মুঠোফোন ব্যবহারের সঙ্গে পুরুষত্বহীনতার সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছেন অস্ট্রিয়া ও মিসরের কয়েকজন গবেষক। ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নতুন এক গবেষণায় মুঠোফোন ব্যবহার ও পুরুষত্বহীনতার মধ্যে সম্ভাব্য সম্পর্ক থাকার প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকেরা। তবে মুঠোফোনের প্রভাবে কীভাবে পুরুষত্বহীনতার সৃষ্টি হয়, সে বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেই উল্লেখ করেছেন গবেষকেরা।
সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান জার্নাল অব ইউরোলজিতে প্রকাশিত গবেষণাটি ৩০ জন পুরুষের ওপর পরিচালিত হয়েছে। এদের দুটি দলে ভাগ করা হয়।
একটি দলে গত ছয় মাসের মধ্যে পুরুষত্বহীনতার মুখোমুখি হয়েছেন—এমন ২০ জন পুরুষ ছিলেন। অপর দলে ছিলেন ১০ জন সুস্থ পুরুষ, যাঁদের এ ধরনের কোনো সমস্যা ছিল না।
এই দুই দলের সদস্যদের মধ্যে বয়স, ওজন, উচ্চতা, ধূমপানের অভ্যাস, তেজস্ক্রিয়তার অন্য কোনো উেসর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা প্রভৃতি বিষয়ে তাত্পর্যপূর্ণ কোনো পার্থক্য ছিল না।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে তাঁদের যৌন-সম্পর্ক ও মুঠোফোন ব্যবহার অভ্যাসের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, সুস্থদের চেয়ে পুরুষত্বহীনতায় ভুগতে থাকা পুরুষেরা তাঁদের মুঠোফোন চালু রেখে দীর্ঘ সময় ধরে তা পকেটে বা হাতে বহন করেন।
সমস্যাগ্রস্ত পুরুষেরা দিনে চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মুঠোফোন চালু রেখে তা বহন করেন। সুস্থ পুরুষেরা দিনে দুই ঘণ্টারও কম সময় মুঠোফোন চালু রেখে তা বহন করেন।
গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া বদরুদ্দিন মোহাম্মদ আল-আলী দাবি করেছেন, মুঠোফোন ব্যবহার ও পুরুষের যৌন-সক্ষমতার মধ্যে একটা সম্পর্ক থাকতে পারে বলে পরীক্ষামূলক গবেষণাটিতে দেখা গেছে।
গবেষকেরা উল্লেখ করেছেন, মুঠোফোন ব্যবহারের সঙ্গে পুরুষত্বহীনতার সম্পর্কের বিষয়ে উপসংহার টানার মতো কোনো অকাট্য প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। তাই এ নিয়ে আরও গবেষণার দরকার রয়েছে, তবে মুঠোফোন ব্যবহারে সতর্ক হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।