আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

speak truely



আমাদের অনেকের ঐ
এখনো পর্যন্ত ভূল ধারনা রয়েছে যে ---
“““সুন্নিরা একতার পক্ষে নয়”””
যারা এই কথাগুলো বলে
তাদের এই দাবীর পিছনে যুক্তি হিসাবে দেখায়----
১। জামায়াতে ইসলামী একটি
ইসলামী দল হওয়া সত্ত্বে ও আহলে সুন্নাত
ওয়াল জামা’আত তাদের কে সমর্থন করে না।
২। হেফাজতরা এত ধর্মমনা হওয়া সত্ত্বে ও
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত তাদের কে সমর্থন করে না।
## যুক্তি নিরুপন--------
১।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত কুরআন-সুন্নাহর
পরিপন্থী কোন কার্য্যকলাপ কে সমর্থন করে না। তাদের
আক্বীদা—যাদের মধ্যে সত্যিকার অর্থে নবীপ্রেম আছে
তারাই সঠিক পথের অনুসারী। কিন্ত জামায়াতী ইসলামী-ইসলামী দল হওয়া সত্ত্বে ও তাদের কে সমর্থন না দেয়ার কারন—জামায়াতীরা শুধুমাত্র মোখিক ভাবে কুরআন ও নবী প্রেমিক, বাস্তবে তার উল্টা। যেমন—জামায়াতীরা (তাদের সত্যিকার রুপ) মনে করে কুরআন-করীম মুক্তির জন্য যতেষ্ট নয়।
জামায়াতে ইসলামী’র প্রতিষ্ঠাতা মি. মওদুদী লিখেছেন----
“কুরআন করীম নাযাত কে লিয়ে নেহী,
বলকে হেদায়েত কে লিয়ে কা-ফী হ্যায়।


(তাফহীমাত—১ম খন্ড—৩১৬ পৃষ্ঠা)
অর্থ---“কুরআন নাযাতের
জন্য নয় বরং হেদায়তের জন্য যথেষ্ট। ”
আবুল আলা মওদুদী কিভাবে
পবিত্র কুরআন মাজীদের সমালোচনা করেছে-------------
পবিত্র কুরআন’র দন্ড-বিধির উপর
সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন----
“যেখানে চারিত্রিক অবনতি হেতু অবৈধ সম্পর্ক
খুব বেশি দোষের মনে করা হয় না, এমন অঞ্চলে
ব্যাভচার ও অপবাদের শরয়ী শাস্তি প্রদান করা
নিঃসন্দেহে অত্যাচারের শামিল। ”
(তাফহীমাত—২য় খন্ড, ২৮১ পৃষ্ঠা)
নবীদের সম্পর্কে মওদূদী বলছে ,
"সব নবী-রাসূলরা গোনাহ করেছেন"
। নাউযুবিল্লাহ
(তাফহীমাত ২য় খন্ড)
যারা এই রকম আক্বীদা পোষন করে
তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়া কি সম্ভব ????
২। হেফাজতীদের সাথে সুন্নীদের কোন জায়গা
জমি নিয়ে বিরোধ নেই।

নেই কোন স্বার্থের বাড়াবাড়ি ???
তাহলে কেন এই অমিল ???? তার একটি মাত্রই
কারন----তাদের আক্বীদা ঠিক নাই। তারা মোখিক
ভাবে ইসলামের সূফী---কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীত।
যেমন---তাদের আক্বীদা------------
(১) “মহান আল্লাহ পাক মিথ্যা বলতে পারেন
(নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক!)
(রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া
১ম খণ্ড:পৃষ্ঠা-১৯, রশিদ আহমদ
গাংগুহী, তালিফাত রশিদিয়া, কিতাবুল
আক্বাইদ অধ্যায়, পৃষ্ঠা-৯৮, খলীল আহমদ
আম্বেঢী, তাজকিরাতুল খলীল, পৃষ্ঠা ১৩৫,
মেহমুদ হাসান, আল-জিহাদুল মুগিল,পৃষ্ঠা ৪১)
(২) “মহান আল্লাহ পাক বান্দার কর্ম সম্বন্ধে
কর্ম-সম্পাদনের পর তিনি তা জানতে পারেন। ”
(নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক!)
(হুসাইন আলী,তাফসীরে বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৮)
(৩) “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর জ্ঞানের চেয়ে হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম
উনার ও শয়তানের জ্ঞান বেশি। ” (নাঊযুবিল্লাহ মিনযালিক!)
(খলীল আহমদ আম্বেঢী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা-৫১)
এই ধরনের আক্বীদা যারা পোষন করে
তাদের সাথে কিভাবে ঐক্য সম্ভব ?????
এখন প্রশ্ন হল-----তাহলে আহলে সুন্নাত কি রকম একতা চাই ?????
হে !! আমরা চাই---সকল ইসলামী দলের উপর্যস্ত নের্তৃবৃন্দ একই সাথে গোল টেবিলে আলোচনায় আসুক।

আলোচনা হক এই সমস্ত ঈমান ধ্বংসকারী আক্বীদা গুলো নিয়ে। যখন সবাই একসাথে আলোচনা করবে তখন আলোচনার মাধ্যমে যেই আক্বীদা গুলো সঠিক—কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক গ্রহনযোগ্য বলে প্রমাণিত হবে সেই আক্বীদা সবাই মেনে নিবে। আর থাকবে না আক্বীদাগত দ্বন্ধ। সহজেই মুসলিম জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে নাস্তিকদের এই বাংলা থেকে বিতাড়িত করা সম্ভব হবে। যে স্বপ্ন ছিল ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা আজিজুল হক শেরে বাংলা আল-কাদেরী (রহঃ) এর।


ইনশা-আল্লাহ এখনো সময় আছে। আমরা যদি সচেতন হই তবে শেরে বাংলা (রহঃ) এর সেই স্বপ্ন পূরন হবে।
তাই আসুন---আমরা মুসলিম জাতির ঐক্যের
জন্য এগিয়ে আসি। নাস্তিক মুরতাদ দের বিরুদ্ধে
জিহাদ ঘোষনা করি।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই তাওফীক দান করুক।

আমিন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।