এখনো জানতে চেষ্টা করছি। নিজামি বুড়ো খেপিয়াছে বেশ সাইদির পরে।
কাছে ডেকে পারলেই চটকানা মারে।
মারিতে পারে না, হাজতেও শকুনের চোখ,
কোন ছবি তুলে ফেলে কোনো বদ লোক।
তারপরে আলুকণ্ঠে ছাপাইয়া দিবে,
জামাতে অনৈক্য বলে বদনাম হবে।
তাই শুধু মুখে বলে কুত্তার ছাও
এইসব নাকি তুমি ওয়াজ চোদাও?
তিন দিন হয়ে গেলো হাজতের বাস
হতাশ হয়ে হয়ে ছাড়িতেছি আশ।
কোথায় মুরীদ তোমার? হাতে তলোয়ার
বুকে জিহাদি জজবা, আল্লা আকবর।
মুজাহিদ পাশে বসে দাঁড়ি তা দেয়
নেশা নেশা ঘোর ঘুম অবশ নেশায়।
এইবার চান্সে সে নড়েচড়ে ওঠে
সাইদীকে ঝেড়ে ঝুড়ে যদি জ্বালা মিটে।
কত টাকা ঢেলেছে সে মেহেদি কেনায়
নুরানি নুরানি ভাব কতো চেহারায়;
তবু শালা সাইদি চাপাবাজ বড়ো
দলের ভিত্রে শুধু কলকাঠি নাড়ো।
কোথায় গেল আজ তোর চাপাবাজি
কোথায় খাড়ানো ঈমান? যতসব পাজি।
কোথায় শিষ্য তোর তারেক মুনায়ার?
পালাইয়াছে সব বেটা ছুঁচো জানোয়ার।
নাকে ঢালে প্রতিদিনই গরম শিসা
রিমান্ডে রিমান্ডে হারাইয়াছি দিশা;
শুনিতেছি আগামীকাল মেনু সিদ্ধ ডিম,
ভয়ে ডরে কইলজাডা হইয়া যায় হিম।
শিবিরের চোদনারা বাল ফেলিতেছে
পুলিশের ধাতানিতে হাইগা পাইদা দিছে।
এরা করে ইসলামের শাসন কায়েম?
ছো! শালা বান্দীর পুত, বুকে নাই দম।
হায়, সেই এক দিন ছিলো যুদ্ধের সুম
মুজাহিদ নামে যেতো মুক্তির ঘুম।
সকালে ১০০ কতল, বিকেলে পঞ্চাশ
আহা কী যে দিন ছিলো সেই নয় মাস!
সাইদি সবকথা শুনে চুপচাপ
জানে মনে একা তার নাই কোনো পাপ
আসলে দোষী হলো গোলাম বুড়ো
তাদেরকে লেজ দিয়ে সে খেয়েছে মুড়ো।
গলা কেশে অবশেষে মুখখানা খোলে,
হুজুর ফরমাইয়াছেন আম্মাবাদ! চোপ, শালে!
খেকিয়ে ওঠে নিজামি জলাতঙ্ক কুকুরের ন্যায়।
সাইদী শান্ত কণ্ঠে বলে, মহা অন্যায়
আমার দুটি কথা শুনুন হুজুর
দুই গালে জুতা মারুন পাইলে কসুর।
এতদিন এত শত পেলাম আশ্বাস
কেউ নাই যখন আমগো পুন্দে ঢুকে বাঁশ ।
পাকি পরমাণু বোমা, আফগান জিহাদি
ইরানি যুদ্ধ বিমান - সব গাঞ্জার লাদি
কোথায় সৌদি দোস্ত বুড়া গোলামের
কোথায় আর্তনাদ লাখ বেকারের?
আমরাই হাজতে বসে বাঁশ ডলা খাই
গোলাম মাস্তি করে আমগো বেইল নাই।
শিবিরের মাঝে সে-ই ধরিয়েছে ফাক
আর একতা নাই সব শকুনের ঝাঁক।
আমলীগ আমাগোরে পুন্দানি দেয়
সব শালা ঈমান নিয়ে পালায় পালায়।
চলেন ঐক্যমত্য করি গোলামরে মানি না,
রাজসাক্ষী হয়ে যাই যেন কিছু জানি না।
নিজামি মাথা নাড়ে, খারাপ কও নাই
আমারও একই কথা শইল ভালা নাই।
একে তো বুড়া হাড্ডি, গিঁটে গিঁটে বাত
মেরে ফেলে বলে দিবে হয় অপঘাত;
না হয় ক্রসফায়ার, কিছু কওয়া যায় না।
এই শালা বাংগালি আমগো ভালা পায় না।
মুজাহিদ এখনও দোনোমোনো করে,
সাইদী হারামজাদা কোন চাপা মারে;
কী আছে কপালে কিছু বোঝা যায় না,
এখন তাই কোনো ডিসিশানে যামু না।
তবে তোমরা যা-ই কও ভাইবাই কইছো,
জাইনা রাইখো আমরেও তোমগো দলে পাইছো।
এদিকে মনে ভাবে আসুক সময়
ঝোঁপ বুঝে কোঁপ মারো বাবা রসময়।
গতরাতে স্বপ্নটা দেখেছে খারাপ,
ফাসির দড়ি হাতে জন্মদাতা বাপ
হাইসা কয়, আব্বু আইসা পড়ো কবরে
তোমার আম্মায় খুশি হইছে গ্রেফতারের খবরে।
মুজা ভাবে জান তাই বাঁচাতেই হইবে,
দরকারে জামাতেরই দুর্নাম কইবে,
এ আর এমন কী! যেদিকে জোয়ার
সেদিকে নৌকা বাই পরওয়ারদেগার।
জানমালের একমাত্র তুমিই মালিক
তুমি রব, তুমি খোদা, তুমিই খালিক
জামাতের গুষ্টি চুদি যদি বেঁচে থাকি
ভাইবো না আবারো দিলাম তোমায় ফাকি।
এই প্যারোডিটি সংগৃহিত। অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সংগে না মিলিয়ে নিছক মজার জন্য এটি শেয়ার করা হয়েছে।
মূল লেখক : ব্লগার ফটকা। সকল কৃতজ্ঞতা উনার প্রতি এরকম যুগান্তকারী একটা স্যাটায়ার লেখার জন্য। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।