রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্ত্রী রহিদা (৪০) নিহত হয়েছেন। স্ত্রীকে হত্যার পর পালাতে গিয়ে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ভটভটির ধাক্কায় আহত স্বামী আব্দুল লতিফকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উপজেলার হাবাশপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে রহিদাকে জখম করে তার স্বামী। শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিদার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়ার পর ওই দম্পতির ছেলে রবিন ঘরে ও তার বাবা-মা বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়েন।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ মায়ের চিৎকার শুনতে পায় রবিন। দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে রবিন তার মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে। এ সময় লতিফ পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন।
পরে গুরুতর আহতাবস্থায় রহিদাকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান।
আব্দুল লতিফের ভাতিজা মিঠুন জানান, ওই ঘটনার পর এলাকার লোকজন জড়ো হলে লতিফ পালাতে চেষ্টা করেন। দৌঁড়ে পালানোর সময় বানেশ্বর-ঈশ্বরদী মহাসড়কে একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ভটভটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তার মাথা ফেটে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ধারালো অস্ত্রসহ লতিফকে গ্রেফতার করে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে রহিদার ভাই শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানা তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।