আসুন অন্যের বিচার করার আগে আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখি। একজোড়া তৃষ্ঞার্ত চোখ চেয়ে আছে অপলক,
বেঁচে থাকার অব্যক্ত প্রতিক্ষায়।
অভাগী মায়ের বোকা কান্না; পৌষের ভীষণ শুষ্কতায়
ফিকে হয় দেয়ালের অন্তরালে।
জীবন যেখানে যাত্রাবেলা-
মরণ সেখানে লুকায়ে রয়েছে চুপিসারে জীবনেরই অগভীরে।
সান্তনার শেষ শব্দগুলোও ফিরে আসে আশাহত হয়ে, কেননা
জীবন এখানে বন্দী বাস্তবতার শক্ত খোলসে;
কার বাহুতে আছে এতো শক্তি?
গুরিয়ে দিতে বাস্তবতার শক্ত সুকঠিন খোলস?
জানি নেই।
তবে কেন নয় সংঘবদ্ধ আঘাত?
এসে হে বন্ধু
হাত মিলাই আচমকা আঘাতের প্রতিশ্রুতিতে
গুড়িয়ে দেই বাস্তবতার অভেদ্য প্রাচীর;
মৃত্যুকে জয় করবার সময় যে চলে যায়। ।
আমার সহব্লগার জনি ঐদিন একটা কথা বলেছিল। রাস্তায় যখন অচল ভিক্ষুকরা ভিক্ষা চায় তখন আমাদের মত মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তরাই তাদের দু'এক টাকা দেই। আর যাদের অঢেল আছে তারা গাড়ির গ্লাসটাও খুলেনা।
মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকে। যদিও দু'একজনের কথা ভিন্ন। তবে এই দু'একজনের সংখ্যা নগন্য। রুশানকে নিয়ে আমরা যখন ফান্ড কালেকশান করছি, তখনও এই বাস্তবতাটাকে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। আমরা বুঝতে পেরেছি যে, রুশানের জন্য আমাদের মত মধ্যবিত্ত, নিম্মমধ্যবিত্ত, ছাত্র, বেকারদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।
তা না হলে যে বাচ্চাটাকে আমরা বাঁচাতে পারবোনা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।