আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেসবুক স্ট্যাটাস সংগ্রহ: ৪

৮ ডিসেম্বর, ২০১২: # ১। 'ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস'- এটা করার পরেও জেতার মত যথেষ্ট শক্তিশালী আমরা এখনও না। শুনতে খারাপ শোনালেও সত্য। ২। মাহমুদউল্লাহ ছন্দে আছে।

সুতরাং ওকে যত আগে পাঠানো যাবে একপাশ থেকে উইকেট পড়া আটকানোর সম্ভাবনা তত বেশি। ক্ষমতা থাকলে ওয়ান ডাউনেই পাঠাতে চাইতাম। ৩। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে যখন ওদের হারিয়ে এসেছিলাম তখন অনেকে 'এটা দূর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ' বলে ভ্রু কুঁচকেছিলো। সাকিব-আবুল না থাকার পরও একই কথা আমাদের বেলায় প্রযোজ্য হবে না, জানি।

তাই আজকের উত্তর দেওয়ার সহজ সুযোগ সম্ভবত: আর সহসা পাওয়া যাবে না। সুতরাং আজকেই। ৪। নাঈম যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছে। এক পেসার খেলানোর ফটকা লেগে গেছে।

সুতরাং জহিরুল ইসলাম সুযোগ দাবী করে। জিয়াকে নিলেও খারাপ হয়না। # ১। মুশি-মাহমুদউল্লাহর পিটানি দেখে মনে হচ্ছে ওরা বলটাকে শিবির ভেবে মনের আনন্দে পিটাচ্ছে। ক্যারি অন! ২।

কয়েক বছর ময়মনসিংহে আছি। এখানকার কিছুই ভালো লাগে না আমার। বাতাসটাও না, অ্যাজমেটিক জোন বলে। কিন্তু একটা জিনিস খুব 'ভালা পাই'। সেইটা মাহমুদউল্লাহ।

মেড ইন ময়মনসিংহ। সিল্কি ব্যাটিং! # শুনেছি পাকিস্তানের জলিল চাচাকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড থেকে স্পনসর করা হয় ক্রিকেট টিমের সকল সফরে। ভারতের গায়ে INDIA আর TENDULKAR লেখা রোগা পটকা সুধীর কুমার চৌধুরীকে টেন্ডুলকার সব সফরের ভ্রমণ খরচের সাথে ম্যাচ টিকেটও দেয়। ছবির ছেলেটাকে সব ম্যাচেই দেখা যাচ্ছে। এই শীত আর কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে শরীরে লাল- সবুজ আর বাঘের হলুদ-কালো আল্পনা এঁকে, হাতে দেশের পতাকা নিয়ে দলকে সারাক্ষণ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

পাক-ভারতের সাথে তুলনায় যাচ্ছি না, তবে এমন একজন আইকন সমর্থক হোম সিরিজের সাথে বিদেশ সফরগুলোতেও পেতে ইচ্ছে করে। আপনি যেই হন, স্যালুট…♥ # ক্রিকেট নিয়ে কত কিছুই তো লিখি। কয়েকহাত লম্বা স্ট্যাটাস লিখি। মাঝে মাঝে লেখা অনেক বড় হয়ে যায় দেখে লেখা বাদ দেই। অথচ আজ কী লিখবো খুঁজে পাচ্ছি না।

অনুধাবন করলাম, অতি আনন্দে কিছু লেখা যায় না। কেউ কেউ আছে যারা খেলা শেষে নিয়ম করে আমার স্ট্যাটাস দেখে যায়। দু:খিত, আজ কিছুই লেখার নেই। এটুকু অপরাধ তো আজ ক্ষমার যোগ্য, নাকি? ৯ ডিসেম্বর, ২০১২: # স্বাধীন দেশে রাস্তাঘাটে মানুষ হত্যা সমর্থন করি না। সে শিবিরই হোক আর লীগই হোক, পকেটমারই হোক আর ইভটিজারই হোক, বিশ্বজিতই হোক আর বদর আলীই হোক।

প্রতিরক্ষা বাহিনী আছে। আইন-আদালত আছে। আজকে যদি শিবির পিটাতে ছাত্রলীগ ব্যবহারে সরকারের ইন্ধন থাকে তো কালকে লীগ পিটাতে দল আর শিবিরের প্রতি তাদের দল সমর্থন দিতে একটুও দ্বিধাবোধ করবে না। সহজ সমীকরণ। এটা কোনো সমাধান না।

১০ ডিসেম্বর, ২০১২: # ম্যানচেষ্টার ডার্বিতে ইনজুরি টাইমে ভ্যান পার্সির গোলে ইউনাইটেডের ৩-২ গোলে জয়। টটেনহাম-এভারটন ম্যাচে ৯০ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থেকে ইনজুরি টাইমে ৮৮ সেকেন্ডের ব্যবধানে ২ গোল করে এভারটনের জয়। সুয়ারেজ ছাড়া স্ট্রাইকারহীন লিভারপুলের পিছিয়ে পড়েও ৩-২ গোলে ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ জয়। ওহ্ִ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ আসলেই উপভোগ্য। # ১।

