আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওজনে কম দেয় আগোরা

মানুষ হতে চাই। মূল খবর বাংলানিউজ২৪.কম থেকে। Click This Link পুরো খবর এইখানে দেখুন। এটি কপি পেষ্ট লেখা কিন্তু জনকল্যানমূলক মনে হয়!!!!!!!!!! আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যে ওজনে কম দিচ্ছে আগোরা। কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ গ্রাম পর্যন্ত কম দিয়ে ক্রেতা ঠকাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

অথচ সেরা মান, সঠিক ওজন, সাশ্রয়ী দাম এই স্লোগানে ব্যবসা পরিচালনা করছে আগোরা। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কম ওজন দেওয়ার অভিযোগ করেছেন একাধিক ক্রেতা। অভিযোগের ভিত্তিতে আগোরার আউটলেটগুলোতে ঘুরে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন এসব শপিং মলের বিক্রয়কর্মীরাও। মগবাজার আগোরায় গিয়ে ইস্কাটনের একজন ক্রেতাকে সেখানে বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করতেও দেখা যায়।

ওই ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, পাঁচ কেজির প্যাকেট করে রাখা পেঁয়াজ মেপে পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে চার কেজিরও কম। বাংলানিউজের এই প্রতিবেদকের সামনেই মাপ দিলে পাওয়া যায় তার অভিযোগের সত্যতা। এই শাখার ম্যানেজার ওয়াসিম নিজে মেপে দেখেন এক কেজি প্যাকেটজাত আদায় ওজন দেড়শ গ্রাম কম। একই অবস্থা প্যাকেটজাত পেঁয়াজ, রসুন ও আলুসহ নানা ধরনের প্যাকেট করা পণ্যে। এতে মাপে কম হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করতে পারলেন না ম্যানেজার ওয়াসিম কিন্তু যুক্তি দেখালেন, আসলে প্যাকেট সঠিক মাপেই করা হয়।

কিন্ত শুকিয়ে যাওয়ার কারণে তা ওজনে কম হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ক্রেতা বাংলনিউজকে জানান, ৭/৮ বছর ধরে তিনি আগোরায় কেনাকাটা করছেন। এই প্রথম তার সন্দেহ হওয়ায় ১ কেজি প্যাকেটজাত আদা মাপ দিয়ে ১০০ গ্রাম কম পান। তিনি বলেন, এখন মনে হচ্ছে বছরের পর ধরেই একইভাবে ঠকে আসছি। আগোরার মতো নামকরা দোকান এমন কাজ করলে তা মেনে নেওয়া যায় না।

শুকিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এটি বিক্রেতার বিষয়। আমরা যখন কোনো পণ্যের জন্য এক কেজির দাম দিচ্ছি তখন এক কেজিই পণ্য পাওয়া উচিত। এই ওজনে কম দেওয়াকে বেশি মুনাফা লাভের ফন্দি বলেও উল্লেখ করেন এই ক্রেতা। এসময় তার মতে সম্মতি জানান আরও কয়েকজন ক্রেতা। আর বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন আগোরার বিক্রয় কর্মীর‍াও।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রয়কর্মী বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগটি নতুন নয়। এর আগেও অনেক ক্রেতা তাদের কাছে একই অভিযোগ করেছেন। তারাও বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন কিন্তু কর্তৃপক্ষ পাত্তা দেয়নি। সাংবাদিক পরিচয় জেনেও ওই বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আসলেই এ নিয়ে রিপোর্ট হওয়া উচিত। কারণ ক্রেতাদের কথা কেবল আমরাই শুনি।

’ এর আগে বিএসটিআইর ভ্রাম্যমান আদালত থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, গত এক বছরে বিভিন্ন অপরাধে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছে চেইনশপ আগোরা। খাদ্যে ফরমালিন, বিএসটিআইর অনুমোদনহীন ভেজালপণ্য ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য বিক্রি করার অভিযোগে মামলা মোকাবেলা করাসহ এ জরিমানা দেয় আগোরা। এবার সামনে এলো আগোরার নতুন প্রতারণার ফাঁদ। ওজনে কম দেওয়া প্রতিরোধে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ক্যাব) নানা ধরনের আর্থিক জরিমানা ও শাস্তির বিধান রেখেছে। কিন্তু তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না আগোরা।

এ সর্ম্পকে ক্যাব-এর প্রোগ্রাম অফিসার উদয় চ্যাটার্জি বাংলানিউজকে বলেন, ‘কেউ যদি ক্রেতাকে ওজনে কম দেয় তবে আর্থিক জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে ভোক্তা অধিকার আইনে। ’ এই ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা জরিমানা ও সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে বলেও জানান তিনি। ওজনে কম দেওয়ার বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্মসহ অন্যান্য ধর্মেও কঠোর বিধানের কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে কথা হয় কাকরাইল মসজিদের হাফেজ মাওলানা নায়েব আলীর সঙ্গে । তিনি বলেন, ইসলামে স্পষ্ট বলা হয়েছে কেউ ইহকালে ক্রেতাকে ওজনে কম দিলে পরকালে হাশরের ময়দানে সেই হিসাব দিতে হবে।

ওজনে কম দেওয়া মানে বান্দার হক নষ্ট করা যা কখনও ক্ষমার যোগ্য নয়। যতোক্ষণ বান্দা নিজে ক্ষমা ন‍া করেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।