আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বার্ধক্যে কিডনির কর্মক্ষমতা কমে

এ বছর বিশ্ব কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য ছিলো- 'বার্ধক্যে কিডনির কর্মক্ষমতা কমে' অর্থাৎ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি মানুষের বিভিন্ন ধরনের অসুখ হয়, যেমন- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগসহ আরও অনেক রোগ। বিশ্বের উন্নত দেশে কিডনি বিকল অর্থাৎ ধীরগতিতে কিডনি বিকলের প্রথম ও প্রধান কারণ ডায়াবেটিস কিন্তু বাংলাদেশে প্রথম ও প্রধান ধীরগতিতে কিডনি বিকলের কারণ গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস অর্থাৎ কিডনির ইনফেকশন, যদিও ডায়াবেটিস কিডনি বিকলের দ্বিতীয় কারণ তবুও বাংলাদেশেও ডায়াবেটিসের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। সেক্ষেত্রে খুব শীঘ্রই ডায়াবেটিসও ধীরগতিতে কিডনি বিকলের প্রথম ও প্রধান কারণ হতে পারে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ Obstructive Uropathy ও দীর্ঘদিন ওষুধ সেবনসহ নানা কারণে CKDহয়। তাই ৪০ বছরের বেশি হলেই আপনার কিডনি সুস্থ আছে কিনা দেখে নিন, কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে।

এ বছরের প্রতিপাদ্য 'বার্ধ্যকে কিডনির কর্মক্ষমতা কমে'। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিডনির প্রতি যত্নবান হতে হবে। এবার আসা যাক আকস্মিক কিডনি বিকল প্রসঙ্গে। সাধারণত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে Rota Viral Diarrhoea কারণে আকস্মিক কিডনি বিকল (AKI) হয়। এ ছাড়া মহিলাদের গর্ভপাত (Abortion) জনিত Septicaemia অথবা ইনফেকশনের কারণেও আকস্মিক কিডনি বিকল হয়।

মহিলাদের ডেলিভারি বা সন্তান প্রসবের পর অধিক রক্তক্ষরণ ও আকস্মিক কিডনি বিকল হয়। এ ছাড়া কিডনির পাথরসহ যেকোনো অ্যান্টিবায়োটিকের কারণেও আকস্মিক কিডনি বিকল হয়। কিডনি সুস্থ কিনা সে জন্য কিডনি পরীক্ষা বা Renal Function Test করতে হবে। যেমন রক্তের -CBC (Complete Blood Count)-Serum Creatinine (রক্তের ক্রিয়েটিনিন। -Urine -R/M/E (প্রস্রাবের পরীক্ষা) -USG of NUB e PVR (আলট্রাস্নোগ্রাফি) -X-Ray of NUB e lumbosacal spine. সবাই সচেতন হোন, বয়স বাড়ার সঙ্গে কিডনির প্রতিও যত্নবান হতে হবে।

কারণ কিডনি দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ছিলো 'বার্ধক্যে কিডনির কর্মক্ষমতা কমে'

কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয় : ১. যে সব রোগী দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা আজই কিডনি পরীক্ষা করে জেনে নিন কিডনি সুস্থ আছে কিনা, আর ব্লাড সুগার ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন কিডনি সুস্থ রাখার জন্য। ২. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই ব্যথানাশক ওষুধ কিংবা অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। ৩. মহিলারা যেখানে-সেখানে গর্ভপাত করবেন না। কারণ ইনফেকশন বা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কিডনি বিকল হতে পারে। ৪. ডায়রিয়া হলে যাতে পানিশূন্যতা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

সে জন্য খাবার স্যালাইন খাবেন। ৫. শিশুদের খোঁসপাচরা হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। ৬. মহিলাদের প্রস্রাবে ইনফেকশন প্রতিরোধে পরিমাণ মতো পর্যাপ্ত পানি খাবেন। প্রস্রাব আটকে রাখবেন না। ৭. কিডনির পাথর প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পানি খাবেন, যাতে ছোট পাথর হলে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।

৮. পুরুষদের প্রোস্টেট গ্লান্ড বড় হয়ে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। সুতরাং কিডনির যত্ন নিন এবং সুস্থ জীবন যাবপন করুন।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট

অব কিডনি ডিজিজেস, ঢাকা। ফোন : ০১৫৫৬৩২৭৭৭৩

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।