মানুষ হিসেবে মানুষ কে যেমন শ্রদ্ধা করি অমানুষ দের কে ততটাই ঘৃনা করি
মার্শাল আর্টে বাংলাদেশের একমাত্র গ্র্যান্ডমাস্টার ড. ম্যাক ইউরি । সিনকিনে তিনটি বেসবল ব্যাট-এর বান্ডিল ভেঙে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন তিনি।
সার্ক ভুক্ত দেশ গুলোর মধে তিনিই প্রথম মার্শাল আর্টে কোনো বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। এছাড়া ডিসকভারি চ্যানেলের এক গবেষণা ও জরিপের পর তাকে
ভুষিত করা হয়েছে এই গ্রহের সুপার হিউমান হিসেবে।
গত ০৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিপোর্টের সামছুল হক রাসেল সুপার হিউমান ম্যাক ইউরি কে নিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন যা আমার মনে হই সেই দিনের সবথেকে ভালো খবর ,,ইতিমধ্যে অনেকেই ইত্যাদি তে এই সুপার হিউমান এর নাম শুনেছেন, যারা জানেন না তাদের জন্য এই পোস্ট ।
এবার আমরা জানব কেন ডিসকভারি চানেল তাকে সুপার হিউমান খেতাবে ভুষিত করেছে :
ড. ম্যাক ইউরি পৃথিবীর বিশ্ব রেকর্ডধারী, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পৃথিবীর একজন শীর্ষস্থানীয় মার্শাল আর্ট গ্র্যান্ডমাস্টার, এছাড়া মিলিটারি আন আর্মড কমব্যাট, ল-এনফোর্সমেন্ট কাউন্টার-টেরোরিস্ট এন্ড সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ ও ট্রেইনার হিসেবে ও বিশ্ববাপী তার পরিচিতি রয়েছে তিনি তার অতিমানবীয় সিনবোন কিকের জন্য 'থান্ডার শিনম্যান' হিসেবে জগৎব্যাপী পরিচিতি ও প্রসংসা অর্জন করেন ।
শুধু বিশ্ব রেকর্ড নয় ডিসকভারি চ্যানেলের জরিপের পর তাকে ভুষিত করা হয়েছে সুপার হিউম্যান হিসেবে । ২০১১ সালের ০৭ মে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশীদের মাথা উচু করেন ।
পায়ের আঘাতে তিনটি বেসবল ব্যাট ভেঙে তিনি বিশ্ব রেকর্ড গড়েন বাংলাদেশের এই গ্র্যান্ড মাস্টার । বিশেষ ধরনের কাঠ দিয়ে তৈরী করা এক কেজি ওজনের এক একটা বাটের মোটা অংশের পুরুত্ব ছিল ৮ ইঞ্চি ও হাতল ছিল ২ দশমিক ৭৫ ইঞ্চি ।
পরবর্তিতে ওয়েন ইউনিভার্সিটি আমেরিকা গবেষণা করে তথ্য বের করে যে প্রতিটি স্ট্যান্ডার্ড বেসবল ভাঙ্গতে ৭৪০ পাউন্ডস শক্তি লাগে ! বৃটেনের নটিংহামের মেয়রের উপুস্তিতিতে ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস রেজিস্ট্রি অ্যাডজুডিকেটর জন ইভান্স আনুষ্ঠানিক ভাবে এই কৃতি মার্শাল আর্ট গ্র্যান্ডমাস্টারের হাতে বিশ্ব রেকডের স্বীকৃতি সনদ হস্তান্তর করেন
এরপরই মার্শাল আর্ট দুনিয়াই তাকে নিয়ে হৈ চৈ পরে যায় অন্যদিকে নড়ে চরে ওঠে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়া ( ইত্যাদি বাদে তাকে নিয়া আঘ্রহ প্রকাশ করার মত মিডিয়া বাংলাদেশে তেমন নাই ) বিশ্বের নামী দামী মাগাজিনের প্রচ্ছদে জায়গা করে নেন ড. ইউরি ।
তার এ খবর শুনে এগিয়ে আসে ডিসকভারি চ্যালেন তাকে নিয়া শুরু হয় নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা কিভাবে সম্ভব একজন মানুষের পক্ষে অতি দানবীয় কাজ । শুধু পায়ের আঘাতে তিনটি বেসবল ব্যাট ভেঙে ফেলা !
