রক্ত ধারা দেখে মেয়ে
চম্কে উঠো না
অনেক বড় হয়ে গেছো
ভেবে বসো না;
রক্তধারার শক্ত পথে
সোনার যৌবন শুরু
মান্য করো পিতা-মাতা
মায়-মুরুব্বি গুরু ;
পিতা-মাতা বড়ই আপন
সন্তানের চাই সর্ব কল্যাণ
যৌবন কালে মনের ভুলে
হারাইও না মান-সন্মান;
মাঠির দিকে চেয়ে মেয়ে
আসবে যাবে কলেজে
পথে ঘাটে যে যা বলুক
ঘরে ফিরবে চোখ বুঁজে;
ধর্ম কর্ম চলবে মেনে
ঢাকবে মাথা আঁচলে
শুনবে নাকো কি বলেছে
পথে ঘাটে পাগলে;
গায় গতরে বড় হলেও
ধ্যানে জ্ঞানে কাঁচা
বাঘ ভল্লুকের কবল হতে
জানতে হবে বাঁচা;
দুষ্ট ছেলের পাল্লায় পড়ে
গোল্লায় যেও না
সোনার যৌবন বৃথা যাবে
শান্তি পাবে না;
মরার কোকিল ডাকলে রাতে
উথলা হয়ো না
দেহের জ্বালায় পুঁড়লে হৃদয়
পিছলে পড়ো না;
নদীর বুকে জোয়ার ভাটা
খোদার লীলা খেলা
সোনার নায়ে মনের মাঝি
আসবে যথা বেলা;
তার আগেতে সবর করো
খোদার কাছে চাও
এই জীবনে যেন তুমি
মনের লোকটি পাও;
রক্তধারা দেখলে বুঝো
বয়স সবে ষোল
বিয়ের পরে বাসর রাতে
গহীন দুয়ার খোল;
অমূল্য ধন নারীর ইজ্জত
থেকো সদা সৎ
দু’হাত তোলে খোদার কাছে
চেয়ো তাহার রহমত;
দেখে শুনে পিতা-মাতা
সকল আপন জন
তোমার মতে দেবে বিয়ে
সুখের হবে জীবন;
জামাই পেলে যেও না ভুলে
বুড়ো পিতা-মাতা
সুখে দুঃখে রেখো মনে
তাদের দুঃখ গাঁথা;
ছেলে মেয়ে নিয়ে এসো
বাপের বাড়ী বেড়াতে
নাত-নাতনী পেলে তারা
মাতবে গল্প ছড়াতে।
_________________________
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।