আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হেলসের সেঞ্চুরিতে অসাধ্য সাধন ইংল্যান্ডের

১৯০ রানের বোঝা মাথার ওপর। ইংল্যান্ডের শুরু যতটা বাজে হতে পারত, হলো তার চেয়েও খারাপ। প্রথম ওভার শেষে স্কোরবোর্ড এমন: শূন্য রান, ২ উইকেট!
কুলাসেকারার পরপর দুই বলে দুই সতীর্থের বিদায় একেবারে কাছে থেকে দেখেছেন। নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে যে ছিলেন। দুঃস্বপ্নের এই শুরুটা সুস্বপ্নে বদলে দিয়েছেন সেই অ্যালেক্স হেলসই।

শ্রীলঙ্কাকে নরকযন্ত্রণা উপহার দিয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন স্মরণীয় এক জয়। প্রথম ইংলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করলেন এর আগেও একবার ৯৯ রানে আউট হওয়ার যন্ত্রণায় পোড়া এই ডানহাতি। মাত্র ৬৪ বলে ১১টি চার ও ৬ ছক্কায় খেলা তাঁর অপরাজিত ১১৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৪ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে জিতল ইংল্যান্ড। বাঁচিয়ে রাখল সেমিফাইনালের আশা।
টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ড আগে কখনোই ১৯০ রান তাড়া করে জেতেনি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এর বেশি রান তাড়া করে এর আগে জিতেছে মাত্র তিনটি দল। ইংল্যান্ডের সেই অসাধ্য সাধনে আরেকজন রেখেছেন বড় ভূমিকা। ১৭তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৭টি চার ও ২ ছক্কায় ৫৭ রান করেছেন এউইন মরগান। তার চেয়েও বড় কথা, ইংল্যান্ডের বিভীষিকাময় শুরুর পর তৃতীয় উইকেটে হেলসের সঙ্গে মিলে ১৫২ রানের জুটি গড়েছেন। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এটাই চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি।

এই জুটির কাছেই হার মানল এই ম্যাচেই পঞ্চম সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড গড়া জয়াবর্ধনে-দিলশান জুটিটি।
মাহেলা জয়াবর্ধনের আউট হওয়ার কথা ছিল শূন্য রানেই। সেই জয়াবর্ধনে শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ১১টি চার ও ৩ ছক্কায় করলেন ৮৯। তিলকারত্নে দিলশান ৪৭ বলে ৫৫ করেছেন। আর এই দুজনের ১৪৫ রানের জুটিতে ভর করে মিরপুরে শ্রীলঙ্কা ৪ উইকেটে তোলে ১৮৯ রান।

কিন্তু আজ যে দিনটা লেখা ছিল অন্য আরেকজনের নামে। এমনকি কুলাসেকারা আবারও আক্রমণে ফিরে এসে আবারও জোড়া আঘাতে ইংল্যান্ডের জন্য সমীকরণটা কঠিন করে তোলার পরও। কুলাসেকারার ওই ওভারের পর শেষ তিন ওভারে ইংল্যান্ডকে তুলতে হতো ৩৪ রান। সবচেয়ে বড় কথা, এই তিন ওভারের দুটোই আবার মালিঙ্গা আর কুলাসেকারার জন্য বরাদ্দ। লঙ্কান বোলারদের বেধড়ক মার খাওয়ার দিনেও যাঁরা অসাধারণ বোলিং করে যাচ্ছিলেন।

মালিঙ্গার করা ১৮তম ওভারের প্রথম দুই বল থেকেই আট আদায় করলেন বোপারা। ওই ওভারে এল ১১। এরপর কুলাসেকারাকে হেলস প্রাপ্যটা বুঝিয়ে দিলেন টানা দুটো ছক্কা হাঁকিয়ে। এর মধ্যে প্রথম ছক্কা তাঁকে পৌঁছে দিল সেই তিন অঙ্কের জাদুকরী ঘরে। এই ওভারে এল ১৬।

শেষ ওভারে মাত্র ৭ রান দরকার ছিল। বোপারা এক নেওয়ার পর দ্বিতীয় বলে এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে লম্বা ছক্কাগুলোর একটি হাঁকিয়ে ইংল্যান্ডকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিলেন হেলস। গত জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে টেস্ট-ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টি মিলে টানা ১৪টি ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর অবশেষে হারল শ্রীলঙ্কা!

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।