ইদানিং ব্যাটিংয়ের ধরন পাল্টে ফেলেছেন। শুরুতে খোলসবন্দী থাকেন। উইকেটে থিতু হওয়ার পরই হাত খুলে মারতে শুরু করেন। তবে সত্যি বলতে কি, সর্বশেষ দশ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ক্রিস গেইলের সেই ‘হাত খুলে মার’ দেখা যায়নি। ৩৩ বলে ৩৪ আর ৪৮ বলে ৪৮—এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও গেইল কেমন যেন অচেনা।
তবে আজ শুরুতেই তাঁর ব্যাটে ঝড়টা ভীষণ দরকার ছিল। অবশেষে দেখা মিলল সেই রুদ্রমূর্তি গেইলের। ১৭ বলে ৬টি চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রানে অপরাজিত আছেন গেইল। ৬ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে ১ উইকেটে ৬১।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে তোলে ১৭৮ রান।
বল হাতে শুরু আর শেষটা ভালোই হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে মারমুখী ব্যাটিং করে লড়াইয়ের পুঁজি জোগাড় করে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৩ বলে ৭৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট থেকে আজও এসেছে দলের সর্বোচ্চ রান। ২২ বলে ৪৫ রান করেছেন এই ডানহাতি।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ভঙ্গিতে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসমানরা।
তবে রানের চাকা দ্রুত ঘুরলেও প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল অ্যারন ফিঞ্চ (১৬), ডেভিড ওয়ার্নার (২০) ও শেন ওয়াটসনের (২) উইকেট। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ম্যাক্সওয়েল অবশ্য বুঝতেই দেননি দ্রুতই তিনটি উইকেট হারানোর ধাক্কা। পাঁচটি চার ও তিনটি ছয় মেরে উইন্ডিজ বোলারদের ভালোই ভুগিয়েছেন। ১২তম ওভারে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৪৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস। সেসময় অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ১০০ রান।
শেষদিকে বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখিয়েছেন ব্র্যাড হজ। খেলেছেন ২৬ বলে ৩৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস। সেই সঙ্গে জেমস ফকনারের ১৩ ও ব্র্যাড হাডিনের ১৫ রানের ইনিংসগুলোর সুবাদে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান জমা করে অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে রাজত্ব করেছেন স্পিনাররাই। দুইটি করে উইকেট গেছে মারলন স্যামুয়েলস, স্যামুয়েল বদ্রি ও সুনীল নারাইনের ঝুলিতে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।