চট্টগ্রামে লর্ডস ফিরে এল আরেকবার। লর্ডসে অনুষ্ঠিত ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সে ম্যাচে ইংলিশদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চারদিকে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছিল ডাচরা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী আরেকটি ডাচ রুপকথার দেখা মিলল আজ। ইংল্যান্ডকে ৪৫ রানে হারিয়ে কমলার নাচন উঠল চট্টগ্রামে।
সম্প্রতি ওয়ানডে মর্যাদা হারিয়েছে হল্যান্ড।
অথচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কি দুর্দান্ত খেলাটাই না খেলল ডাচরা! গ্রুপ পর্বে সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়, সুপার টেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অল্পের জন্য জয় ফসকে যাওয়া—এক কথায় অনন্য হল্যান্ড।
ইনিংসের শুরুতেই ইংল্যান্ডের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিল হল্যান্ড। ১৩৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৫.৫ ওভারে ২৬ রান তুলতেই ইংলিশদের ৩ উইকেট শেষ। মুদাসসর বুখারির বলে ১২ করে ফিরেছেন এ বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান অ্যালেক্স হেলস। বুখারির আরেক শিকার মাইকেল লাম্ব (৬)।
মরগানকে (৬) ফিরিয়েছেন ফন ডার গুগটেন। দলকে বিপদে ফেলে বোরোনের শিকার হয়ে মাত্র ৩ করে প্যাভিলিয়নের ফিরেছেন মঈন আলিও।
রবি বোপারা খানিকটা স্বপ্ন দেখালেও কমলা ঢেউয়ের কাছে তা উড়ে গেলে মুহূর্তেই। ফন বিকের বলে ১৮ করে ফিরলেন বোপারা। খুড়িয়ে চলা ইংলিশদের ইনিংস থামল ১৭.৪ ওভারে ৮৮ রানে।
হারতে হলো ৪৫ রানে। ডাচদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন বুখারি ও ফন বিক। ম্যাচসেরা অবশ্য বুখারি।
এর আগে টসে হেরে প্রথম ব্যাট করে হল্যান্ড তোলে ৫ উইকেটে ১৩৩। ডাচদের লড়াই করার পুঁজি দেয় মূলত বারেসি-মাইবার্গের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।
এ জুটিতে আসে সর্বোচ্চ ৫০। হল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ করেন বারেসি। ৩ উইকেট নিয়ে ইংলিশ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল স্টুয়ার্ট ব্রড। তবে আজ ডাচদের কাছে যেভাবে হারতে হলো, তাতে অন্তত এ সাফল্য মনে রাখতে চাইবেন না ইংলিশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।