এই গরমে বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণে কিছু টিপসঃ
১) অফিস-আদালত, কল-কারখানা, বাসা-বাড়ীকে আলো-বাতাস চলাচল উপযোগী করে তুলুন। ভারী পর্দা ব্যবহার করবেন না। যেখানেই সম্ভব আলোপ্রবেশযোগ্য কাঁচের জানালা নির্মাণ করুন। প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের যথোপযুক্ত ব্যবহার করে দিনের বেলায় বিদ্যুত সাশ্রয় করতে পারেন।
২) “কর্পোরেট লুক” বজায় রাখতে অফিস-আদালতে কোট-টাই বা ভারী কাপড় পরবেন না।
এসব পরে তার উপরে এসি চালিয়ে রাখাটা গর্দভের কাজ। যেখানেই এসি চলতে দেখবেন, বন্ধ করতে বলবেন। একটা এসি ১৫টা বৈদ্যুতিক পাখার সমান বিদ্যুত খরচ করে।
৩) অফিস-আদালত, কল-কারখানা, বাসা-বাড়ীতে সম্ভব হলেই সোলার প্যানেল বা সৌরকোষ ব্যবহার করুন। কল-কারখানার স্থাপনাগুলোর উন্মুক্ত ছাদে বা চালে শয়ে শয়ে সোলার প্যানেল বসাতে যে পরিমাণ অর্থ লাগবে, তা ন্যাশনাল গ্রিড থেকে নেওয়া বিদ্যুতের বিল থেকে অনেক কম।
আর এতে ভাড়া করা বা নিজস্ব জেনারেটর বসিয়ে, তাতে মাসে লাখ-কোটি টাকার ফুয়েল (ডিজেল বা গ্যাস) খরচ করতেও হবে না।
৪) রাস্তাঘাটে অনাকাঙ্খিত এক্সিডেন্ট থেকে রেহাই পেতে হলেও মোটর-রিকশাকে না বলুন!
৫) হিটার, ইস্ত্রি, পানির মোটর, পাম্প, ব্লেন্ডার, ইনডাকশন চুলা, রাইস কুকার, ওভেন প্রভৃতি বিদ্যুত-খাদক যন্ত্রসমূহ অফ-পিক আওয়ারে চালানোর চেষ্টা করুন।
৬) দিনের বেলাতে সড়কের বাতি জ্বলতে দেখলে সেটা বন্ধ করতে উদ্যোগ নিন।
৭) গ্রামে-গ্রামে বায়োমাস প্ল্যান্ট গড়ে তুলতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুন।
৮) কোন ইলেকট্রিক্যাল বা ইলেকট্রনিক যন্ত্র বিনা কারণে সুইচ-অন মোডে দেখলে সেটাকে অতি-সত্ত্বর সুইচ-অফ করুন।
আপনি অপব্যবহার করছেন, অন্যদিকে আরেকজন মোমবাতির আলোয়, ঘামে ভিজে, মশার কামড় খেয়ে নিজের কাজ করে যাচ্ছে।
বিদ্যুত-পানি-গ্যাস আমাদের অমূল্য জাতীয় সম্পদ; আমরা এগুলো তৈরী করতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে না পারলেও এগুলোর সদ্ব্যবহার করার দায়িত্ব আমাদেরই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।