আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারেকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার পরামর্শ সুরঞ্জিতের

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ পরামর্শ দেন তিনি।

সুরঞ্জিত বলেন, “যদি তারেক জিয়ার বক্তব্য কেবল মূর্খতা বা অজ্ঞতাপ্রসূত হয় তবে তা স্বীকার করে ১৮ দলীয় জোটকে বক্তব্য তুলে নিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে মামলার মধ্য দিয়েই বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে হবে। ”
জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক গত ৮ এপ্রিল লন্ডনে এক অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন দেশের প্রথম ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’।
এর আগে গত ২৫ মার্চ সেখানে আরেকটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’।


২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলাসহ কয়েকটি মামলা মাথায় নিয়ে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত বলেন, “তারেক জিয়ার বক্তব্য কেবলমাত্র একটি অর্ধশিক্ষিত যুবকের বাচালতা নয়। কেবলমাত্র মূর্খতা বা অজ্ঞতা থেকে এটা করা হয়নি, এখানে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।
“তারা (বিএনপি) এমন বক্তব্য দিয়ে স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর ইতিহাস বিকৃত করে জাতির মধ্যে বিভাজন আনতে চায়। ”
যারা দেশের সংবিধান ও ইতিহাস বিকৃত করে এবং বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না তাদের নাগরিকত্ব ‘বাতিলের’ কথাও বলেন তিনি।


ইচ্ছাকৃতভাবে বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবিধান বিকৃতকারীদের রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা দিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, “তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শুরুতেই ব্যবস্থা না নিলে তা ছড়িয়ে যাবে।
“যারা রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করে তাদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মামলা করা উচিত। তা নাহলে আইন মন্ত্রণালয় একটি অর্ডিনেন্স জারি করে মামলা চালিয়ে যেতে পারে। ”
কোন প্রতিহিংসা বা বিদ্বেষ থেকে নয় বরং সংবিধান রক্ষার্থেই মামলা হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এই সভায় সাম্প্রদায়িক হামলার বিষয় নিয়েও কথা বলেন সুরঞ্জিত।


তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলা এখনো চলছে। বহু লোক এখন দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। ”
এসময় বর্তমান সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল বলেও মন্তব্য করেন দলের এই সংসদ সদস্য।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।