আকাশটা ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে
গত ৬ মার্চ পুলিশ একাডেমির আনুষ্ঠানিকতা শেষে মদনকে নিয়ে গেলাম বাঘা মসজিদ দেখতে। সারদাহ থেকে প্রায় আধা-ঘন্টার পথ। যেতে যেতে দেখলাম রাস্তার দুই পাশে বাড়ি-ঘর আর আমের বাগান। অন্যান্য অঞ্চলে যেখানে ধান বা অন্য ফসলের মাঠ চোখে পড়ে তেমনি এখানে যেদিকে তাকাই সেদিকেই শুধু আম আর আম গাছ। ধান এবং গম ক্ষেত আছে।
কিন্তু সেসবের মধ্যেও আম গাছ মাথা তুলে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে।
মসজিদের কাছে গিয়ে এক আজানা ভাললাগা অনুভব করলাম। মসজিদের প্রবেশের আগে চোখে পড়ল বিশাল এক তেঁতুল গাছ। বয়সের ভারে বেশ ক্লান্ত। তার পরেও ঢালে ঢালে ছোট ছোট তেঁতুল ঝুলছে।
পূর্ব পাশে আছে অনেক বড় এক পুকুর। পুকুরের চার পাশে নারিকেল আর খেজুরের বাগান। মসজিদ কম্পাউন্ডেই রয়েছে হযরত শাহ্ মোয়াজ্জেম শাহদৌলা দানেশ মন্দ (র.) সহ তাঁর সঙ্গী সাথিদের মাজার। ছবির মত সাজানো গুছানো যেন সব। গেইটের পাশে সাইনবোর্ড থেকে মসজিদ সম্পর্কে পেলাম নিম্নলিখিত তথ্য-
১৫০৫ খ্রিস্টাব্দে সুদূর বাগদাদ থেকে আগত হযরত শাহ্ মোয়াজ্জেম শাহদৌলা দানেশ মন্দ (র.) এর সম্মানে ২২.৯২ মিটার লম্বা এবং ১২.৭৮ মিটার চওড়া বাঘা মসজিদটি ১৫২৩ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেন সুলতান নাসির উদ্দিন নুসরাত শাহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।