প্রতিপক্ষের মাটিতে মূল্যবান ‘অ্যাওয়ে গোল’ পেয়ে বায়ার্নের কোচ পেপ গার্দিওলারও অখুশি হওয়ার কথা নয়।
মঙ্গলবার রাতে স্বাগতিকদের রক্ষণাত্মক ফুটবলের কারণে প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটাই জুড়ে ছিল অতিথিদের দাপট। অবশ্য শুরুতেই বায়ার্নকে চমকে দিয়েছিল ডেভিড ময়েসের দল।
তৃতীয মিনিটে গোল করে সমর্থকদের উল্লাসে মাতিয়েছিলেন ড্যানি ওয়েলব্যাক। গোল করার সময় তা পা উঠে গিয়েছিল অনেক উঁচুতে।
তাই গোলটি বাতিল করেন রেফারি।
এরপরই শুরু হয় বায়ার্নের আক্রমণ। প্রতি-আক্রমণ থেকে ম্যান ইউ যে সুযোগ পায়নি তা নয়। ওয়েলব্যকের ব্যর্থতায় অন্তত দু’টি সহজ সুযোগ হাতছাড়া না হলে খেলার ফলাফল অন্যরকমও হতে পারতো।
সময়টা ভালো যাচ্ছে না ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল ক্লাবটির।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন আগেই শেষ। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার সম্ভাবনাও নেই বললে চলে। তার ঠিক বিপরীত অবস্থা জার্মানির সফলতম দল বায়ার্নের। সাত ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা ধরে রাখার নিশ্চিত হওয়ায় তাদের পূর্ণ মনোযোগ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দিকে।
এই ম্যাচের জন্য বুন্দেসলিগায় হফেনহাইমের বিপক্ষে ম্যাচে নিয়মিত একাদশের আটজনকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন পেপ গার্দিওলা।
প্রতিপক্ষের মাঠে জিততে না পারলেও আধিপত্য ছিল তার দলেরই।
ম্যাচে বায়ার্নের প্রথম সুযোগটি আসে নবম মিনিটে। তবে আরিয়ান রবেন হতাশ করেন দলকে। দু মিনিট পর ফ্র্যাঙ্ক রিবেরির ব্যর্থতায় হাতছাড়া হয় আরেকটি সুযোগ।
এসময় বায়ার্ন এতোই আক্রমণাত্মক ছিল যে তাদের ডিফেন্ডাররাই ছিলেন প্রতিপক্ষের সীমানায়।
৩১ মিনিটে গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়ার নৈপুণ্যে বেঁচে যায় স্বাগতিকরা। ২৫ গজ দূর থেকে নেযা রুবেনের বাঁ পায়ের জোরালো শট থেকে কোনোমতে রক্ষা করেন তিনি।
পরের মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে দলকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন ওয়েলব্যাক। সুবিধাজনক জায়গায় থেকে গোলরক্ষ মানুয়েল নয়ারের হাতে বল তুলে দেন তিনি। ৮ মিনিট পর ওয়েলব্যাকের ব্যর্থতায় আরেকটি সুযোগ নষ্ট হয়।
এবার একা পেয়েও নয়ারকে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে আর প্রতিপক্ষকে জায়গা ছেড়ে দেয়ার মতো ভুল করেনি ইউনাইডেট। ফল পেতেও দেরি হয়নি। ৫৮তম মিনিটে কর্নার থেকে নেমানিয়া ভিদিচের হেডে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
পিছিয়ে পড়ে জেগে উঠে বায়ার্ন।
৬৭তম মিনিটে সমতা ফেরায় তারা। মারিও মানজুকিচের হেড থেকে অরক্ষিত বাস্তিন শোয়েনস্টেইগারের জোরালো শট ফেরানোর কোনো সুযোগই ছিল না গোলরক্ষকের।
সেবার না পারলেও এরপর অন্তত দু’বার নিশ্চিত গোলের হাত থেকে দলকে বাঁচিয়েছেন তিনি।
সমতা সূচক গোলটি করলেও শোয়েনস্টাইগারকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে হতাশা নিয়ে। ম্যাচের শেষ দিকে ওয়েইন রুনিকে ফাউলের জন্য দ্বিতীয় হলুদ কার্ড থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।