আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ ক্রিকেটকে পাকিস্তান যেতে দেওয়া হবে না।

আমি এই লিখার কিছু অংশ পরিবর্তন ডট কম থেকে কাট করেছি, এজন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি- কাট করলাম এই জন্য যে, সবাইকে বিষয়টি অনুভব করার জন্য। আমি দুঃখিত কপি করার জন্য। "ঘ্যাঁচ করে ব্রেক কষলেন বাসের চালক। যাত্রীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুম করে প্রচণ্ড শব্দে কী যেন বিষ্ফোরিত হলো আশপাশে। ঝনঝন করে ভেঙে পড়ল কাচ।

ধোঁয়ায় অন্ধকার চারদিক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঠাঠাঠাঠা করে শুরু হয়ে গেল গোলাগুলি...। ২০০৯ সালে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের সামনে শ্রীলঙ্কা দলের বাসে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। বাসের মেঝেতে শুয়ে লঙ্কান ক্রিকেটাররা আত্মরক্ষা করেছেন। ক্রিকেটাররা কেউ নিহত হননি বটে, তবে গুরুতর আহত হয়েছিলেন থিলান সামারাবীরা।

আহতের তালিকায় ছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা, থারাঙ্গা পারানাভিতানা, অজন্তা মেন্ডিসও। বাঁচার সৌভাগ্য হয়নি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ছয় পুলিশ কর্মীর। ঘটনাস্থলেই মারা যান তাঁরা। মারা যান আরও দুই হতভাগ্য পথচারী। বাঁচার সৌভাগ্য হয়নি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ছয় পুলিশ কর্মীর।

ঘটনাস্থলেই মারা যান তাঁরা। মারা যান আরও দুই হতভাগ্য পথচারী। পাকিস্তানে কোনো দল যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। নিজ দলের ক্রিকেটারদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলার বোকামি কেউ করতে চায় না। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, আমাদের ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি এই সফরের পক্ষে যুক্তি দেখিয়েই যাচ্ছেন।

বারবার একটা কথাই জোর দিয়ে বলা হচ্ছে, সাকিবদের দেয়া হবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে বলতে শুনলাম, রাষ্ট্রপ্রধান গেলে যে নিরাপত্তা দেয়া হয়, সেই নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিই নাকি পাকিস্তানের তরফ থেকে তিনি পেয়েছেন। মাননীয় সভাপতিকে মনে করিয়ে দিতে চাই, শ্রীলঙ্কা দলকে ঠিক একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই মৃত্যুকূপে টেনে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে পাকিস্তানি জঙ্গিদের সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত নির্ধারিত পাকিস্তান সফর বাতিল করে। ভারতদের জায়গাতেই দেনদরবার করে শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে যায় পাকিস্তান।

সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, শ্রীলঙ্কা দলকে দেওয়া হবে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল-স্টাইল সিক্যুরিটি’। সে আস্থায় বিশ্বাস করার প্রতিদান শ্রীলঙ্কা দল তো হাতেনাতেই পেয়েছে। গত শনিবার পাকিস্তানের অন্যতম প্রভাবশালী প্রাদেশিক মন্ত্রী বশির আহমেদকে খুন করেছে তালেবানরা। এ ঘটনায় আরও আটজন নিহত ও ১৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এর আগেও ২০০৭ সালে পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান বেনজির ভুট্টোকে খুন করা হয়েছে প্রকাশ্য জনসভায় হামলা চালিয়ে।

২০১১ সালে পাঞ্জাবের তখনকার গভর্নর সালমান তাসিরকে গুলি করে মেরেছেন তারই নিরাপত্তা কর্মীদের একজন। একই বছর জঙ্গিদের হাতে খুন হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টি। যে দেশ তাদের শীর্ষ মন্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আপনি আস্থা রাখবেন কীভাবে? এত টাটকা ঘটনার পরও নাজমুল হাসান কীভাবে হাসিমুখে বলেন, “আমরা প্রতিশ্র“তি রক্ষা করতে চাই!”--------এই প্রতিশ্রুতি রক্ষ করার আমার দরকার নেই। আসুন না ভাই সবাই আমরা এই সফর এর ঘোড় বিরোধীতা করি, শুধু বিরোধীতাই নয় প্রয়োজনে আমরা রাস্তায় নেই এর বিরোধিতা করব। ভুল হলে ক্ষমা চাই সবার কাছে।

মুহাঃ তানজিনুল হোসেন সরকার। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.