দাদুভাইয়ের টাক মাথায়
উকুনগুলো লাফায়
কিলবিলিয়ে হাঁটে তারা
দাদু মহা চিন্তায়।
দিন যায় মাস যায়
মাথার উকুন সরেনা
শ্যাম্পু সাবান কতোই দিলেন
তবু, উকুনগুলো মরেনা।
এভাবে আর চলবে কয়দিন
দাদু মহা টেনশনে
শ্যম্পু সাবান কিনতে কিনতে
কুলোচ্ছেনা আর পেনশনে।
একদিন তাই ভাবলেন দাদু
যা হয় তা-হবে
বালু দিয়ে ঘষলে মাথা
উকুন নিশ্চয়ই মরবে।
যেই কথা সেই কাজ
ঘষলেন বালু মাথায়
মাথার ছাল উঠে গেলো
ব্যথায় পরাণ যায়।
ব্যথায় দাদুর মাথা গেলো
চিৎকার করে কাঁদেন
ওঝাবদ্যি আনতে গেলো
দাদুর ছেলে নরেন।
ওঝা এলো বদ্যি এলো
চিকিৎসাটা হলো
তিন মাসের ঔষধে
ব্যথাটাও গেলো।
কিছুদিন পর হঠাৎ দাদুর
কেশ গজালো মাথায়
আহা একী সুখের খবর
শুনবে যদি আয়।
আনন্দেতে আয়নায় চেয়ে
সর্ষের তেল মাখেন
কাজল কালো কেশগুলো
যত্ন করে রাখেন।
হঠাৎ একদিন রাতে দাদুর
ঘুম ভেঙ্গে যায়
মাথায় উকুন কিলবিল করে
এখন কী উপায়!।
শ্যম্পু সাবান মাখছেন কেশে
উকুন নাহি মরে
দাদুর মাথায় চিন্তা ভীষণ
চোখের পানি ঝরে।
টাক মাথা ভালোই ছিলো
উকুন যেতো ধরা
কেশ হয়েছে বিষম জ্বালা
উকুন হয়েছে চোরা।
ঘাড়ের উপর মাথা আছে
তাতে আর চুল
টেকো মাথাই ভালো ছিলো
আর করবোনা ভুল।
এবার গেলো নাপিত আনতে
দাদুর ছেলে নরেন
কেশ কেটে টেকো হয়ে
দাদু শান্তি হলেন।
“দাদুভাই” সিরিজের সবকটি ছড়াই উৎসর্গঃ শ্রদ্ধেয় ব্লগার বিধুভূষণ ভট্রাচার্য দাদুভাইকে।
ছবিঃ ইন্টারনেট হতে সংগ্রহ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।