আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বায়ার্নকে ভয় পাচ্ছে না ইউনাইটেড

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে শেষ আটের প্রথম লেগের ম্যাচটি শুরু হবে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে একটায়।
ম্যাচের আগের দিন সোমবার সংবাদ সম্মেলনে গিগস বলেন, “আমরা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর এটা ওল্ড ট্রাফোর্ড। এখানে আমরা অনেক অসাধারণ রাত দেখেছি। আর বিশেষত ইউরোপের মঞ্চে খেলোয়াড় হিসেবে আমরা আমাদের আন্ডারডগ মনেই করছি না। ”
বায়ার্ন-ইউনাইটেড মুখোমুখি হলেই ফুটবল বিশ্বে সামনে চলে আসে ১৯৯৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রোমাঞ্চকর ফাইনাল।

জয়ের প্রান্তে চলে যাওয়া বায়ার্নকে বর্ধিত সময়ের দুই গোলে হারিয়ে সেবার ইউরোপ সেরার মুকুট পড়েছিল ইউনাইটেড। ১৫ বছর আগে ইউনাইটেডের সেই সাফল্যের অংশীদার ছিলেন গিগস।
এর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের বিপক্ষে খেলা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ৬টি ম্যাচেই ছিলেন গিগস। এই ছয় ম্যাচে ইউনাইটেড এবং গিগসের সুখস্মৃতি বলতে ৪ বছর আগে কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে পাওয়া ৩-২ গোলের জয়টিই।
অতীত মোটেই আশা জাগানিয়া নয়, ইউনাইটেডের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও তাদের সমর্থকদের খুব একটা ভরসা দিতে পারছে না।


বায়ার্ন মিউনিখ ৭ ম্যাচ বাকি থাকতেই জার্মানির বুন্দেসলিগার শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে। অন্য দিকে ইউনাইটেডর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন অনেক আগেই শেষ। এমনকি আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেয়ার লড়াইয়েও অনেক পিছিয়ে তারা। ৩২ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার সপ্তম স্থানে আছে ইউনাইটেড।
তবে অতীতের দু:স্মৃতি কিংবা বর্তমানের দুর্বলতা, অথবা বায়ার্ন মিউনিখের অপ্রতিরোধ্য রূপ—কোনো কিছুতেই ভয় পাচ্ছেন না বর্তমানে একাধারে ইউনাইটেডের খেলোয়াড় এবং সহকারি কোচ গিগস।


“এই ম্যাচের জন্য মাঠে নামতে আমাদের আর তর সইছে না। জানি, বায়ার্ন শক্তিশালী দল। তবে আমরাও আত্মবিশ্বাসী। ”
সাধারণ সমর্থক থেকে ফুটবল পন্ডিত—সবার কাছেই বায়ার্ন ‘ফেভারিট’। নিজেদের ফেভারিট মেনে নিচ্ছেন বায়ার্ন কোচ পেপ গার্দিওলাও।


“ম্যাচের আগে কোচেরা সাধারণত ফেভারিট তকমাটি পছন্দ করেন না। তবে আমাকে এটা মেনে নিতে হচ্ছে। কারণ গত মৌসুমে আমরা সবকিছুই জিতেছি। আর এ মৌসুমেও আমরা এরই মধ্যে লিগ শিরোপা জিতে গেছি। ”
ইউনাইটেডকে গুড়িয়ে দেয়ার একটা প্রচ্ছন্ন হুমকিই দিয়ে রাখলেন গার্দিওলা।

তবে ইউনাইটেড কোচ ডেভিড ময়েস হেঁটেছেন গিগসের পথেই। ভয় না পেয়ে তিনিই পাল্টা হুমকি দিয়ে রেখেছেন বায়ার্নকে। ময়েস সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, বড় উপলক্ষে জেগে ওঠার ইতিহাস ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভালোই আছে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।