দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন সংশোধন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের দীর্ঘ ছুটি ও বিএনপিকে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারকের দেওয়া বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদকের আইন সংশোধন সম্পর্কে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেছেন, ৪২০ ধারাসহ বিভিন্ন প্রতারণামূলক মামলা থানা থেকে নিষ্পত্তি করা যায়। এটা দুদক আইনে গেলে দুদকও যাবে, থানাও যাবে। তিনি বলেন, ‘১০ এপ্রিল জাতীয় সংসদ অধিবেশন শেষ হওয়ার আগেই এসব মামলা পেনাল কোডে ফেরত নিতে হবে।
আইন মন্ত্রণালয় কীভাবে অমনোযোগী হয়ে এ আইন করল তা আমার বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে আমি আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা যেকোনো ভুলভ্রান্তি স্বীকার করি। ’
২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর প্রতারণা, ঘুষ লেনদেন এবং জমি জাল-জালিয়াতিসহ এ ধরনের বিভিন্ন অপরাধ দুদক আইন-২০০৪-এ তফসিলভুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রতারণা, ঘুষ, জমি জাল-জালিয়াতি—এ ধরনের অভিযোগ এখন জানাতে হবে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।
সরকার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন সংশোধন করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আলোচনা সভায় দেশের বাইরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের দীর্ঘ ছুটি কাটানোর কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের নেতা সুরঞ্জিত বলেন, ‘তাঁর দীর্ঘ ছুটিতে যাওয়াকে ডিফেন্ড করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। মানুষ মনে করে উপজেলা নির্বাচন চলার সময় তাঁর এ দীর্ঘ ছুটিতে থাকা ঠিক হয়নি। ’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক ৩০ মার্চ বলেছিলেন, জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলেও নির্দলীয় উপজেলা নির্বাচনে এসে বিএনপি নাকে খত দিয়েছে। তাঁর ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, ‘এটা একটি মর্যাদাপূর্ণ ও সাংবিধানিক পদ।
মানুষ তাঁর কাছ থেকে সংযত ও ভালো আচরণ প্রত্যাশা করে। এত তির্যক ও তীব্রভাবে সমালোচনা ঠিক নয়। ’
পঞ্চম দফা উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও এতগুলো উপজেলায় বিএনপির জয় নজিরবিহীন। এ নির্বাচনে সবচেয়ে কম হস্তক্ষেপ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, এখন বিএনপির উচিত নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের দাবি ত্যাগ করে দলীয় সরকারের অধীনেই আগামীতে সব নির্বাচনে অংশ নেওয়া।
সভায় আওয়ামী লীগের নেতা চিত্তরঞ্জন দাশ, ফয়েজউদ্দিন মিয়া, হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।