অন্যদের মতামত একেবারে সহ্য করতে না পারাটাই মৌলবাদীতা (Extremism)। মৌলবাদী হবার জন্য টুপি-দাড়ি, গেরুয়া বস্র ও রুদ্রাক্ষর-মালা লাগেনা। আচরনেই প্রকাশ পায়। যুক্তি-তর্কে না পারলে মৌলবাদীরা খিস্তি-খেউর ও অতি নিম্ন স্তরের ভাষার প্রয়োগ ঘটায়। কোণঠাসা ও একঘরে করে ফেলার কৌশল মাত্র।
স্বাধীনভাবে কেউ কিছু বললেই এরা নাক-মুখ কুঁচকে তাতে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খোঁজার চেষ্টা করেন। ভাবখানা এই যে, হয় তুমি আমার দিকে নয়ত তুমি অপর পক্ষের (অনেকটা ১/১১-এর বুশের চিন্তাধারা)। এর বাইরে এরা কোন কিছু চিন্তাতো দুরের কথা কল্পনাও করতে পারেনা। বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী এখন প্রধানত দুইভাগে বিভক্ত। এরা একে ওপরকে ছাগু ও ভাদা নামে ডাকতে পছন্দ করে।
ব্লগ গুলেতে ঢুকলে এর ভুরি ভুরি প্রমান পাওয়া যাবে। এই বিভাজনের পরিনাম ভয়াবহ। হয়ত সিরিয়া বা মিশরের মত গৃহযুদ্ধ বাঁধাও অবাস্তব কিছু না। নানান দেশি-বিদেশি শক্তি ও তাদের স্ব স্ব এজেন্তরা আর আমরাও হয়তো না বুঝে বিভিন্ন পক্ষ সমর্থন করে নিজেদের অজান্তেই এ ব্যাপারটি তরান্নিত করছি। এটা নিয়ে কয়জন ভাবছেন আমি জানিনা।
আর কেউ যদি কোন দিকেই না থাকতে চায় (বলা বাহুল্য এদের সংখা দিন দিন কমে আসছে) তবে তার দশা হবে না-ঘরকা, না-ঘাটকা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।