এই ধরনের বিশ্ব রেকর্ড ধারীদের নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছে ডিসকভারি চ্যানেল । শরীরের ৫ টি অংশ কে কেন্দ্র করে সুপার হিউম্যান বাছাই করছে তারা, মুখ- হাত বুক- পেট -পা এই পাচ টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এই গ্রহের পাচজন সুপার হিউম্যান কে বিশ্ব বাসীর কাছে তুলে ধরেছে । টার
মধ্যে ।
একজন ছিল যিনি মুখের শব্দ দিয়ে গ্লাস ভেঙে ফেলতে পারেন
২য জন দুই হাত দিয়া একটি গাড়িকে উল্টিয়ে ফেলতে পারেন
তৃতীয় বাক্তি ফুসফুসের বাতাস দিয়ে ফাটিয়ে দিতে পারেন একটি হট ওয়াটার ব্যাগ কে
চতুর্থ বাক্তি পেটের ওপর দিয়ে একটি ল্যান্ড রোভার গাড়িকে পার হতে দেন
আর পঞ্চম বাক্তি ড. ইউরি যিনি পা দিয়ে লাথি মেরে তিনটি বেসবল ব্যাট ভাঙ্গতে পারেন ।
ডিসকভারি চ্যালেন তাকে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বলল যে তার পায়ের ৯৬ শতাংশ মাংশপেশী এক সাথে কাজ করতে সক্ষম, এর আগে কোনো বাক্তির এমন ঘটনা ঘটেনি, এই গ্রহের তিনিই প্রথম বাক্তি যার ৯৬ শতাংশ মাংশপেশী এক সাথে কাজ করে, আর এই কারণেই তাকে এই গ্রহের সুপার হিউম্যান খেতাব দেয়া হয় ।
এমনকি তার ওপর একটা প্রামান্য চিত্র তৈরী করেছে ডিসকভারি চ্যানেল যা পর্যায়ক্রমে বিশ্বের ২১০টি দেশের ৬৪ ভাষায় প্রদর্শিত হছে ।
এত অর্জন সত্তেও সবসময় প্রচার বিমুখ এই মানুষ টি, বিশেষ করে বাংলাদেশের মিডিয়াই তাকে খুব একটা দেখা যায়নি , ঢাকার আজিমপুরে জন্মগ্রহণকারী ড. ম্যাক ইউরি ছোটো বেলা থেকেই খুব চঞ্চল ছিলেন ।
বাবা ছিলেন ইলেক্ট্রিকাল ইন্জিনিয়ার ।
তার কিছু অর্জন
মিলিটারী সায়েন্স, ফিজিকাল ট্রেইনিং, অবস্টাকাল কোর্স , আন আর্মড কমব্যাট, মিলিটারী ড্রিলস পারেডের মত অর্জন এছাড়া ড. ইউরি ভারতের কাঞ্চিপুরম ও চীনের শাওলিন টেম্পলে সম্পর্কিত অনুসন্ধানির গবেষনার মাধ্যমে ভারতীয় মার্শাল আর্ট এর লুপ্ত প্রায় ইতিহাস ও ঐতিহ পুনুর্ধার করেন
ড. ইউরি গ্র্যান্ডমাস্টার দের আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড গ্র্যান্ডমাস্টার কাউন্সিল আমেরিকার সর্বোচ্চ পুরুস্কার গ্র্যান্ডমাস্টার পিনাকেল' লাভ করেন অর্জন করেন ব্রিটিশ হম অফিস অধীনস্ত সিকিউরিটি এন্ডাস্ত্রীজ অথরিটি
ভি আই পি প্রটেকশন এর ওপর সর্বোচ্চ প্রফেসনাল ডিগ্রী এছাড়া ফায়ার ট্রেইনিং একাডেমি ইংল্যান্ড থেকে ও ফায়ার মার্শাল কোর্স সম্পন্ন করেন .
আরো অনেক অর্জন আছে অতি মানবীয় সুপার হিউম্যান ড. ম্যাক ইউরির . যা বললে পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাবে ।
তিনি যেভাবে বাংলাদেশ কে বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করিয়েছেন তার জন্য আমরা সবাই গর্বিত আমরা এখন বলতে পারি যে বাংলাদেশ দেশ হিসেবে সর্বদা গর্বিত কারণ এই বাংলার মাটিতে ড. ম্যাক ইউরির মত অনেক মানুষ আছেন যারা এই দেশের মাটিতেই বেড়ে উঠেছেন ।
নোট্:
গত ০৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিপোর্টের সামছুল হক রাসেল সুপার হিউমান ম্যাক ইউরি কে নিয়ে একটি প্রতিবেদন টি লিখেছিলেন । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।