দুই ম্যাচে সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের এটাই প্রথম জয়। অন্য দিকে তিন ম্যাচে এটি দুইবারের রানার্সআপ শ্রীলঙ্কার প্রথম পরাজয়।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাহেলা জয়াবর্ধনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ১৮৯ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৪ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায ইংল্যান্ড।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের।
প্রথম ওভারেই মাইকেল লাম্ব ও মঈন আলীকে ফিরিয়ে দেন নুয়ান কুলাসেকারা। শূন্য রানে দুই উইকেট হারালেও তার প্রভাব পড়তে দেননি হেলস ও মর্গান।
তৃতীয় উইকেটে তাদের ১৫২ রানের জুটিতে ইংল্যান্ডের জয়ের ভিত গড়ে ওঠে। এ রান করা পথে অজন্তা মেন্ডিসের এক ওভারে ২৫ রান নেন তারা।
১৭তম ওভারে ফিরে মর্গানকে বিদায় করে ৯২ বল স্থায়ী জুটি ভাঙেন কুলাসেকারা।
৫৭ রান করা মর্গানের ৩৮ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছক্কা। ঐ ওভারের শেষ বলে জস বাটলারকেও ফেরান কুলাসেকারা।
তবে এরপরও জিততে পারেনি শ্রীলঙ্কা। তাদের হতাশ করে ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপে টিকিয়ে রাখার কৃতিত্ব হেলসের। ৬৪ বলে ১১টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ১১৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের কোনো ব্যাটসম্যানের এটাই প্রথম শতক।
এর আগে দুবার নব্বইয়ের ঘরে (৯৯ ও ৯৪) গিয়েও হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছিল হেলসকে। এবার পৌঁছালেন তিন অঙ্কে আর নিজেদের সর্বোচ্চ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতার রেকর্ডও গড়লো ইংল্যান্ড। এর আগে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ১৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল তারা।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে কুলাসেকারা ৪ উইকেট নেন ৩২ রানে।
এর আগে দ্বিতীয় ওভারেই কৌশল পেরেরার বিদায়ে শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। শূন্য রানে মাহেলা জয়াবর্ধনে জীবন না পেলে বিপদ আরো বাড়তো দুই বারের রানার্সআপ দলটির।
৮০ রানেও একবার জীবন পাওয়া জয়াবর্ধনের সঙ্গে তিলকরত্নে দিলশানের ১৪৫ রানের জুটিতে শ্রীলঙ্কা বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায়। জয়াবর্ধনেকে বোল্ড করে ৯২ বল স্থায়ী জুটি ভাঙেন ক্রিস জর্ডান। ৮৯ রান করা জয়াবর্ধনের ৫১ বলের ইনিংসটি সাজানো ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায়।
অর্ধশতকে পৌঁছানোর পর বিদায় নেন ব্যক্তিগত ২১ রানে জীবন পাওয়া দিলশান (৫৫)। ডানহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ৪৭ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্বা।
এরপর শূন্য রানে কুমার সাঙ্গাকারা ফিরলেও দলকে দুইশ’ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান থিসারা পেরেরা (অপরাজিত ২৩) ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (অপরাজিত ১১)।
ইংল্যান্ডের পক্ষে জর্ডান ও ডার্নবাখ দুটি করে উইকেট নেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।