আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১০ বছর পর সেমিতে দুই জায়ান্টের দেখা

এক সময়ে ফুটবলে মোহামেডান-আবাহনীর লড়াই হলে পুরো দেশই উত্তেজনায় কেঁপে উঠত। সেসব এখন স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে। ম্যাচ বিকালে হলেও গ্যালারিতে ঢুকতে সকাল থেকেই স্টেডিয়ামে হাজার হাজার দর্শক ভিড় জমাতো। এখন যে মোহামেডান-আবাহনীর ম্যাচ হয় তা অনেকেই জানেন না। আজও গ্যালারি যে প্রায় ফাঁকা থাকবে তা নিশ্চিতই বলা যায়।

যাক উত্তেজনা থাকুক আর নাইবা থাকুক ম্যাচটি আবার মর্যাদার। তাই জয়ের লক্ষ্য দুদলই তাদের সেরা খেলাটা খেলতে চাইবে। ফাইনালে ওঠা মানে মৌসুমে একটা ট্রফি ঘরে নেওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা জেগে উঠবে। সুতরাং গ্যালারি ফাঁকা থাকলেও ম্যাচ উপভোগ্য হবে আশা করা যায়। মোহামেডানের অধিনায়ক জাহিদ হোসেন এমিলি বলেন, লিগের চেয়ে স্বাধীনতা কাপে আমরা ভালো খেলছি।

নিজেদের ভুলের জন্য গ্রুপ পর্বে আবাহনীকে হারাতে পারেনি। আশা রাখি সেমিতে আমরা ভালো খেলেই জিততে পারব। দলের পতুর্গিজ কোচ রুই ক্যাপালো বলেন, লিগের তুলনায় ছেলেরা গুছিয়ে খেলছে ঠিকই। কিন্তু প্রতিপক্ষ আবাহনী এতটা শক্তিশালী যে তাদের বিপক্ষে জিততে হলে পুরো পজিশনেই জ্বলে উঠতে হবে। আমার বিশ্বাস ছেলেরা তাই করবে।

আবাহনীর অধিনায়ক সুজন বলেন, আমাদের যোগ্যতা ও সামর্থ্য নিয়ে কারো প্রশ্ন নেই। চলতি মৌসুমে স্বাধীনতা কাপে ড্র হলেও ফেডারেশন কাপ ও লিগে আমরা মোহামেডানকে পরাজিত করেছি। আর কোয়ার্টার ফাইনালে শেখ জামালের মতো শক্তিশালী দলকে বিদায় জানিয়েছি। পুরো দলই এখন উজ্জীবিত। আমার বিশ্বাস নির্ধারিত সময়েই জয় পেয়ে আমরা ফাইনালে যেতে পারব।

দলের ইরানি কোচ আলি আকবর পৌর মুসলিমি ও আত্দবিশ্বাসের সুরে বলেছেন, আবাহনী এখন দারুণ খেলছে। এই অবস্থায় জয় ছাড়া কিছুই ভাবতে পারছি না। তবে মোহামেডান যথেষ্ট ভালো দল, তাদের বিপক্ষে কোনো অবস্থায় ভুল করা যাবে না। ঘরোয়া ফুটবলে সেমিতে দুই দলের দেখা হয়েছে খুব কমই। খতিয়ান ঘাঁটলে দেখা যায় একমাত্র ফেডারেশন কাপেই মোহামেডান-আবাহনী সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় চার বার।

তবে ১৯৮৬ ও ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে আবাহনী এবং ১৯৯২ ও ২০০৪ সালে মোহামেডান জয়লাভ করে। অর্থাৎ ১০ বছর পর আবার সেমিফাইনালে দুই দলের দেখা হচ্ছে। স্বাধীনতা কাপে ১৯৯২ সালে ফাইনালে আবাহনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহামেডান।

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।