেন জনসাধারনের নিকট আসে না?
জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সাফলতা সংবাদ কেন আমাদের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াতে আসে না, তা একটু ভেবে দেখা প্রয়োজন। এর পশ্চাৎ রয়েছে গভীর চক্রান্ত।
মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীগুলোর বিপুল বিজ্ঞাপন আর পরিতোষক পুষ্টি বাংলাদেশের মিডিয়া তাদের প্রচারণার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের মনে বদ্ধমূল ধারণা তৈরী করেছে যে , 'রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান মানেই অদক্ষ- পশ্চাদপদ- মাথা ভারি আমলাতান্ত্রিক কাঠামো।
রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান মানেই আকন্ট নিমজ্জিত দুর্নীতি -লোকসান আর অব্যবস্থাপনা। '
সুতরাং , বিদেশী ত্রাতার কৃপা ব্যতিত আমাদরে বাঁচবার আর কোন পথ নেই। তাই , বাঁধা-প্রতিবাদ মুক্ত কর জাতীয় সম্পদ - স্বাথ বিদেশি বেনিয়াদের হাতে সমর্পণের সকল পথ। আর সে প্রচেষ্টায় জোট-মহাজোট একাকার। একাকার প্রথম আলো- কালের বন্ঠ- যুগান্ত- ইনকিলাম -নয়া দিগন্ত- আমর দেশ।
দেশের ক্রান্তি কালে আসুন.........................
বিদেশী কুকুর দের মোহ ত্যাগ করে, জাতীয় সামর্থ্য কে আর সংহত করতে সোচ্চার হই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।