সাকলাইন মুস্তাক চলে যাচ্ছে। ভালো খবর। অনেককে বলতে শুনেছি সোহাগ গাজীর সাফল্যের পিছনের কারিগর সাকলাইন। ওর দুসরা সাকলাইনের শেখানো। তাদের জন্য বলি, সোহাগ এনসিএল থেকে সরাসরি পারফর্ম করে জাতীয় দলে এসেছে।

এবং প্রথম দিন থেকেই ভালো বোলিং করছে। স্কোয়াডে ডাক পাওয়ার আগে সাকলাইনের সাথে সে কোনো সেশন কাটায়নি। আরও বড় কথা দুসরা জিনিসটা ৭ দিনে শেখার জিনিস না। সাকলাইনের হাত থেকে ও শুধু টেষ্ট ক্যাপটাই পেয়েছে, যেটাতে আমার ব্যাপক আপত্তি। নাঈমুর থাকতে কেন সাকলাইনকে দিয়ে টেষ্ট ক্যাপ পড়তে হবে? বরং আমি দেখেছি এই সময়েই সাকিব তার বলের টার্ণ আর ফ্লাইট হারিয়েছে।

২। এনামুল হক মনি নিয়ে বেশ কিছু পেজের রিকোয়েস্ট পেয়েছি। আমার মন এত নিচু না যে এইসব নিকৃষ্ট পেজে লাইক দিবো। এখনও মনে করি মনি বাংলাদেশের সম্পদ। ভুল করেছে।

ভুল সবারই হতে পারে। সে শিক্ষা নিবে ভুল থেকেই। ৩। বেশিরভাগ মেয়েরা ক্রিকেট দেখে না, বোঝে না, কথাটা ভুল মনে করি। আমার মা কে দিয়েই বলি, ছোটকালে গিলক্রিস্ট ব্যাটিং এ আসলেই আমি টিভি অন করে রাখতাম।

মা বলতো এসব কী দ্যাখিস? আর সেই মা ই আমাকে বাংলাদেশের হেরে যাওয়া দুই ম্যাচে ফোন করে বলেছে, 'মন খারাপ বাপি? সাকিবের ব্যাটিং সাপোর্ট পেলে ঠিকই জিততো। তামিমও রান পেলো না। দেখিস কাল জিতবে। ' ৪। বাংলাদেশে ক্রিকেট নিয়ে সিনেমা হয়না।

যে দেশটার ৮০% মানুষের উপর ক্রিকেট ক্রেজি, তাদের দেশে ক্রিকেট নিয়ে সিনেমা নেই। অবাক করার মত। ৫। খুলনা এনসিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। জাতীয় দলে এত এত তারকা তৈরি করার পরেও খুলনা গত চার বছর ধরে শিরোপা পায় না।

হতাশ হতাম। আজ খুলনার মানুষ হিসেবে অনেক অনেক খুশি। ৬। বীরেন্দ্র শেওয়াগকে ইংল্যান্ডের সাথে আসন্ন টি২০ সিরিজে বাদ দিয়েছে। হাতে নাতে ফলাফল।

৭। টি২০ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দের সাথে টি২০ খেলা। ওরা টি২০ এর সেরা দল, এটা অস্বীকার করার খুব বেশি মানুষ নেই। আজ তাই বিশ্বকাপের হতাশাটা কবর দেওয়ার একটা সুযোগ তো বটেই। # আমাদের দেশসেরা পেসাররা স্লগ ওভারে একটাও ইয়র্কার মারতে পারে না আর স্যামুয়েলস্ִ নারাইনরা অফস্পিনার হয়েও ব্লকহোলে একটার পর একটা ইয়র্কার মারে, দু:খটা এখানেই! # ভালো খেলিনি।

এটা মানতেই হবে। ৯ উইকেট হাতে রেখেও কয়েক ওভার আগে ম্যাচ থেকে বের হয়ে যাওয়া সত্যিই হতাশার। পার্থক্য গড়ে দিয়েছে তিনটা জিনিস। একটা স্যামুয়েলসের দুটো লাইফ, একটা রুবেলের শেষ ওভার আরেকটা গেইলের ফুলটসগুলো কাজে না লাগাতে পারা। তা না হলে পারফরমেন্সটা খারাপ না।

মাহমুদউল্লাহ ফিফটি করে হতাশ হয়ে ব্যাট ছুড়েছে বাতাসে। ব্যাপারটা ভাল্লাগছে। এই ছেলেরা দেশের জন্য প্রান উজাড় করে খেলে তার আরেকটা প্রমান এটা। # যারা ভাবতেছেন ৯ উইকেট হাতে রেখে কলাডা হইছে, তাদের বলি, আর ৫ টা উইকেট গেলে ৫ টা এক্সট্রা বল নষ্ট হতো। নতুন ৫ জন ব্যাটসম্যানের সেট হতে আর ১০ টা বল লাগতো।

প্রায় ৩ ওভার নষ্ট হতো। উল্টো ২০ রান কম হতে পারতো। তাছাড়া ক্রিজে ছিলো দেশ সেরা হিটার তামিম। ওর চেয়ে বেশি হিট করতে পারে এমন কেউ ছিলোও না স্কোয়াডে। বছর শেষ।

নতুন বছরে এক নতুন ক্রিকেট পরাশক্তিকে দেখার অপেক্ষা করতেই পারেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.