You can do anything, but not everything.
কয়দিন আগে এক এনিম বিশেষজ্ঞ ফ্রেন্ডরে গুতাইতেসি সাজেশনের জন্য। যেইটার নামই কয় হয় দেখসি নয়ত পছন্দ হইতেসে না। এক পর্যায়ে কইল, "তুই তো রোমান্টিক এনিম দেখসই না; এইবার একটা দেইখা দেখ, কেমন লাগে। " আমিও "কি আছে জীবনে" বইলা ভাব্লাম এইবার দেইখাই ফেলি।
শুরু করলাম তোরাদোরা দিয়া; এরপর লাভলি কমপ্লেক্স এবং সর্বশেষ কাইচৌওয়া মেইড সামা।
Tora Dora: এই এনিম দিয়া রোমান্টিক এনিম ধরাটা একটা মহা ভুল হইসে। এখন আর কোন রোমান্টিক এনিমই আর সেইরকম ভাল লাগে না। তোরাদোরা এক কথায় অসাধারন। কাহিনী, ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট, ট্র্যাক, কমেডি, রোমান্স - সবকিছু। রিয়ুজি এবং তাইগা - দুই মেরুর দুই বাসিন্দা।
একজন রিয়ুজি শান্তশিষ্ট লেজবিশিষ্ট টাইপ আর অন্যদিকে তাইগা মার মার কাট কাট টাইপ। কিন্তু রিয়ুজির চেহারায় এমন কিছু আছে যা তাকে গুন্ডা গুন্ডা ভাবতে বাধ্য করে; এইজন্য লোক জন তার সাথে খুব একটা মিশে না। রিয়ুজি তাইগার এক ফ্রেন্ডকে এবং তাইগা রিয়ুজির এক ফ্রেন্ডকে মনে মনে পছন্দ করে। দুইজন দুইজনের জন্য ম্যাচ করতে গিয়ে এক পর্যায়ে একজন আরেকজনকে পছন্দ করে ফেলে। তারপর? তারপরেই টুইস্ট।
ঘটনার অনেকদুর পর্যন্ত আমার মনে হইতেছিল টিপিকাল হিন্দি সিনেমা স্টাইলেই আগাইতেসে; শেষে কি হইব তা তো বুঝতেই পারতেসি; দেইখা কি হইব? কাহিনীর শেষে মনে হইসে গালে কইসা চড় খাইসি - এইরকম টুইস্ট।
রোমান্টিক এনিমে মাঝে মাঝেই কাহিনী খুব ঝুলাইয়া ফেলে; অনেক অবাস্তব কিছু দেখায়; কিন্তু তোরাদোরা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটা সেনিটি বজায় রাখসে। দুইটা জিনিস অনেক দিন মনে থাকব - রোমান্টিক এনিমে one of the best kiss scene আর এই সাউন্ডট্র্যাকটা । গানটা সিমপ্লি মাই ফেভারিট এনিম সাউন্ডট্র্যাক।
আমার রেটিং: ৮.৭/১০।
Lovely Complex: হালকা ধাঁচের খুব সুন্দর একটা রোমান্টিক এনিম। ছেলে চরিত্র অতানি এবং নারী চরিত্র রিসা। রিসা অতানির চেয়ে বেশ খানিকটা লম্বা। এদের মাঝে সারাদিনই খুনসুটি লেগে থাকে। সাধারনভাবে এরা সবার কাছে "হানশিন কিওশিন" ( কমেডি ক্যারেক্টার) নামেই পরিচিত।
এইভাবে ঝগড়া করতে করতে আর মজা করতে করতে একদিন মেয়েটা বুঝতে পারে সে অতানিকে ভালবেসে ফেলেছে। অনেক সাহস সঞ্চয় করে এবং সংকোচ ফেলে দুইবার অতানিকে প্রপোজও করে ফেলে। কিন্তু অতানি মনে করে এইটা বোধহয় রিসা মজা করতেসে এবং সেও দুইবারই রিজেক্ট করে।
আরেকটা টিপিকাল হিন্দি সিনেমা কাহিনী মনে হচ্ছে? দেখতে থাকুন, আশা করি শেষ অংশ দেখে হতাশ হবেন না।
আমার রেটিং: ৭.৫/১০।
Kaichou Wa Maid Sama:শোজো এনিম বা রোমান্টিক এনিমের যে কয়টা লিস্ট দেখা যায় তার অধিকাংশের মধ্যেই এইটা লিস্টের প্রথম দিকে থাকে। দুইটা মেইন চরিত্র উসুই তাকুমি এবং মিসাকি - অসম্ভব এপেলিং ক্যারেক্টার। বিশেষ করে মেইল ক্যারেক্টার উসুই তাকুমির জন্য তো দুনিয়ার প্রায় সব নারী এনিমখোররা এক কথায় পাগল !!!
এছাড়া মিসাকি ক্যারেক্টারটাও অসাধারন। কিন্তু আমার মনে হইসে এনিমটা লেখক নিজ হাতে ধ্বংস করার জন্য লেখসেন। অত্যন্ত ঝুলে যাওয়া কাহিনী।
মিসাকি একটা মেইল ডমিনেটেড স্কুলের স্টুডেন্ট কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট, স্কুলের পরিবেশ ঠিক রাখার ব্যাপারে প্রচন্ড স্ট্রিক্ট; স্কুলের ছেলেদের কাছে মাঝে মাঝেই ভয় এবং বিরক্তির কারণ। তবে ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষকরাও তাকে সমীহ করে চলে। কিন্তু তার পরিবার অনেক গরীব হওয়ায় তাকে একটা মেইড ক্যাফেতে কাজ করতে হয়। মিসাকি এই ঘটনা স্কুলের সবার কাছ থেকে গোপন রাখে। এর মাঝে মিসাকি মাঝে মাঝেই বিপদে পড়লে উসুই তাকে উদ্ধার করে।
এর বাইরে কাহিনী উদ্ধার বা লেখা আমার পক্ষে সম্ভব হয় নাই। কমেডি আছে; তবে cliche. তবে এই মতামত একান্তই আমার ব্যাক্তিগত; অনেককেই বলতে শুনেছি কাহিনী তাদের খুব একটা খারাপ লাগে নাই, সুতরাং একটা ঝুকি নিয়ে দেখে ফেলতেই পারেন। তবে আমার মনে হয় না দেখে খুব লাভ আছে।
আমার রেটিং: ৪/১০।
তবে আর দেরি কেন? দেখা শুরু করেন এই এনিমগুলি।
আর এনিম নিয়ে আড্ডা দিতে চাইলে চলে আসুন এই গ্রুপে ।
হ্যাপি এনিমিং !!!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।